Скачать или смотреть সুদ খাই এমন লোকের সাথে পিকনিকে যাওয়া যাবে কি ? by Shaikh Ahmadullah

সুদ (বা রিবা) হল ঋণগ্রহীতা কর্তৃক ঋণদাতাকে প্রদত্ত এমন অতিরিক্ত অর্থ, যা মূল ঋণের উপর ধার্য করা হয়, এবং এটি অর্থ ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত মূল্য। ইসলামি পরিভাষায় একে 'রিবা' (বৃদ্ধি বা আধিক্য) বলা হয় এবং এটি মূলত নিষিদ্ধ, কারণ এটি ধনীকে আরও ধনী এবং গরিবকে আরও দরিদ্র করে তোলে। অর্থনীতিতে, সুদকে অর্থ প্রদান বা গ্রহণ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট হার হিসাবে উল্লেখ করা হয়, যা ঋণ বা আমানতের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। 

অর্থনৈতিক সংজ্ঞা: 

অর্থ ব্যবহারের মূল্য: 

সুদ হলো একটি ফি যা ঋণদাতা বা আমানত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ঋণগ্রহীতাকে অর্থ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার জন্য গ্রহণ করে।

আমানত ও ঋণের সাথে সম্পর্কিত: 

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করে বা তাদের ঋণ দেয়, তখন তারা এই অর্থের উপর সুদ প্রদান বা গ্রহণ করে।

ইসলামি দৃষ্টিকোণ:

রিবা (রিবা) বা সুদ: 

ইসলামি শরিয়াহে সুদকে 'রিবা' বলা হয়, যার অর্থ বৃদ্ধি বা আধিক্য। 

নিষিদ্ধ: 

ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, সুদ গ্রহণ বা প্রদান করা একটি হারাম কাজ। এটি একদিকে যেমন ধনীকে আরও ধনী করে, তেমনি গরিবকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়। 

কুরআনের আয়াত: 

কুরআনে সুদ গ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে বলা হয়েছে, যেমন "হে মুমিনগণ, তোমরা সুদ খাবে না বহুগুণ বৃদ্ধি করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৩০)। 

সুদের প্রকারভেদ:

সরল সুদ (নিয়মিত সুদ): 

এটি সাধারণ সুদ, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নেওয়া ঋণের উপর প্রযোজ্য। 

চক্রবৃদ্ধি সুদ: 

এই ধরনের সুদে, সুদের উপর আবার সুদ যোগ হয়, যার ফলে অর্থের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। 

সামাজিক ও নৈতিক প্রভাব:

অন্যায্য সমৃদ্ধি: 

সুদকে ঋণদাতার অন্যায্য সমৃদ্ধি অর্জনের একটি উপায় হিসেবে দেখা হয়। 

দুর্নীতি ও অন্যায়: 

সুদ গ্রহণকে অন্যের দুর্ভাগ্যের সুযোগ নেওয়া এবং দারিদ্র্য বাড়ানোর একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

#shaikh_ahmadullah #ahmadullah #wazmahfil #islamicvideo