Скачать или смотреть IBD রুগীদের জন্য জীবন পরিবর্তনকারী পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

🥗 খাদ্যাভ্যাস

IBD রোগীর খাদ্যতালিকা অনেকাংশে নির্ভর করে রোগের অ্যাকটিভ (flare-up) নাকি রেমিশন (শান্ত) অবস্থায় আছেন তার উপর।

🔥 Flare-up অবস্থায়

লো-ফাইবার ডায়েট (কম আঁশযুক্ত) খেতে হবে – যেমন সাদা ভাত, নরম রুটি, সেদ্ধ আলু, কলা।

মশলাযুক্ত, তেলেভাজা, দুধজাত খাবার, কফি ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা।

হজমে সহজ এমন খাবার – খিচুড়ি, স্যুপ, সেদ্ধ সবজি, ডিমের সাদা অংশ।

পর্যাপ্ত পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট (ORS, নারিকেল পানি)।

🌿 রেমিশন অবস্থায়

ধীরে ধীরে ফাইবার (ওটস, নরম সবজি, আপেল, পাকা পেঁপে) যুক্ত করা।

প্রোবায়োটিকস (দই, ফারমেন্টেড খাবার) যোগ করা যেতে পারে।

ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার (মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড) প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট (বিশেষ করে ভিটামিন D, B12, ক্যালসিয়াম, আয়রন) প্রয়োজন হতে পারে।

🧘 জীবনযাপন

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মেডিটেশন, নামাজ, যোগ, শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম।

নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা হাঁটা, যোগব্যায়াম প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমায়।

পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম ইমিউন সিস্টেমকে সাপোর্ট করে।

ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ: বিশেষ করে Crohn’s রোগে ধূমপান অবস্থাকে খারাপ করে।

💊 চিকিৎসা (চিকিৎসকের অধীনে)

IBD-তে মেডিসিন অপরিহার্য, যেমনঃ

Aminosalicylates (5-ASA) – প্রদাহ কমায়

Corticosteroids – ফ্লেয়ার-আপে ব্যবহার হয়

Immunomodulators – দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণে

Biologics (Anti-TNF, Vedolizumab, Ustekinumab) – জটিল ক্ষেত্রে

সার্জারি – যখন ওষুধে নিয়ন্ত্রণে আসে না (বিশেষত UC তে কোলন রিমুভাল, Crohn’s এ স্ট্রিকচার বা ফিস্টুলা সার্জারি)

🛑 যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে

নিজে থেকে ওষুধ বন্ধ করা যাবে না

NSAIDs (যেমন ব্যথানাশক পেইনকিলার) ব্যবহার এড়িয়ে চলা

অতিরিক্ত ফাস্টফুড, জাঙ্ক ফুড, মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা

রোগ flare-up এর শুরুতেই ডাক্তারকে জানানো

📌 সারসংক্ষেপ

IBD রোগীকে তিনটি দিক মাথায় রাখতে হবে:

সঠিক ওষুধ নিয়মিত খাওয়া (ডাক্তারের নির্দেশে)

ডায়েট মেইনটেইন করা (ফ্লেয়ার-আপ বনাম রেমিশন আলাদা খাবার)

স্ট্রেস, ঘুম ও লাইফস্টাইল কন্ট্রোল