Скачать или смотреть This is how France and westerns exploit Africa |

বছর চারেক আগে মোয়াম্মার গাদ্দাফি ও তার দেশ লিবিয়া নিয়ে আমার এক লিখায় ফ্রান্সের প্রতারণা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

তো ফ্রান্স এখন আবার কেন আলোচনায়?

ফ্রান্স থেকে আফ্রিকার দেশগুলো বহু আগেই মানচিত্রে স্বাধীন হলেও পুরপুরি স্বাধীন হতে পারেনি। তাদের রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতির প্রতিটি সিদ্ধান্তে ফ্রান্স এখনো নাক গলায়। কথা না শুনলে ওই দেশের সরকারকে ফ্রান্স ক্ষমতাচ্যুত করে, নেতা হয় গুপ্তহত্যার শিকার।

নাইজারের সামরিক বাহিনী ফ্রান্সের মদদপুষ্ট সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নেয় এবং ফ্রান্স ও ইউরোপে ইউরেনিয়াম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দেয়। বলাবাহুল্য, নাইজার ইউরেনিয়াম মজুদে বিশ্বে সপ্তম এবং আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশ।

এই ইউরেনিয়াম রপ্তানি নিষিদ্ধ হবার পর ফ্রান্স ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের মাথা খারাপ অবস্থা। এই ফ্রান্স আবার আফ্রিকায় তার স্বার্থ রক্ষায় ECOWAS নামক কয়েকটি দেশের জোট গঠন করে রেখেছে। এই জোট নাইজারকে হুমকি দিচ্ছে ফ্রান্সে ইউরেনিয়াম না দিলে মিলিটারি অপারেশন চালাবে!

ওদিকে নাইজারও একা নেই। তার সাথে আছে বুরকিনা ফাসো, মালি ও আলজেরিয়া। প্রথম দুটি দেশ নাইজারের সাথে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। গোপনে রেডি আছে পুতিনের ওয়াগনার বাহিনী। পশ্চিমাদের বিপক্ষে যার কেউ নেই তার আছে দ্যা লিডার পুতিন।

পুতিন এখানে যদি সিরিয়া গেইম রিপিট করে তাহলে পশ্চিম আফ্রিকায় ফ্রান্সের বহু বছরের আধিপত্য চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। তবে তাতে জীবনভর নির্যাতিত, শোষিত কালো মানুষদের তাজা রক্তে আফ্রিকা ভেসে যাবে। ঠিক যেমনটা 'Blood Diamond' মুভিতে দেখানো হয়।

বর্তমান ফ্রান্স আধুনিক হয়েছে আফ্রিকাকে লুট করে, এখনো বেঁচে আছে আফ্রিকাকে শোষণ করে, আফ্রিকার স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীদের হত্যা করে।

© Kamrul Hasan, 40 BCS Education Cadre