নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল হবে কবে? যেভাবে বাতিল হতে পারে নতুন কারিকুলাম

Описание к видео নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল হবে কবে? যেভাবে বাতিল হতে পারে নতুন কারিকুলাম

আলোচিত-সমালোচিত নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমে অভিভাবকরা করেছেন মানববন্ধন। এদিকে নতুন কারিকুলাম উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিল সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন নামে অভিভাবকদের একটি সংগঠন। সাবেক দুজন শিক্ষামন্ত্রী তাদের দাবি অগ্রাহ্য করে এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু করেন।

তারা বলেন, সইতে সইতে এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের সন্তানকে প্রকৃত মানুষ করতে পারছি না। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে। তাই আমরা এটা বাতিল চাই। আমরা আশাবাদী নতুন দায়িত্ব নেওয়া সরকার এটি অবিলম্বে বাতিল করে দেবেন।

চলতি আগস্ট মাসেই এ কারিকুলাম বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার দাবি তাদের।

একই সঙ্গে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আগস্টেই নতুন করে পাঠ্যবই ছাপিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর ফের আন্দোলনে নেমেছেন তারা। দাবি না মানা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন বলে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক জানান, এই কারিকুলাম বাতিল বা সংশোধন করতে হলে সরকারকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি জানান, ২০২৩ সাল থেকে এদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন কারিকুলাম চালু হয়েছে। এই কারিকুলাম এদেশের পতিত শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও নৈরাজ্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। চোখের সামনে ছেলে মেয়েদের শিক্ষার এই নৈরাজ্য ও তাদের বিপন্ন ভবিষ্যৎ দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে অভিভাবকরা শুরু থেকেই কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

তিনি বলেন, বিগত প্রায় দেড় বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝতে পারছি আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে স্বৈরাচারী সরকার এই কারিকুলাম প্রণয়ন করেছিল।

মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষা ধ্বংসকারী নতুন কারিকুলাম নিয়ে এতদিন সমালোচনা করলে আওয়ামী লীগ সরকার অভিভাবকদের পুলিশ দিয়ে, জেল-জরিমানা করে হয়রানি করেছে। তার মধ্যেও আমরা প্রতিবাদ করেছি, রাস্তায় থেকেছি। আমাদের অনেক অভিভাবক-শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছেন। চাকরি হারিয়েছে। তবুও আমরা মাঠে থেকেছি, আন্দোলন করেছি। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সেজন্যই জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছি।

তারা আরও বলেন, এখন দেশের পরিস্থিতি পাল্টেছে। আমরাও স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ কারিকুলাম বাতিল করবে। এ থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার মতো একটি বিজ্ঞানভিত্তিক যুগোপযোগী কারিকুলাম জাতিকে উপহার দেবে।

নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের ডিভাইসমুখী করছে বলেও মনে করেন অনেকে। ইন্টারনেটকে শিশুদের জন্য নিরাপদ না করেই কোমলমতিদের মুঠোফোনের ব্যবহার বাড়ানোও ভাবিয়ে তুলছে তাদের।

অভিভাবকদের ৮ দফা দাবি—

১. অবিলম্বে কারিকুলাম-২০২১ সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ হিসেবে পূর্ববর্তী কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফিরে যেতে হবে।

২. প্রাথমিক স্তরে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক এখনো প্রণীত হয়নি। তাই সেগুলো প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে শিক্ষানীতিতে উল্লিখিত সক্রিয় শিখন পদ্ধতি অনুযায়ী নির্মাণ করতে হবে। অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন পদ্ধতি অনুযায়ী নয়।

৩. যেহেতু শিক্ষাবর্ষের অর্ধেকের বেশি অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, তাই ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে বর্তমান কারিকুলাম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যপুস্তকগুলোই ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার কথা চিন্তা করে পূর্বতন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যপুস্তকগুলো এ মাসের মধ্যে (আগস্ট) মুদ্রণ করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে হবে।

৪. বিগত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রণীত মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যপুস্তক অবিলম্বে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বা অভিভাবক নিজ দায়িত্বে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পুরোনো পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করলে ও মূল্যায়ন করলে তাকে বাধা দেওয়া যাবে না।

৫. পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করতে হবে এবং বৃত্তির পরিমাণ স্কুল বেতনের সঙ্গে সংগতি রেখে বৃদ্ধি করতে হবে।

৬. নতুন শিক্ষানীতি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত পরিমার্জনা ব্যতীত নতুন করে কোনো কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা যাবে না।

৭. যারা আমাদের সন্তানের শিক্ষাজীবন ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ওপর জুলুম করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

৮. ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ প্রক্রিয়া চালুর কথা রয়েছে।

নতুন কারিকুলাম কি বাতিল হবেনতুন শিক্ষাক্রম বাদ হবেনতুন কারিকুলাম বাতিল হচ্ছেবাতিল হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রমনতুন শিক্ষাক্রম বাদ হবে? || নতুন কারিকুলাম বাতিল হবে? ||the new curriculum will be cancelledনতুন কারিকুলাম স্থগিত করেছে এনসিটিবিবাতিল হচ্ছে নতুন কারিকুলামনতুন শিক্ষাক্রম বাতিল হচ্ছেনতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতিbangladesh newsপরিবর্তিত নতুন কারিকুলামnew education system

Комментарии

Информация по комментариям в разработке