Скачать или смотреть বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে বেকসুর খালাস দিয়েছে শিলং আদালত, শিগগিরই দেশে ফিরবেন

সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতে অনুপ্রবেশের দায় হতে বেকসুর খালাস দিয়েছে শিলং আদালত, শিগগিরই দেশে ফিরবেন।

ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর ভারত সরকার এবং সেদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জানিয়েছেন, যত শিগগির সম্ভব তাকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্যও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফরেনার্স অ্যাক্টে ২০১৫ সালে সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ। শুক্রবার, ওই মামলায় তাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন শিলং আদালত।

সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে এই মামলা তিন বছর ধরে চলছে। আর এই মামলা চলাকালিন মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কার্যত বন্দি জীবন কাটিয়েছেন তিনি। অবশেষে শুক্রবার ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের এই মামলা থেকে সালাউদ্দিন আহমেদকে বেকসুর খালাস দেয় শিলং আদালত। রায়ে শোনার পর ভারতের বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাস। সুবিচার পেয়েছেন বলে স্বস্থি প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। বলেন, দেশের ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষ করছেন।

২০১৫ সালের ৫ই জানুয়ারীতে শুরু হওয়া বিএনপির টানা ৩ মাসের অবরোধের সময় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ গোপন স্থান থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে কর্মসূচি দিতেন। সেরকম এক পরিস্থিতিতে সে বছরের ১০ই মার্চ রাতে তার সহধর্মিনী হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিচয়ে উত্তরার বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সে ঘটনার প্রায় দুই মাস পর বিএনপির এই নেতাকে ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে খুঁজে পায় স্থানীয় পুলিশ। তখন ভারতে প্রবেশের বৈধ কাগজ দেখাতে পারেন নি তিনি।পুলিশকে বলেন, ঢাকার উত্তরা থেকে অপহৃত হওয়ার পর আর কিছু মনে নেই তার। শিলংয়ের মানসিক হাসপাতালেও ভর্তি করা হয় তাকে। পরে ওই বছর জুনে শিলং পুলিশ, তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়।