বরিশাল ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের স্মৃতি কথা || Aswini Kumar Dutta is founder of Brojomohan School
ব্রজমোহন বিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৮৪ সালে ব্রজমোহন ইনস্টিটিউশন নামে প্রথম শ্রেণীর ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বরিশাল জিলা স্কুল এর পরে এটি বরিশাল শহরের দ্বিতীয় প্রাচীনতম উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে এখানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীতে পাঠদান করা হয়।
এছাড়া ব্রজমোহন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ বরিশালের বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কেন্দ্র ও বিদ্যালয়ের বিস্তৃত মাঠে প্রতিবছর বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮৮৪ সালের ২৭ জুন প্রখ্যাত সমাজসেবক, রাজনীতিক ও শিক্ষানুরাগী অশ্বিনীকুমার দত্ত তার বাবা, বাবু ব্রজমোহন দত্তের নামে বরিশাল শহরে কালীবাড়ী রোড এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। [৩][৪] শুরুতে এটি ব্রজমোহন ইনস্টিটিউশন নামে পরিচিত হলেও পরবর্তীতে ব্রজমোহন বিদ্যালয় হিসেবে এর নামকরণ করা হয়। সেসময় এটি ছিল বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন উচ্চ বিদ্যালয়।
জীবনানন্দের ইশকুল
রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের একজন কৃতি শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯০৮ সালের জানুয়ারিতে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সে হিসেবে ১৯১৪ সালেই তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিতে পারতেন। কিন্তু তখন নিয়ম ছিল, যে বছর তিনি পরীক্ষা দেবেন সে বছরের পয়লা মার্চ তার বয়স ১৬ বছর হতে হবে। ফলে তাকে ম্যাট্রিক পরীক্ষার জন্য আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। ১৯১৫ সালে এই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন জীবনানন্দ। তার বাবা সত্যানন্দ দাশও ১৯১০-১১ সাল থেকে এই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ইংরেজি পড়াতেন। পরে ১৯২১ সালে বিএম স্কুল ন্যাশনাল স্কুল হয়ে গেলে তার মুখোমুখিই মডেল স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। সত্যানন্দ সেখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। জীবনানন্দের ছোট ভাই অশোকানন্দ দাশও বিএম স্কুলের ছাত্র ছিলেন। যদিও পরে, পুনরায় কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়।
১৯৭১ সালের মার্চের শেষে বি এম স্কুলের বিস্তৃর্ণ মাঠে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ। বিএম কলেজের ছাত্রদের ইউ.ও.টি.সি.র প্লাটুন নিয়ে শামসুদ্দিন খানের নেতৃত্বে ২০টি ফায়ারিং পিন ছাড়া থ্রি নট থ্রি ১০ টি ডামি রাইফেল নিয়ে প্লাটুন সদস্য সার্জেন্ট আনিস, দীপক, ইউনুস, কর্পোরাল ফারুক, এহসানকে নিয়ে বি এম স্কুল মাঠে প্রতিদিন ২৫০ জন মুক্তিকামী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রণকৌশল ও অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আগের বছরই ঢাকার মৌচাকে ক্যাম্পে সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করে এ.টি.এম. ফারুক করপোরাল উপাধি পেয়েছিলেন।
তথ্যসূত্রঃ
বার্তাশাল
মুহাম্মাদ ওয়াহিদুর রহমান
*সুরেশচন্দ্র গুপ্ত। অশ্বিনীকুমার জীবনচরিত, পৃঃ ১৪৭, ১৬৫-১৫৭
*Jubilee : BROJOMOHUN INSTITUTION-A short history of B. M. Inate. pp. 8.
*শ্রীশরৎকুমার রায়, মহাত্মা অশ্বিনীকুমার, পৃঃ ৭০,
*ব্রজমােহন কলেজ বার্ষিকী ১৯৭১-৭৫
Calcutta University Calender Report, Brajamohan Institution, 1889, p. 296-297
*মুক্তিযুদ্ধের ২৫ বছর, স্মারক গ্রন্থ, ১৯৯৬, পৃঃ ১১৩
ব্রজমােহন কলেজ শতবার্ষিকী স্মারক ম্যাগাজিন ১৮৮৯-১৯৮৯, নিবন্ধ, মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত, শিক্ষাবিস্তারে ব্রজমোহন কলেজের ভূমিকা, পৃঃ ২১-৩২
*আমীন আল রশীদ, “জীবনানন্দের ইশকুল”, “স্কুলটি কেমন আছে এখন” অনুচ্ছেদ হুবহু উদ্ধৃত)
ব্রজমোহন বিদ্যালয় শতবার্ষিকী স্মারক পুস্তিকা, পৃষ্ঠা ১২ *অশোকানন্দ দাশ, জীবনানন্দের প্রাকৃতিক ও পারিবারিক পরিবেশ, উত্তরসূরী, পৌষ-ফাল্গুন ১৩৬১
Brojomohon Institution(B.M.School)is a traditional institution for acquiring education.It is situated in the heart of Barisal city founded by a great man mahatma aswini kumar Dutta. in 1884 It was his everlasting glory known formerly as'Oxford of Bengal- When the students did not know how to tell a lie or to adopt unfair means in the examination hall without invigilators.This institution has three idealas;`truthfulness" `Love" and Purity"It is workshop that produces educated man. It is such an institution where the students acquire knowledge, learn discipline and behaviour and would their moral character. This school has four buldings,One big hall room, a big library, a labrotory, a computer lab and a big playground, The result of J.S.C and S.S.C examination have all along been very good. It has earned a very good reputation. It is one of the best schools in Bangladesh.
Music: www.bensound.com
https://www.bensound.com/
Информация по комментариям в разработке