Скачать или смотреть রায়হান হত্যা : কনস্টেবল হারুনের বিষয়ে যে আদেশ দিলেন আদালত

রায়হান হত্যা : কনস্টেবল হারুনের বিষয়ে যে আদেশ দিলেন আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২১ ২৩:৩১

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে নির্মম নির্যাতনের ফলে আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদ (৩৪)-এর মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) মো. হারুন অর রশিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৩ জুন) দুপুরে ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। হারুনের পক্ষের আইনজীবীরা রোববার জামিন আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আবদুর রহিম এক আদেশে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রায়হাত হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৩ নম্বর আসামি মো. হারুন অর রশিদ। জামিন আবেদনে রায়হানকে সরাসরি জড়িত না থাকা ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন বলে উল্লেখ করে জামিন প্রার্থনা করেন হারুন।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি নওশাদ আহমদ আদালতকে বলেন- আসামি হারুন শুধু পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে নয়, দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায়ও অভিযুক্ত। বিচারপ্রক্রিয়ায় থাকা হত্যা মামলার চার্জিশিটভুক্ত আসামিকে জামিন দেয়া হলে বিচার বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব যুক্তি উপস্থাপনের পর হারুনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে গত ২ জুন একই আদালতে মামলার প্রধান আসামি এসআই (বরখাস্তকৃত) আকবর হোসেন ভূঁইয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।

এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে প্রধান অভিযুক্ত আকবর ১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।

অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলে- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির ‘টুইআইসি’ (সেকেন্ড-ইন-কমান্ড) পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)