Скачать или смотреть Dhaka Bypass Expressway VS Other HIGHWAY Projects Which is Better for Bangladesh

#বাংলাদেশ #ইউরোপ #আমেরিকা #আফ্রিকা #ভ্রমণ গাইড #ভ্রমন মানেই শিক্ষা
#দেশপরিচিতি #Countryintroduction #গ্রাম বাঙলা #Bangladesh #Europe #America #Africa #travel guide #Travel is education #country introduction
#Country introduction #Village Bangla #dhaka travel #bangladesh travel #rajshahi travel #sajek #sajak #Cox's Bazar #Sajek #Quakata #Rangamati #dhaka

আসসালামু আলাইকুম আপনারা দেখছেন দেশ পরিচিতি। সাথে রয়েছি আমি সজল। ঢাকার উপর যানজটের চাপ কমাতে দেশের সব থেকে দীর্ঘ ৪৮ কিলো বাইপাস সড়ক নির্মাণ হচ্ছে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত। এই বাইপাসের কাজটি হচ্ছে দুটি ভাগে যার মধ্যে প্রথম ভাগে ভোগরা বাইপাস থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত। এবং দ্বিতীয় ভাগে কাঞ্চন ব্রিজ থেকে মদনপুর পর্যন্ত। প্রথম ভাগের কাজ অনেকটাই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যা এবছর আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলে দেয়া হতে পারে।
প্রথম অংশের সর্বশেষ আপডেট পেয়ে যাবেন আমাদের চ্যানেলে। আর আমাদের আজকের আয়োজনটি সাজিয়েছি এই প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ নিয়ে। তাই শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন। এটি হচ্ছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসের শেষ প্রান্ত। বা দিকে চলে গিয়েছে মিরের বাজার হয়ে ভোগরা বাই পাসের দিকে এদিকে একটি ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হবে। যা পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে এবং ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়েলকে যুক্ত করবে একে অপরের সঙ্গে । পুরোনো কাঞ্চন ব্রিজের পাশে নতুন চার লেন ব্রিজের মূল কাজ শেষ হয়েছে বসেছেন নিরাপত্তা ওয়াল এবং ডিভাইডার বর্তমানে ব্রিজের পূর্ব পাশে সংযোগ সড়কের কাজটিও করা হচ্ছে। এই ব্রিজটি ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেস ওয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সামনের দিকটি চলে গিয়েছে ভুলতা গাউছিয়ার দিকে। আমরা সে দিকেই যাবো - সামনেই দেখা যাচ্ছে বর্তমান কাঞ্চন সেতুর টোল প্লাজা। বর্তমানে এই সড়কের যানবাহনের অনেক চাপ বেড়েছে, যার ফলে পুরনো ছোট টোল প্লাজায় যানজটের জটলা বেঁধে থাকে সব সময় । এছাড়া সড়কের কাজ চলমান থাকায় যানবাহনে রয়েছে ধীরগতি।
এদিকে এসে দেখতে পাচ্ছি বর্তমান সড়কের ২ পাশে সার্ভিস লেনের কাজ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। টোল প্লাজার পরে দুইটি চৌরাস্তা থাকার কারণে অল্প কিছুটা পথ পাড়ি দিতে অনেকটা সময় লেগে যায় । এদিকে একটি চৌরাস্তা রয়েছে বা দিক থেকে সিলেট মহা সড়কের ছলপাড়া বাজারের দিকে যাওয়া আসা করা যায়। বর্তমানে এই সড়কের বেহাল দশার কারণে অনেকটা চাপ বেড়েছে। ছলপাড়া সড়কটির উপর বাইপাস সড়কটিতে প্রচুর পরিমাণে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। তবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে টি হওয়ার পর এবং বাইপাস এক্সপ্রেসের কাজ যত শেষের দিকে এগিয়ে চলছে তত যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে । বিশেষ করে ঢাকার ভেতরে প্রবেশ না করে উত্তরবঙ্গের দিক থেকে সিলেট নোয়াখালী