Скачать или смотреть র‌্যাব-১২ এর অভিযান। অপহরণ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার।

বগুড়ায় অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব। এসময় অপহরণ হওয়া আকাশ হোসেন ও সুমাইয়া আক্তার নামে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হল নারুলী এলাকার শাকিল হোসেন, জুয়েল রানা ও সাকিব হোসেন ।
র্যা ব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (স্কোয়াড্রন লিডার) তৌহিদুল মবিন খান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সাংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেপ্তার তিনজনসহ উঠতি বয়সের প্রায় ৮ জন তরুণ মিলে একটি অপহরণকারী চক্র গড়ে তোলেন। প্রায় তিন বছর যাবত তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষদের সুযোগ বুঝে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করতো। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে আকাশ হোসেন ও সুমাইয়া আক্তার পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে শহরের মাটিডালি বিমান মোড়ে দেখা করতে যান। এসময় গ্রেপ্তার তিন অপহরণকারী তাদের সহযোগীদের নিয়ে আকাশ ও সুমাইয়াকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে। পরে তাদের সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে শহরের নারুলী আকাশতারার রেল লাইন এলাকায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নারুলী আকশাতারা এলাকা থেকে আকশাকে ও তার পাশের একটি এলাকা থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করা হয়। এসময় র্যা বের হাতে তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার হয় এবং প্রায় ৭ থেকে ৮ জন অপহরণকারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অপহরণকারীরা সেখানে অপহৃত আকাশ ও সুমাইয়াকে জিম্মি করে তাদের নিজ নিজ মুঠোফোন থেকে পরিবারের কাছে ফোনে করে মুক্তিপণ দাবি করে। দাবীকৃত মুক্তিপণ না পেলে তাদের হত্যার হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা। এছাড়াও প্রাথমিকভাবে সুমাইয়ার পরিবারের থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা আদায় করে তারা।
অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়া অপহরণকারীদের মধ্যে রাহুল,ইমেন ও হাছান নামের তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে শানাক্তসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার শাকিলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। প্রায় ১১ মাস জেলহাজতে থাকার পরে সম্প্রতি জামিনে যুক্তি পায়। এরপর আবারও শাকিল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে।