Скачать или смотреть কপ্টিক খ্রিস্টান কারা? | Coptic Christians | গসপেল অফ টমাস | Coptic Language

কপ্টিক বা কিবতি জাতি উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের একটি জাতিধর্মী‌য় নৃগোষ্ঠী। তারা মূলত মিশরে বসবাস করে। মিশরিদের আরবিতে কিবতি বলা হয় সেই অর্থে সকল মিশরিকেই কপ্টিক বা কিবতি বলা যায় । কিন্তু কিবতি বলতে বর্তমানে মিশরের খ্রিস্টানদের একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে বুঝানো হয়।
কপট শব্দটি মিশরের গ্রিক উচ্চারণ এর অপভ্রংশ। গ্রিক Aegiptus থেকে copt শব্দটি এসেছে।

মিশরের খ্রিষ্টানদের মধ্যে কপটিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এছাড়া সুদান ও লিবিয়াতে তারা প্রধান খ্রিষ্টান গোষ্ঠী।
কপ্টিকরা সেইন্ট মার্কের অনুসারী। ৫০ খ্রিস্টাব্দে তাঁরা মিশরে আসে। কপ্টিকরা মনে করেন সেইন্ট মার্ক ছিল তাদের প্রথম পোপ। বর্তমানে পোপ অফ আলেক্সান্দ্রিয়া কপটিক গির্জা নিয়ন্ত্রণ করেন।

কিবতিরা ঐতিহাসিকভাবে কিবতি ভাষায় কথা বলে থাকে। মিশরের ভাষা হায়েরগ্লিফ থেকে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হতে হতে বিবর্তনের শেষ পর্যায়ে যে রূপ সেটাই কপটিক ভাষা। খ্রিস্টীয় ২য় / ৩য় শতক থেকে এই ভাষার নমুনা পাওয়া যায়।

তবে বর্তমানে কিবতি ভাষায় কেউ কথা বলে না, কপ্টিকরা সবাই আরবিতে যোগাযোগ করে থাকে। কিন্তু কপ্টিক খ্রিস্টানদের ধর্মীয় কাজে এখনো কপ্টিক বা কিবতি ভাষার ব্যবহার হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে মিশরের নাগ হামাদিতে অনেকগুলো বাইবেল পাওয়া যায়। যেগুলোকে বলা হয় নন-ক্যানোনিক্যাল বাইবেল, বা নিষিদ্ধ বাইবেল। এসব বাইবেল খ্রিস্টীয় প্রথম তিন শতকে রচিত, এদেরকে একসাথে নসটিক গসপেল বলা হয়, যদিও সবগুলো বাইবেল নস্টিক নয় । নস্টিক গসপেল এর মধ্যে গসপেল অফ টমাস অন্যতম, যেটি কপ্টিক ভাষায় লিখিত। ধারণা করা হয় খ্রিষ্টীয় ২ইয় শতকে এটি রচিত হয়েছিল, কেউ কেউ মনে করেন এটি আরও আগের প্রথম শতকের রচনা। কপ্টিক ভাষা খ্রিস্টানিটির প্রথম যুগের টেক্সট বুঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গসপেল অফ টমাসের আধ্যাত্মিক গভীরতা এবং শিক্ষা থেকে এটি কেন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেটা নিয়ে বর্তমানে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।