Скачать или смотреть যেসব খাবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় | List Of Foods That Destroy | যেসব খাবার খাওয়া ক্ষতি|TipsBangla

যেসব খাবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়-List Of Foods That Destroy.

Welcome My TipsBangla Channel.
#healthtips
#ListOfFoodsThatDestroy
#TipsBangla
Thanks For Watching Video.

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হলে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমরা অজান্তেই এমন সব খাবার খাই, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। সুতরাং ইমিউনিটি কমিয়ে দেয় এমন খাবার সম্পর্কে জানতে হবে সবার। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়...

ফাস্ট ফুড: খুব কম মানুষই আছেন যারা ফাস্ট ফুড খান না। কিন্তু এই ফাস্ট ফুড যে আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ সেটা কি একবারও ভেবে দেখেছি আমরা? ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও লবন থাকে। আঁশ থাকে খুব কম। ফলে এই খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। যা আমাদেরকে মুটিয়ে যাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। ওবেসিটি বা স্থুলতা হলো সকল রোগের মা। 

সুতরাং ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে আপনি যত বেশি মুটিয়ে যাবেন তত বেশি রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রক্রিয়ার ধরন পাল্টে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

টেস্টিং সল্ট বা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) সমৃদ্ধ খাবার: তৈরিকৃত (রেডি টু ইট) ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণ। প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই কোনো না কোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া হচ্ছে নিয়মিতই। এই প্রক্রিয়াজাত খাবারে হরহামেশাই ব্যবহৃত হচ্ছে টেস্টিং সল্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, টেস্টিং সল্ট থাইমাস ও স্প্লিনের ক্রিয়াকলাপ কমিয়ে দেয়। ফলে টি-সেল ও বি-সেল এর উৎপাদন কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এছাড়া এই টেস্টিং সল্ট ইন্টারলিউকিনের উৎপাদনও কমিয়ে দেয়। রোগাক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।

ক্যাফেইন: আমরা প্রতিদিনই চা পান করি। এটাও সবাই জানি যে চা’তে ক্যাফেইন পাওয়া যায়। গবেষণা বলছে, অতিরিক্তি ক্যাফেইন গ্রহণে দেহে টি-সেল ও ইন্টারলিউকিন এর উৎপাদন কমে যায়। এভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।

অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়: অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পানে ম্যাক্রোফেজ, ইমিউনোগ্লোবিউলিন ও সাইটোকাইন-এর কার্যক্ষমতা কমে যায়। এই উপাদানই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যখন এগুলোর কার্যক্ষমতা কমে যাবে তখন খুব সহজেই দেহ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হবে।

অতিরিক্ত কীটনাশক সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি: কৃষকরা ফলমূল ও শাকসবজিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো খাওয়ার পর আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারি ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিকসগুলোকে মেরে ফেলে। ফলে আন্ত্রিক গোলযোগ শুরু হয়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ে।

চিনিসমৃদ্ধ জলখাবার: প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় থাকা বেশিরভাগ জলখাবারই চিনিসমৃদ্ধ। চিনি হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের জন্য সবচেয়ে উপাদেয় খাদ্য। তাই আমরা যত বেশি চিনিসমৃদ্ধ খাবার খাবো ততবেশি ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে জন্ম নেবে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।