কুমিল্লা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে যাওয়া আসা সহজ হয়ে গিয়েছে । দেখতে দেখতে আমরা গ্রিন ইউনিভার্সিটির এদিকে চলে এসেছি। এদিকেও বালু ভরাটের কাজটি ভালোই এগিয়েছে। এছাড়া এক পাশে সার্ভিস লেনের কাজ করা হচ্ছে । যানজটের দীর্ঘ লাইন দেখে বুঝতেই পারছেন এই সড়কটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদিকটা একটি কাল্ব্রাট নির্মাণের কাজ চলমান এখন । এই এক্সপ্রেসওয়েটি দেশের প্রথম এক্সেস কন্ট্রোল এক্সপ্রেসওয়ে। যেখানে মূল এক্সপ্রেস ওয়েতে থাকবে না কোন প্রতিবন্ধকটা এবং ইউটান নেওয়ার ব্যবস্থাও।
এদিক পর্যন্ত আসার পথে দেখতে পেয়েছি বর্তমান সড়কের অবস্থা খুবই একটা ভালো নেই। যার ফলে যানবাহন গুলোকে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। সবার শুরুতেই সার্ভিস লেনের কাজটি শেষ করা হবে। এরপর সেগুলো দিয়ে চলবে যানবাহন এরপর শুরু হবে মূল এক্সপ্রেসওয়ের কাজ । যেমনটি আমরা এই প্রথম অংশেও দেখেছি। এদিকে দেখতে পাচ্ছি মূল সড়কের দুইপাশে সার্ভিস লেনের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। এই বাইপাস এক্সপ্রেসওয়েটি হবে সব নিয়ে ৪৮ কিলোমিটার। যার মূল এক্সপ্রেসওয়ে হবে ৪ লেনের। আর এর ২ পাশে থাকবে সার্ভিস লেন সব দিয়ে এটি ৬ লেনের একটি এক্সপ্রেসওয়ে । সড়কে কাজ চলমান থাকায় প্রচুর ধুলাবালি সেই সাথে কোথাও নরম আবার কোথায় ভাংগা থাকায় দুর্ঘটনা হচ্ছে প্রতিদিন।
বিপুল পরিমান সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। গাড়ী দুর্ঘটনার দৃশ্য এই সড়কে হরহামেশাই দেখতে পাওয়া যায়। যা আমরা ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের কাছেও তুলে ধরি। তাই এই সড়কে সাবধানে চলাচলে অনুরোধ করা হলো। বর্তমানে এই প্রকল্পের এদিকে সার্ভিস লেনের কাজের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক পিলার গুলোকেও নতুন সড়কের সীমানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ ।
এই প্রকল্পটি ঢাকা মহানগরের উত্তর পূর্বাচল এবং জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে এন ১, এন ২ , এন ৩ মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্বরূপ হিসেবেও কাজ করবে । এছাড়া এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে এটি ঢাকার রিং রোড হিসেবেও কাজ করবে। এই বাইপাস সড়কটি এশিয়ান হাইওয়ের ও একটি অংশ। একটি সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশনাল সাসেক করিডোরের অংশ পড়ায় ভারত নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত করবে। এদিক থেকে সামনের দিক দিয়ে চলে গিয়েছে ভুলতা গাউছিয়া। আমরা সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি আরো বেশ কিছুটা সামনের দিকে এসে দেখতে পাচ্ছি সড়কের ২ পাশে সার্ভিস লেনের উপর বেশ কিছুটা অংশে ঢালাইয়ের কাজ কি করা হয়েছে । আবার কোথাও কোথাও ঢালাই এর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে । এদিকটায় দেখা যাচ্ছে ডানপাশে কার্পেটিং এর কাজ করা হয়েছে । প্রথম ধাপ থেকে দ্বিতীয় ধাপের কাজের প্রতি বেশ কিছুটা কম তবে আশা করা যাচ্ছে সামনের ২/৩ মাসের মধ্যেই সার্ভিস লেনের কাজে অনেকটা পরিবর্তন চলে আসবে। এই প্রকল্পের সব নিয়ে সতেরটি কাল্ব্রাট আটাইশটি আন্ডারপাস ওভার পাস ব্রিজ এবং নয়টি টোল প্লাজা থাকবে। এগুলোর মধ্যে কালব্রাট আন্ডারপাস এবং ব্রিজগুলোর কাজ অনেকটাই দৃশ্যমান হয়েছে। এছাড়া প্রথম অংশে নির্মম হচ্ছে টোল প্লাজা।