২০২৪ সালের নেচার টপ ১০ এ ড. মুহাম্মদ ইউনুস | Dr. Muhammad Yunus | Nation Builder | Inside Business
বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার তাদের ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই স্বীকৃতি এসেছে সমাজে তার বহুমুখী অবদানের জন্য। নেচার তাকে বর্ণনা করেছে একজন ‘জাতি গড়ার কারিগর’ বা “Nation Builder” হিসেবে, কারণ তিনি তার কাজের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।” আজকের ভিডিওতে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের এই অর্জন এবং তার সামাজিক অবদানমূলক কাজগুলো সম্পর্কে জানবো।
“নেচার টপ টেন তালিকাটি প্রতি বছর বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এবং এগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেয়। এর মাধ্যমে শুধু মানুষের অবদানই নয়, পাশাপাশি বিজ্ঞানের ট্রেন্ড ও সমাজে তার প্রভাবকেও তুলে ধরা হয়। এই তালিকাটি নেচার এর সম্পাদকরা অত্যন্ত যত্ন সহকার তৈরি করেন, যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনন্য অর্জন এবং সমাজ ও বিশ্ব গঠনে অবদান রাখা ব্যক্তিদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।
“এ বছরের তালিকায় রয়েছে বিস্তৃত পরিসরের বিভিন্ন অসাধারণ কাজ। যেমন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ধারণাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা থেকে শুরু করে একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়া পর্যন্ত। এই অর্জনগুলো দেখায় কীভাবে বিজ্ঞান এবং নেতৃত্ব সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।”
“ড. ইউনুস, যাকে ‘গরিবের ব্যাংকার’ বলা হয়, ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার করেন। যার মাধ্যমে অর্থনীতির এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। তার উদ্ভাবিত ধারণাটি ছিল মাইক্রোক্রেডিট —এই প্রক্রিয়ায় খুব ছোট ঋণ প্রদান করা হয়, অনেক সময় ১০০ ডলারেরও কম। মাইক্রোক্রেডিট দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে মহিলাদের, দারিদ্র্যের শেকল থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছে।”
“তার নেতৃত্বে গ্রামীণ ব্যাংক অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করে, যেখানে ঋণ পরিশোধের হার ৯৮ শতাংশেরও বেশি। এই মডেল শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং দেখিয়েছে কীভাবে মাইক্রোফাইন্যান্স অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
“ড. ইউনুসের অবদান বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়। ২০০৬ সালে, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তিনি সেই বিরল ব্যক্তিদের একজন, যারা এই পুরস্কারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতির মধ্যে রয়েছে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ এবং সিওল পিস প্রাইজ।”
“মাইক্রোক্রেডিটের বাইরেও, ড. ইউনুস সামাজিক ব্যবসার ধারণা প্রচলন করেন—যেখানে ব্যবসার উদ্দেশ্য থাকে সামাজিক সমস্যার সমাধান করা, মুনাফা বাড়ানো নয়। এই ধারণা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষার মতো সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
“২০২৪ সালে, ৮৪ বছর বয়সে, ড. ইউনুস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার অঙ্গীকার বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে।”
“জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে, ড. ইউনুস পরিবেশ দূষণের জন্য ধনী দেশগুলোর কড়া সমালোচনা করেন এবং জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবি তোলেন। তার এই দৃঢ় অবস্থান বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় তার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।”
“দারিদ্র্য নির্মূল, সামাজিক উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অবিচল প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। নেচার তাকে ২০২৪ সালের সেরা ব্যক্তিত্বদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তার মানবিক অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়েছে।”
ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ। এমন আরো তথ্যমূলক ভিডিও দেখতে চাইলে লাইক, শেয়ার, সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন।
Keyword:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস,ড. ইউনূস,ড. মুহাম্মদ ইউনুস,মুহাম্মদ ইউনূস,ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর সম্পদ,কে এই ড. মুহাম্মদ ইউনূস,রংপুরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস,একনজরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস,বাংলাদেশে অবতরণ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস,ড.মুহাম্মদ ইউনূস,ড মুহাম্মদ ইউনূস,ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও আমেরিকার সম্পর্ক কীভাবে তৈরি হয়েছিল,বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তার আমেরিকার সাথে যোগসূত্র,অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস,কেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং নোবেল বিজয়ী
Информация по комментариям в разработке