Скачать или смотреть ড্রাগন চাষ পদ্ধতি অসময়ে, The Dragon Cultivation method oftime/offseason

ড্রাগন ফল চাষাবাদ পদ্ধতি। ড্রাগন ফলের গুরুত্ব ও পুষ্টিগুণ


WhatsApp & Mobile no:- 8609662875(Boni Amin Momi

পরিচিতিঃ
ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এ ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায় ,শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা এবং রসালো প্রকৃতির । ফলের বীজগুলো ছোট ছোট কালো ও নরম । একটি ফলের ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 ড্রাগন ফল সাধারণত তিন প্রজাতির হয়ে থাকে-

১) সাদা ড্রাগন ফল । এর খোসার রঙ লাল ও শাঁস সাদা।
২) ড্রাগন লাল ফল। খোসা ও শাঁস উভয়ের রঙই লাল।
৩) হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। এই জাতের ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা।

জাতঃ 
আমাদের এখানে এখন মোট ৩১ টি প্রজাতির ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে

পুষ্টিগুণঃ 
ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত।ফলে ফিবার, ফ্যাট, ক্যারোটিণ, প্রচুর ফসফরাস, এসকরবিক এসিড , ক্যালসিয়াম, আয়রন রয়েছে।

প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য ড্রাগন ফলে যে পুস্টিমান পাওয়া যায় তা দেওয়া হলো-

শর্করা- ৯-১০ গ্রাম
খাদ্যশক্তি- ৩৫-৫০ কিলোক্যালরি
ক্যালসিয়াম- ৬-১০ মি গ্রাম
আয়রন- ০.৩-০.৭ মি.গ্রাম
ফসফরাস- ১৬-৩৫ গ্রাম
ক্যারোটিন- (Vitamin A থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন সামান্য
ভিটামিন- বি-৩ – ০.২ – ০.৪ মি গ্রাম

ড্রাগন ফলের গুরুত্বঃ-

১. ক্যারোটিন সমৃদ্ধ থাকায় চোখ ভালো রাখে।
২. আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমে সহায়তা করে। এছাড়া আঁশ শরীরের চর্বি কমায়।
৩. এই ফলে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।
৪.  এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখে।
৫. ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক মসৃণ রাখে।
৬. ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক , দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।