Скачать или смотреть বেগুন এর পুষ্টিগুন । Nutritional values of eggplant

বেগুন একটি পুষ্টিকর সবজি যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। বেগুন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়াও, বেগুন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
বেগুন খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
বেগুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। কিছু ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে, বেগুনে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং অ্যান্থোসায়ানিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:
বেগুনে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বেগুন ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতেও সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
বেগুনে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, বেগুনের খোসাতে উপস্থিত নাসুনিন নামক উপাদানটি ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে কার্যকর। বেগুন কোলন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে:
বেগুনে থাকা নাসুনিন নামক উপাদান মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং মনোযোগ বাড়াতেও সহায়ক।
ওজন কমাতে সহায়ক:
বেগুনে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে সহায়ক। ফাইবার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে:
বেগুনে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। নিয়মিত বেগুন খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
বেগুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং বলিরেখা কমাতে সহায়ক।
বেগুন একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি যা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যোগ করা উচিত। তবে, যাদের কিডনিতে পাথর বা অক্সালেট-এর সমস্যা রয়েছে, তাদের বেগুন খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত