Скачать или смотреть আম গাছের জোড় কলম পদ্ধতি।

আম গাছের জোড় কলম পদ্ধতি (Grafting method) একটি জনপ্রিয় কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি, যার মাধ্যমে উন্নত জাতের আমগাছ তৈরি করা হয়। এতে একটি ভালো জাতের আমগাছের অংশকে (scion) অন্য একটি শক্তিশালী গাছের অংশের (rootstock) সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নিচে ধাপে ধাপে জোড় কলম পদ্ধতির বিবরণ দেওয়া হলো:

✅ জোড় কলম পদ্ধতির ধাপসমূহ:
১. মূলগাছ (Rootstock) প্রস্তুতি:
বীজ থেকে চারা তৈরি করে নিতে হয়।

সাধারণত ৬ মাস বা তার বেশি বয়সের স্বাস্থ্যবান চারা নির্বাচন করা হয়।

চারার উচ্চতা ৩০–৪৫ সেমি হলে উপযুক্ত।

২. উন্নত জাতের ডাল (Scion) সংগ্রহ:
ভালো ফলদায়ী জাত যেমন হিমসাগর, ল্যাংড়া ইত্যাদি জাতের গাছ থেকে ডাল কাটা হয়।

ডালটি ১০–১৫ সেমি লম্বা হয় এবং কমপক্ষে ২–৩টি গাঁট (node) থাকে।

পাতাহীন, সবল, সোজা ও রোগমুক্ত ডাল নির্বাচন করা উচিত।

৩. কলম লাগানো (Grafting):
Rootstock-এর মাথা কেটে ফেলে সেখানে নিচ থেকে ওপরের দিকে “V” আকৃতির কাট তৈরি করা হয়।

Scion-এর নিচের অংশে ত্রিভুজ বা ছুরি দিয়ে তেমনি আকৃতির কাট দেওয়া হয়, যাতে এটি rootstock-এর “V” অংশে ভালোভাবে ফিট করে।

দুইটি অংশ ঠিকভাবে মেলানো হয় এবং পলিথিন বা grafting tape দিয়ে ভালোভাবে পেঁচিয়ে বাঁধা হয়।

৪. পরবর্তী যত্ন:
কলম বাঁধার পর ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে দিনে ১–২ বার পানি দিতে হয়।

প্রায় ২–৩ সপ্তাহের মধ্যে কলম অংশ জোড়া লেগে যায়।

যখন নতুন কুঁড়ি গজাতে শুরু করে, তখন পলিথিন খুলে দিতে হয়।

📌 উপকারিতা:
দ্রুত ফল পাওয়া যায়।

উন্নত জাতের গাছ সহজে তৈরি করা যায়।

একই জাতের মান বজায় থাকে।

শীত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

⏳ উপযুক্ত সময়:
সাধারণত বর্ষা মৌসুমের আগে অর্থাৎ মার্চ থেকে জুন মাসে জোড় কলম করা সবচেয়ে ভালো।

প্রয়োজনে আমি চিত্র বা ধাপে ধাপে ডায়াগ্রামও তৈরি করে দিতে পারি। চাইলে বলুন।