Скачать или смотреть Sahid Minar Kolkata - Manument Kolkata । কলিকাতার মনুমেন্ট । শহীদ মিনারের ইতিহাস

Ask2Q সম্পূর্ণ জানতে এখনই ক্লিক করুন...... http://bit.ly/3cM6RYB
শহীদ মিনারের ইতিহাস,কলিকাতা


শহীদ মিনার কলিকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় অবস্থিত একটি স্মৃতিসৌধ। একে মনুমেন্টও বলা হয়। এটি মধ্য কলিকাতার ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত। স্তম্ভটির উচ্চতা ৪৮ মিটার বা ১৫৭ ফুট ।এই মনুমেন্টের নিচের অংশটি মিশরীয় স্থাপত্যের আদলে তৈরী করা হয়েছে। এর উপরের অংশটি সিরিয়া এবং গম্বুজটি তুর্কি ধাঁচের। মনুমেন্টের উপরে দুটি বারান্দা আছে। মিনারের উপরের তলায় যেতে হলে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে। এখানে সিঁড়িটি গোল করে ঘোরানো। এখানে মোট ২২৩ টি সিঁড়ি রয়েছে।এই মনুমেন্টটি তৈরী করেছিল বার্ণ এ্যান্ড কোম্পানী।

স্বাধীনতার আগে এই স্মৃতি সৌধটি অবশ্য শহীদ মিনার নামে পরিচিত ছিল না। এই স্মৃতি সৌধটির আগেকার নাম ছিল অক্টারলোনি মনুমেন্ট। ১৮২৫ সালে এই মিনারের নির্মাণ কার্য শুরু হয়েছিল এবং ১৮২৮ সালে এই সৌধটি স্থাপিত হয়েছিল। এই সৌধটি ডেভিড অক্টারলোনির স্মৃতিতে তৈরী করা হয়। ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কম্যান্ডার মেজর-জেনারেল ছিলেন তিনি।



১৮০৪ সালে দিল্লীতে মারাঠাদের বিরূদ্ধে তার দুর্দান্ত লড়াই তখন ইংরেজদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছিল। ইঙ্গ নেপাল যুদ্ধে গোর্খাদের বিরুদ্ধে তার সুদক্ষ নেতৃত্বে কোম্পানির বাহিনীর বিজয় হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ডেভিড অক্টারলোনিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই সৌধটি নির্মিত হয়েছিল। সৌধটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন জে. পি. পার্কার। এই সৌধটি নির্মিত করতে সরকারি কোষাগারের অর্থ ব্যয় হয়েছিল।তৎকালীন দিনে এর জন্য খরচ হয়েছিল ৩৫০০০ টাকা।


পরবর্তী সময়ে ১৯৬৯ সালের ৯ই অগস্ট যুক্তফ্রন্ট সরকার এই স্মৃতিসৌধটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিহত শহিদদের উদ্দেশে উৎসর্গিত করে। তখন থেকে এর নামকরণ মনুমেন্টের বদলে “শহিদ মিনার” করা হয়। সেই সময় এখানে একটি ফলক লাগানো হয়।বর্তমানে শহীদ মিনারকে রাতের আলোয় আকর্ষণীয় করার জন্য আলোক মালা দিয়ে সাজানো হয়েছে।সাজানো আলোকমালায় দূর থেকে এটিকে দেখতে খুব ভালো লাগে।শহীদ মিনারের সামনের অংশটিতে রয়েছে সুন্দর পরিপাটি বাগান।নানান ফুল গাছের মাঝে ঘাসের লেখা শহীদ মিনার।



শহীদ মিনারের পূর্ব দিকে রয়েছে ধর্মতলা বাস টার্মিনাস।এখানে বাংলার বিভিন্ন জায়গার বাস ছাড়ে।কলিকাতা শহরের প্রধান বাস স্ট্যান্ড এটি।সবসময় এখানে ভীড় লেগেই রয়েছে। শহীদ মিনারের দক্ষিণে রয়েছে একটি বড়ো মাঠ। মাঠটির নাম শহীদ মিনার ময়দান। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সমাবেশ ও মেলা আয়োজিত হয়।



১৯৩১ সালে এই মাঠে প্রথম রাজনৈতিক সমাবেশ হয়েছিল। সেসময় ইংরেজ সরকার হিজলি জেলে তরুণ বন্দিদের হত্যা করেছিল।এরই প্রতিবাদে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের পৌরোহিত্য এই সভাটি হয়েছিল।ওই সভায় তিনি খুব প্রতিবাদী ভাষণ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এখানে অনেক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই শহীদ মিনারকে আলোকমালা দিয়ে সাজানোর এবং দর্শকরা যাতে উপরে উঠতে পারে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শহীর মিনারের উপরে উঠতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। লালবাজার পুলিশের সদর দফতরে ঠিকানা ও ফটো আইডির জেরক্স কপি জমা দিতে হয়। বহিরাগত পর্যটকদের ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা। তাদের হোটেলের নথি এবং পাসপোর্টের অনুলিপি জমা রাখতে হয়। লন্ডন আই যেমন ঠিক ওই ভাবে শহীদ মিনারের উপর থেকেও কলকাতার অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।


সপ্তাহের সাতদিনই সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা অবধি শহীদ মিনার খোলা থাকে | শহিদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও প্রবেশমূল্য প্রয়োজন নেই |


শহিদ মিনারের ঠিকানা হল ধর্মতলা বাস স্টপ ‚ ডাফরিন রোড ‚ কোলকাতা- ৭০০০৬৯ |


#HistoryofSahidminar
#শহীদমিনার
#অক্টারলোনিমনুমেন্ট

nearest tourist place of kolkata
tourist place kolkata
eden garden
ganges
ganga
ganga nadi
ing nepal war
ganga river
maidan
maidan market
rabindra nath thakur
sahid
david octaloni
octaloni
ingrage
piller
british
east india company
memory
smriti
smriti saudha
dharmatala metro
ধর্মতলা মেট্রো
স্মৃতি
স্মরণে
ইঙ্গ নেপাল যুদ্ধ
গম্বুজ
স্মৃতি সৌধ
ইংরেজ
ডেভিড অক্টারলোনি
ব্রটিশ
শহীদ
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
ময়দান
ময়দান মার্কেট
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর
ইডেন গার্ডেন
গঙ্গা নদী
গঙ্গা
বার্ণ এ্যান্ড কোম্পানী
কলিাতার ঘোরার জায়গা
কলিকাতার আশেপাশে ঘোরার জায়গা