Скачать или смотреть আগুন থেকে বাঁচতে করণীয়

গায়ে আগুন লাগলে না দৌঁড়ে থেমে শুয়ে পড়ে গড়াতে হয়--গড়িয়ে গড়িয়ে আগুন নেভানো।
হাতপা পুড়লে নরমাল ঠান্ডা পানিতে পোড়া স্হানটি ভিজিয়ে রাখতে হবে ততক্ষণ যতক্ষণ না জ্বালা অনুভূতিটি প্রশমিত হয়। কেননা জ্বলার পরও ইন্টারনাল বার্নিং ঘটতে থাকে।
পরিবারে সবাই মিলে আগুন থেকে বাঁচার পরিকল্পনা এবং তার নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
নির্গমণ বা এক্সিটের উপায় রাখতে হবে।
হেক্সসর গ্রীল কাঁটতে সাহায্য করবে, মই পাশের বাড়ী বা নীচে যাবার ব্যবস্হা করতে পারে। এক্সিটপথ সব সময় ওপেন, ক্লিয়ার, এবং আলো যেনো সরবরাহ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আগুনে লিফটের ব্যবহার করতে নেই।
ঘরে অতি ম খরচে স্মোক ডিটেকটর লাগানো যায় যা ধোঁয়া হলেই তীব্র শব্দে বাজতে থাকে। ফায়ার এক্সটিংগুইসার তাৎক্ষণিকভাবে ছোটখাটো আগুন নেভাতে পারে। পাইপটি টেনে বের করে আগুনের মূল বা সূত্র বা বেইজকে লক্ষ্য করে হাতল চেপে ডানেবায়ে স্প্রে করে করে তখন আগুন নেভাতে হয়।
বানিজ্যিক বা আবাসিক এলাকাগুলোতে ফায়ার হাইড্রেন্ট/ পানির সরবরাহ পাইপ এবং ব্যবস্হা রাখতে হবে যেনো আগুনে কোথা থেকে পানি পাবে তার খোঁজে দৌঁড়াতে না হয়।
অফিস আদালতের ফায়ার এ্যালার্ম ধোঁয়া বা তাপ দুটোই শনাক্ত করে বেজে ওঠে সতর্ক করতে।
আগুনে যত মেঝের কাছাকাছি থাকা যায় ততই কম ক্ষতিকর ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করতে পারে। স্বাস-নালীর কম ক্ষতি হয়। সেইসাথে কাপড় ভিজিয়ে নাকে ধরতে পারলে আরও উপকার হয়। হাইপোঅক্সিয়া বা অক্সিজেনের স্বল্পতা কম ঘটে, মাথা কাজ করতে পারে। তাছাড়া বের হবার উপায়ও বের করতে হবে। দিশা না হারাতে দেয়াল বা অন্যকিছু ধরে ধরে আগাতে হয়। যেদিকে যাবার চিন্তা সেদিকে ধোঁয়া /আগুন আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে আগানো জরুরী। থাকলে দরজা আঁটকে দিয়ে ভেজা কম্বল বা দরজা আঁটকে আগুন ঠেকানো দরকার। আগুনে মাথা ঠান্ডা এবববং বেঁচে থাকার মনোবলই বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ায়। বিপদে হাল ছাড়ার অবকাশ নেই।