বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে,
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সেই বিস্তীর্ণ জনপদ—
যেখানে নদী, নোনা জল আর মানুষ একসাথে গেঁথে ফেলেছেজীবনের গান।
চোখ যতদূর যায়, শুধু ঘেরের পর ঘের।
জলে দুলছে সূর্যের প্রতিবিম্ব,
আর সেই জলের গভীরে লুকিয়ে আছে হাজার মানুষের জীবিকার গল্প।
ভোরের আলো ফোটার আগেই জেগে ওঠে এই জনপদ।
মাছের ঘের পেরিয়ে কাঁকড়া ধরার জাল হাতে
পুরুষেরা নামেন জলে, নারীরা ব্যস্ত ঘরের আঙিনায়।
ঘেরের পাড়ে বাজে জালের ছ্যাঁকছ্যাঁক শব্দ,
কাঁধে ঝুলে থাকে ঝুড়ি, চোখে থাকে আশার আলো—
আজকের ধরা মাছেই হয়তো মিটবে সন্তানের মুখের হাসি।
খেটে খাওয়া এই মানুষেরা দিনরাত পরিশ্রম করে
টিকিয়ে রেখেছেন নিজেদের ক্ষুদ্র এক পৃথিবী। এই উপকূলীয় অঞ্চলে চাষ হয় আম জাম কাঁঠাল লিচু সফেদা ধান পাট ঘম পান পাতা কদবেল বাতাবি লেবু পেয়ারা পান সুপারি নারিকেল সহ ইত্যাদি ফলমূল।
কারও উঠোনে হাঁস-মুরগির দল কুজন তোলে,
কারও গোয়ালে গরু বা ছাগলের ডাক—
জীবনটা চলেই যায় প্রকৃতির ছন্দে,
নোনা হাওয়া, কাদা মাটি আর রোদে পোড়া মুখের সঙ্গে।
এই জনপদ শুধু মাছ চাষে সমৃদ্ধ নয়,
এর বুকে আছে সুন্দরবনের এক জীবন্ত ইতিহাস।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখানকার মানুষ
জীবন বাজি রেখে প্রবেশ করেন বনভূমির গভীরে—
কেউ কাঠ সংগ্রহে যায়, কেউ চামড়া,
কেউ আবার সংগ্রহ করে বনের মধু, মাছ আর কাঁকড়া।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বন্য পশুর ভয়—সবকিছুকে পেছনে ফেলে
তারা লড়ে চলে বেঁচে থাকার নিরব যুদ্ধ।
প্রতিটি ফেরা মুখ যেন একেকটি গল্প,
যেখানে ঘাম আর সাহস মিলেমিশে গড়ে তোলে জীবনের অধ্যায়।
গোলপাতা, বাঁশ আর মাটির তৈরি প্রতিটি ঘর
যেন সেই সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বছরের পর বছর।
নোনা বাতাসে ক্ষয়ে গেলেও, ভাঙা ঘরগুলোয় থাকে জীবনের উষ্ণতা,
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে,
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সেই বিস্তীর্ণ জনপদ—
যেখানে নদী, নোনা জল আর মানুষ একসাথে গেঁথে ফেলেছেজীবনের গান।
চোখ যতদূর যায়, শুধু ঘেরের পর ঘের।
জলে দুলছে সূর্যের প্রতিবিম্ব,
আর সেই জলের গভীরে লুকিয়ে আছে হাজার মানুষের জীবিকার গল্প।
ভোরের আলো ফোটার আগেই জেগে ওঠে এই জনপদ।
মাছের ঘের পেরিয়ে কাঁকড়া ধরার জাল হাতে
পুরুষেরা নামেন জলে, নারীরা ব্যস্ত ঘরের আঙিনায়।
ঘেরের পাড়ে বাজে জালের ছ্যাঁকছ্যাঁক শব্দ,
কাঁধে ঝুলে থাকে ঝুড়ি, চোখে থাকে আশার আলো—
আজকের ধরা মাছেই হয়তো মিটবে সন্তানের মুখের হাসি।
খেটে খাওয়া এই মানুষেরা দিনরাত পরিশ্রম করে
টিকিয়ে রেখেছেন নিজেদের ক্ষুদ্র এক পৃথিবী। এই উপকূলীয় অঞ্চলে চাষ হয় আম জাম কাঁঠাল লিচু সফেদা ধান পাট ঘম পান পাতা কদবেল বাতাবি লেবু পেয়ারা পান সুপারি নারিকেল সহ ইত্যাদি ফলমূল।
কারও উঠোনে হাঁস-মুরগির দল কুজন তোলে,
কারও গোয়ালে গরু বা ছাগলের ডাক—
জীবনটা চলেই যায় প্রকৃতির ছন্দে,
নোনা হাওয়া, কাদা মাটি আর রোদে পোড়া মুখের সঙ্গে।
এই জনপদ শুধু মাছ চাষে সমৃদ্ধ নয়,
