কবুতর পালন করে লাভবান হওয়ার উপায়
কবুতর পালনে লাভবান হওয়ার কৌশল আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে অনেকেই শখের বসে আবার কেউ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতর পালন করে থাকে। কবুতর পালন করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আসুন জেনে নেই কবুতর পালন করে লাভবান হওয়ার কৌশল সম্পর্কে-
কবুতর পালনে লাভবান হওয়ার কৌশলঃ
কবুতর পালনের সুবিধাসমূহঃ
কবুতর পালনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কবুতর সহজেই পোষ মানে এবং এর পালন খরচও অনেকগুনে কম। কবুতরের রোগ-ব্যাধিও অনেকগুনে কম হয়। এছাড়াও কবুতর অল্প জায়গাতেই পালন করা যায়। মুক্তভাবে পালন করা যায় বলে খাবার খরচও কম।
কবুতরের পালন ব্যবস্থাঃ
সাধারণত কবুতর মুক্ত কিংবা খাঁচায় উভয় পদ্ধতিতে পালন করা যায়। কাঠ দিয়ে ঘর তৈরি করেও কবুতর পালন করা যায়। এমনকি গ্রামের বাড়ির চালের কোণায় ঝুড়ি বেঁধে দিলে সেখানেও কবুতর বসবাস করে। এই ক্ষেত্রে ডিম ফোটার হার প্রায় ৯৮%। কবুতরের ডিম হতে বাচ্চা ফুটতে প্রায় ১৮ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
কবুতরের বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য কবুতরের প্রাকৃতিকভাবে দুধ উৎপন্ন হয় যাতে পানি থাকে ৭০%, আমিষ থাকে ১৭.৫%, চর্বি থাকে ১০%, খনিজ পদার্থ থাকে ২.৫%। কবুতরের দৈহিক ওজন সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম হয়ে থাকে। কবুতরের শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৮.৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে।
কবুতরের জাত নির্বাচনঃ
বাংলাদেশে ১০০ টিরও বেশি জাতের কবুতর রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে কিছু বিদেশি কবুতরও দেখা যায়। জাতগুলো হলো- গোলা, গোলি, ময়ূরপঙ্খী, ফ্যানটেল, টাম্বলার, লোটান, লাহরি, কিং, জ্যাকোবিন, মুকি, সিরাজী, গ্রীবাজ, চন্দন প্রভৃতি।
কবুতরের খাদ্যঃ
কবুতরের খাদ্যে পরিমাণমতো আমিষ, চর্বি, শর্করা, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি উপাদান রাখা উচিত। একটি কবুতর প্রতিদিন সাধারণত ৩০-৫০ গ্রাম খাবার গ্রহণ করে। শীতকালে প্রতিদিন পানি গ্রহণের পরিমাণ ৩০ থেকে ৬০ মিলিলিটার এবং গ্রীষ্মকালে ৬০ থেকে ১০০ মিলি।
শস্যদানাঃ
কবুতরের প্রধান খাবার শস্যদানা। শস্যদানাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গম, ভুট্টা, যব, মটর, খেসারি, সরিষা, চাল, ধান, কলাই ইত্যাদি।
বাণিজ্যিক খাদ্যঃ
কবুতরের বাণিজ্যিক খাবারের সাথে অস্থিচূর্ণ বা চুনাপাথর বা ঝিনুকের গুঁড়া, ভিটামিন বা এমাইনো অ্যাসিড প্রিমিক্স, লবণ ইত্যাদিও মিশ্রিত করা হয়ে থাকে।
কবুতরের রোগ ও চিকিৎসাঃ
অন্যান্য পশুপাখির তুলনায় কবুতরের রোগ-ব্যাধি অনেকগুনে কম হয়ে থাকে। সাধারণত কবুতরের যে রোগগুলো হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাণীক্ষেত ও পক্স। তাছাড়াও কিছু পরজীবীর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। সেজন্য কবুতরকে সময়মতো টিকা দিতে হবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে। প্রতিদিন কবুতরকে সুষম খাদ্য দিলে ও পর্যাপ্ত আলো, বাতাসের ব্যবস্থা থাকলে রোগ-ব্যাধি অনেকগুনে কম হয়ে থাকে।
কবুতরের যত্ন ও চিকিৎসা: • কবুতরের যত্ন ও চিকিৎসা: পর্ব- ২ @ পথে ও প...
কবুতরের ঘর তৈরীর নিয়ম: • কবুতরের ঘর তৈরির নিয়ম
Информация по комментариям в разработке