Скачать или смотреть 01_Botany Tissue & Tissue Tontro টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র HSC Biology

01_Botany Tissue & Tissue Tontro টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র HSC Biology

আমাদের ফেইজবুক Group:   / 2010250659245203  
আমাদের ফেইজবুক Page:   / h0mosapiensbd  

☼☼ টিস্যু সম্পর্কিত সংজ্ঞা: পার্ট-1 ☼☼
☻ টিস্যু: একই উৎস থেকে সৃষ্ট সদৃশ বা বিসদৃশ আকার আকৃতিবিশিষ্ট কোষ সমষ্টি যখন নির্দিষ্ট জৈবনিক কাজ সম্পাদনে নিয়োজিত থাকে, তখন ঐ কোষসমষ্টিকে একত্রে টিস্যু বলে।
☻ টিসুতন্ত্র: একই ধরণের কাজ (শারীরবৃত্তীয় বা যান্ত্রিক) করে এমন একই বা ভিন্ন প্রকৃতির টিস্যুসমষ্টিকে টিস্যুতন্ত্র বলে।
☻ ভাজক টিস্যু: যে টিস্যুর কোষগুলো বারবার বিভক্ত হয়, ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি হয়, তাকে ভাজক টিস্যু বলে।
☻ স্থায়ী টিস্যু: যে টিস্যুর কোষগুলো পূর্ণভাবে বিকশিত ও কোষবিভাজনে অক্ষম হয় তাকে স্থায়ী টিস্যু বলে।
☻ প্যারেনকাইমা টিস্যু: যেসব স্থায়ী টিস্যু সেলুলোজ নির্মিত পাতলা কোষপ্রাচীরযুক্ত সজীব কোষ সমন্বয়ে গঠিত হয় তাকে প্যারেনকাইমা টিস্যু বলে।
☻ ক্লোরেনকাইমা টিস্যু: প্যারেনকাইমা টিস্যুতে ক্লোরোফিল থাকলে তাকে ক্লোরেনকাইমা বলা হয়।
☻ কোলেনকাইমা : যে সরল স্থায়ী অসমস্থূল কোষপ্রাচীরযুক্ত সজীব কোষে গঠিত, তাকে কোলেনকাইমা টিস্যু বলে।
☻ এ্যরেনকাইমা :জলজ উদ্ভিদের বড় বড় বায়ু কুঠুরীযুক্ত প্যারেনকাইমাকে এ্যারেনকাইমা বলে।
☻ জটিল টিস্যু: যে স্থায়ী টিস্যু একাধিক প্রকার কোষ দিয়ে গঠিত হলেও সম্মিলিতভাবে একই ধরণের কাজে লিপ্ত থাকে, তাকে জটিল টিস্যু বলে।
☻ সরল টিস্যু: যে টিস্যুর উৎপত্তি এবং গঠন, আকৃতি ও কাজ একই রকম, তাকে সরল টিস্যু বলে।
☻ জাইলেম টিস্যু: ট্রাকিড, ভেসেল, জাইলেম ফাইবার এবঙ জাইলেম প্যারেনকাইমা নিয়ে যে টিস্যু গঠিত তাকে জাইলেম টিস্যু বলে।
☻ ফ্লোয়েম টিস্যু: কাজ ও জন্মসূত্রে অভিন্ন কিন্তু আকৃতি ও প্রকৃতিতে ভিন্ন যে টিস্যু সমষ্টি নিয়ে উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রীকে উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অঞ্চলে সংবহনের দায়িত্ব পালন করে সে টিস্যু সমষ্টিকে ফ্লোয়েম টিস্যু বলে।
☻ ভিত্তি টিস্যু: মূল বা কান্ডের প্রধান টিস্যুতন্ত্রকে ভিত্তি টিস্যু বলে।
☻ পরিবহন টিস্যু: জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর সমন্বয়ে যে টিস্যু গঠিত তাকে পরিবহন টিস্যু বলে।
☻ বাস্ট ফাইবার: উদ্ভিদের অঙ্গের গৌণবৃদ্ধির সময় স্ক্লেরেনকাইমা কোষের সমন্বয়ে ফ্লোয়েম ফাইবার নামে এক প্রকার দীর্ঘ কোষ গঠিত হয় যাদের প্রান্তদেশ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। এদেরকে বাস্ট ফাইবার বলে।
☻ ক্ষরণকারী টিস্যু: তরুক্ষীর, মধু, গঁদ, রেজিন প্রভৃতি যেসব টিস্যু হতে নি:সৃত বা ক্ষরিত হয় তাকে ক্ষরণকারী টিস্যু বলে।
☻ ত্বকীয় টিস্যু: যে টিস্যুতন্ত্র উদ্ভিদের অঙ্গের প্রাথমিক গঠন সৃষ্টিতে অংশ নেয় এবং উদ্ভিদ অঙ্গের বহিরাবরণ সৃষ্টি করে, তাকে ত্বকীয় টিস্যু বলে।
☻ এপিথেলিয়াল টিস্যু: যে টিস্যুর কোষগুলো ঘন সন্নিবেশিত, একটি ভিত্তি পর্দার ওপর বিন্যস্ত এবং টিস্যুর মাতৃকা থাকে না, তাকে এপিথেলিয়াল টিস্যু বলে।
☻ স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াল টিস্যু: যে টিস্যুর কোষগুলো আঁইশের মতো চ্যাপটা ও নিউক্লিয়াস বড় তাকে স্কোয়ামাস টিস্যু বলে।
☻ কিউবয়ডাল এপিথেলিয়াল টিস্যু: যে টিস্যুর কোষগুলো ঘনাকার অর্থাৎ কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা প্রায় সমান, তাকে কিউবয়ডাল এপিথেলিয়াল টিস্যু বলে।
☻ কলা মনার এপিথেলিয়াল টিস্যু: যে টিস্যুর কোষগুলো স্তম্ভের মতো সরু ও লম্বা, তাকে কলা মনার এপিথেলিয়াল টিস্যু বলে।
☻ কানেকটিভ টিস্যু: যে টিস্যুতে মাতৃকার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি এবং কোষের সংখ্যা কম তাকে কানেকটিভ টিস্যু বলে।
☻ স্কেলিটাল কানেকটিভ টিস্যু: দেহের অভ্যন্তরীণ কাঠামো গঠনকারী স্কেলিটার কানেকটিভ টিস্যু বলে।