এর বুকে আছে সুন্দরবনের এক জীবন্ত ইতিহাস।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখানকার মানুষ
জীবন বাজি রেখে প্রবেশ করেন বনভূমির গভীরে—
কেউ কাঠ সংগ্রহে যায়, কেউ চামড়া,
কেউ আবার সংগ্রহ করে বনের মধু, মাছ আর কাঁকড়া।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বন্য পশুর ভয়—সবকিছুকে পেছনে ফেলে
তারা লড়ে চলে বেঁচে থাকার নিরব যুদ্ধ।
প্রতিটি ফেরা মুখ যেন একেকটি গল্প,
যেখানে ঘাম আর সাহস মিলেমিশে গড়ে তোলে জীবনের অধ্যায়।
গোলপাতা, বাঁশ আর মাটির তৈরি প্রতিটি ঘর
যেন সেই সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বছরের পর বছর।
নোনা বাতাসে ক্ষয়ে গেলেও, ভাঙা ঘরগুলোয় থাকে জীবনের উষ্ণতা,
আর প্রতিটি সন্ধ্যায় জ্বলে ওঠে কেরোসিনের বাতি—
যেন জানিয়ে দেয়, “অন্ধকার যত গভীরই হোক,
এই মাটির মানুষ কখনো হারে না।”
দিনের পরিশ্রম শেষে,
আমরা ক্যামেরা নামিয়ে যখন ফিরতে শুরু করি,
রাত্রি যাপন করি যশোরের ঐতিহ্যবাহী মনিহার সিনেমা হলের লাগোয়া
মনিহার আবাসিক হোটেলে।
সকালের প্রথম প্রহরে ফেরার পথে চোখে পড়ে
যশোর সদরের সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির হাট—খাজুরা বাজার।
রঙে, ঘ্রাণে আর মানুষের কোলাহলে মুখর এই বাজার
আমাদের থামিয়ে দেয় কিছুক্ষণের জন্য।
সবুজ শাকসবজি, টাটকা ফল আর শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠে
জেগে ওঠে গ্রামের সকাল।
ক্যামেরায় বন্দি করি সেই কর্মচঞ্চল দৃশ্য—
যেখানে ঘামের বিনিময়ে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের কৃষির মেরুদণ্ড।
এইভাবেই সাতক্ষীরা থেকে যশোর পর্যন্ত—
মানুষ, প্রকৃতি আর জীবনের গল্প জুড়ে যায় এক সূত্রে,
যেখানে প্রতিটি দৃশ্যই বলে যায়—
এটাই বাংলাদেশ, এটাই আমাদের মাটির গল্প।
প্রতিটি সন্ধ্যায় জ্বলে ওঠে কেরোসিনের বাতি—
যেন জানিয়ে দেয়, “অন্ধকার যত গভীরই হোক,
এই মাটির মানুষ কখনো হারে না।”
দিনের পরিশ্রম শেষে,
আমরা ক্যামেরা নামিয়ে যখন ফিরতে শুরু করি,
রাত্রি যাপন করি যশোরের ঐতিহ্যবাহী মনিহার সিনেমা হলের লাগোয়া
মনিহার আবাসিক হোটেলে।
সকালের প্রথম প্রহরে ফেরার পথে চোখে পড়ে
যশোর সদরের সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির হাট—খাজুরা বাজার।
রঙে, ঘ্রাণে আর মানুষের কোলাহলে মুখর এই বাজার
আমাদের থামিয়ে দেয় কিছুক্ষণের জন্য।
সবুজ শাকসবজি, টাটকা ফল আর শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠে
জেগে ওঠে গ্রামের সকাল।
ক্যামেরায় বন্দি করি সেই কর্মচঞ্চল দৃশ্য—
যেখানে ঘামের বিনিময়ে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের কৃষির মেরুদণ্ড।
এইভাবেই সাতক্ষীরা থেকে যশোর পর্যন্ত—
মানুষ, প্রকৃতি আর জীবনের গল্প জুড়ে যায় এক সূত্রে,
যেখানে প্রতিটি দৃশ্যই বলে যায়—
এটাই বাংলাদেশ, এটাই আমাদের মাটির গল্প।
মোবাইল -০১৭১২৮৪০৬৫৭
#সাতক্ষীরার_উপকূলীয়_অঞ্চল
#উপকূলীয়_জীবন_যাত্রা
#সুন্দরবনের_সীমান্তবর্তী_জনপদ
#আশাশুনি_সাতক্ষীরা
#খাজুরা_বাজার
#যশোর_সদর
#coastal_region
#coastallife
#ashashoni_Shakira
#khajura_bazar
#jessore_sodar
#bangladesh
#vairalvideo
#vairalpost
Информация по комментариям в разработке