Скачать или смотреть কথিক স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা!• মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে লাশ ফ্রিজে সংরক্ষন!! 24-02-2021

কথিক স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা!
• মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে লাশ ফ্রিজে সংরক্ষন!!
• লাশ গুমের চেষ্টায় দেহের খন্ডিত অংশ ময়লার স্তুপে নিক্ষেপ!!!
• ঘটনার ১০ মাস পরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ জেলা!!!!
ঘটনার বিবরন এই যে, গত ০৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ দুপুর ১২:১৫ ঘটিকার সময় ফতুল্লা থানাধীন বাড়ৈভোগ বটতলা সাকিনস্থ বলয় ও আকালের বাড়ীর পিছনে ডোবার মধ্যে অজ্ঞাত মহিলা(২৮)’র খন্ডিত মাথা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ উক্ত বিষয়ে সংবাদ পেয়ে কর্তব্যরত এসআই (নিঃ) আশিক ইমরান ঘটনাস্থলে এসে উক্ত অজ্ঞাত মহিলার গলা কাটা মাথা উদ্ধার করে বিধি মোতাবেক সুররতহাল রিপর্টো প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন। গত ০৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ এর ৪/৫ দিন পূর্বে অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা উক্ত অজ্ঞাত মাহিলাকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ডিসিস্টের গলা কাঁটা মাথা ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) আশিক ইমরান বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় এজাহার দায়ের করলে ফতুল্লা থানার মামলা নং- ১৯, তারিখ- ০৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ, ধারা:- ৩০২/২০১/৩৪ দন্ডিবিধি রুজু হয়। ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সঞ্জয় কুমার সরকার মামলাটি গত ০৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ হতে গত ২২/০৫/২০২১ খ্রিঃ পর্যন্ত তদন্ত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ হেঃ কোঃ এর নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ জেলার উপর অর্পিত হলে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) এ.কে.এম নাসির উল্ল্যাহ্ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। তাঁর বদলী জনিত কারণে পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সাইফুল আলম এর অপর অর্পিত হয়। তদন্তকালে তিনি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ মর্মে গত ২২/০২/২০২১ খ্রিঃ রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন এনায়েতপুর সাকিন হতে মোঃ রাসেল (২৯), পিতা- হাবিবুর রহমান, সাং- কুমুরগঞ্জ, থানা- মিঠাপুকুর, জেলা- রংপুরকে গ্রেফতার করে পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে হাজির হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে যে, গলাকাটা মাথাটি তার কথিত স্ত্রী তানজিনা (২৫), পিতা- মোঃ আঃ জলিল, সাং- চিথলী, থানা- মিঠাপুকুর, জেলা-রংপুর এর খন্ডিত মাথা। ধৃত আসামী রাসেল গত ২০০৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগ হতে জিপিএ ৫.০০ এসএসসি এবং ২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় একই বিভাগ হতে জিপিএ ৩.৭০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে সে জীবন জীবিকার তাগিদে ঢাকার সাভার এলাকায় চলে আসে এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত সেখানে সানি ট্রেডার্স নামীয় একটি সিমেন্টের দোকানে চাকুরী করে। পরে সে নারায়ণগঞ্জ জেলায় এসে রনি নীট গার্মেন্টেস চাকুরী করে। এরমধ্যে তার পার্শ্ববর্তী এলাকার অত্র মামলার ভিকটিম তানজিনার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু আসামী খর্বাকৃতির ও কালো বর্ণের হওয়ায় ভিকটিম তানজিনার পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নিলে আসামী রাসেল পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মোনালিসা নামীয় একটি মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। উক্ত বিবাহের সংবাদ শুনে ভিকটিম তানজিনা তার পরিবারের সদস্যদের দ্বন্দ্ব কলহ করে বাড়ী থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে আসে এবং গার্মেন্টেস এ চাকুরী নেয়। এসময় আসামী রাসেলে সাথে ভিকটিম তানজিনার পূনরায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়(যদিও এ সংক্রান্তে বস্তু নিষ্ঠ কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি। এরপর থেকে ভিকটিম তানজিনা এবং আসামী রাসেল স্বামী স্ত্রী হিসেবে ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ আদর্শ নগর রঙ্গিলা রোডস্থ মোঃ নোয়াব এর বাড়ীর ৩য় তলায় বাসায় বসবাস শুরু করে। কিন্তু বিবাহের পর থেকেই ভিকটিম তানজিনা আসামী রাসেল এর মৃত বোনের স্বামী মোস্তফা সহবিভিন্ন পর পুরুষের সাথে গোপনে কথা বলা শুরু করে। উক্ত বিষয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। ঘটনারদিন গত ২৯/০৩/২০২১ সালে রাত অনুমান ০৩:০০ ঘটিকায় রাসেল শবে বরাতের নামাজ শেষে বাড়ী ফিরে ভিকটিম তানজিনাকে অন্যত্র মোবাইলে কথা বলতে দেখে রাগান্বিত হয়ে ভিকটিমকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে আসামী রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ঘরে থাকা রান্নার কাজে ব্যবহার করা বটি দিয়ে তানজিনার গলায় আঘাত করে। এতে তার গলা কেটে রক্ত বের হয় এবং সঙ্গা হারিয়ে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পরে। পরে আসামী বটি দিয়ে ভিকটিমের ধর থেকে মাথা কেটে আলাদা করে ফেলে। এবং হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয়। আসামী গত ২৯/০৩/২০২১ তারিখের পরে বিভিন্ন সময়ে খন্ডিত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ তার বাসার ছাদ থেকে পার্শ্ববর্তী ময়লার স্তুপের মধ্যে ফেলে দেয়। সর্বশেষ গত ০৪/০৪/২০২১ খ্রিঃ গভীর রাতে ভিকটিমের খন্ডিত মাথা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভর্তি করে অত্র মামলার ঘটনাস্থল ফতুল্লা থানাধীন বাড়ৈভোগ বটতলা সাকিনস্থ বলয় ও আকালের বাড়ীর পিছনে ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়। এই ঘটনার পরে আসামী তার ভাড়া বাসা ছেড়ে হাড়ি পাতিল ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত বটি নিয়ে গোপনে পালিয়ে যায় এবং সোনারগাঁ থানাধীন ছোট সাদিপুর এলাকায় জনৈক ফিরোজ হোসেনের একটি টিন সেড ঘর ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্মীয় স্বজন তার খোঁজ খবর না পেয়ে ভিকটিম তানজিনার ভাগিনা পলাশ ফতুল্লা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে। উক্ত জিডির সূত্র ধরে থানা থেকে আসামীকে ফোন দিলে সে সোনারগাঁ থেকে পালিয়ে যায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত আসামী রাসেল বিভিন্ন সমযে নামে বেনামে ২৫(পঁচিশ) টি মোবাইল এবং ১৫ (পনের) টি সিম ব্যবহার করে এবং তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাড়া বাসা থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত বটি ও মৃতদেহ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত ফ্রিজ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ভিকটিম তানজিনার ব্যবহৃত মোবাইলটি ধৃত আসামী রাসেলের বোন আশার হেফাজত থেকে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের দেহের অন্যান্য খন্ডিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এবং তার অংশ বিশেষ ময়লার স্তুপ হতে উদ্ধারের লক্ষ্যে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
Bangladesh top ten news