নামাজ না পড়লে জীবনে যে ১০টি ভয়াবহ বড় ক্ষতি হয় || Islamic Feature
ইসলামে ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো নামাজ। এটি শুধু একটি ইবাদতই নয়, বরং মহান আল্লাহর সাথে বান্দার সরাসরি কথোপকথনের এক অনন্য মাধ্যম। নামাজ হলো মুমিনের পরিচয়, আত্মার প্রশান্তি এবং শৃঙ্খলার প্রতীক। যে ব্যক্তি নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সামনে নিজেকে সঁপে দেয়, আল্লাহ তার জীবনকে বরকতময় করেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে তাকে সম্মানিত করেন।
কিন্তু যে ব্যক্তি এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে যেন নিজ হাতেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে। নামাজ ত্যাগ করা শুধু একটি ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়, বরং আল্লাহর রহমত ও সুরক্ষা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা। এর পরিণতি দুনিয়াতে যেমন অপমানজনক, তেমনি পরকালেও অত্যন্ত ভয়াবহ। আসুন জেনে নিই, নামাজ না পড়লে যে ১০টি ভয়ঙ্কর বিপদ আপনার জীবনে নেমে আসতে পারে।
১. জীবন বরকতশূন্য হয়ে যায়: বেনামাজির জীবন থেকে বরকত উঠিয়ে নেওয়া হয়। তার ধন-সম্পদ, পরিবার-পরিজন ও অন্যান্য কাজে কোনো বরকত থাকে না। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে গেল, তার পরিবার ও সম্পদের যেন বিনাশ হয়ে গেল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩২১)
২. চেহারা থেকে নূর চলে যায়: যে ব্যক্তি নিয়মিত নামাজ আদায় করে না, তার চেহারা থেকে নূর বা জ্যোতি চলে যায়। তার মুখমন্ডল মলিন ও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে।
৩. অন্যান্য ভালো কাজের প্রতিদান মেলে না: নামাজি ব্যক্তি যেমন তার অন্যান্য ভালো কাজের জন্য পুরস্কার লাভ করে, বেনামাজি ব্যক্তি তেমন কোনো পুরস্কার পায় না। তার অন্যান্য সৎকর্ম আল্লাহর কাছে কবুল হয় না।
৪. দোয়া কবুল হয় না: বেনামাজির দোয়া বা প্রার্থনা আল্লাহর কাছে কবুল হয় না। সে আল্লাহর রহমত ও করুণা থেকে বঞ্চিত হয়।
৫. সৃষ্টির কাছে ঘৃণিত হয়: নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার কাছে এবং সৃষ্টিজগতের অন্যান্য প্রাণীর কাছেও ঘৃণিত ও অপছন্দনীয় হয়ে ওঠে।
মৃত্যু ও পরকালের জীবনে বিপদ:
৬. অপমানজনক ও কষ্টদায়ক মৃত্যু: যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না, তার মৃত্যু অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও অপমানজনক অবস্থায় হয়। মৃত্যুর সময় সে ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত অবস্থায় মারা যায়।
৭. কবরের কঠিন আজাব: বেনামাজির জন্য কবরের জীবন অত্যন্ত সংকীর্ণ ও কষ্টদায়ক হয়। হাদিসে কবরের ভয়াবহ আজাবের কথা উল্লেখ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কবরের চাপ এবং ফেরেশতাদের দ্বারা निरंतर শাস্তি।
৮. কেয়ামতের দিন কঠিন লাঞ্ছনা: কেয়ামতের দিন বেনামাজিকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় ওঠানো হবে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তাদের সিজদা করার জন্য আহ্বান করা হবে, কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে এবং তারা হীনতায় আচ্ছন্ন থাকবে।" (সূরা কালাম, আয়াত: ৪২-৪৩)
৯. অন্ধ অবস্থায় হাশর: যে ব্যক্তি আল্লাহর স্মরণ (নামাজ) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আল্লাহ তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উঠাবেন। (সূরা ত্বহা, আয়াত: ১২৪)
১০. জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি: নামাজ না পড়া জাহান্নামে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। পবিত্র কোরআনে জান্নাতিরা জাহান্নামিদের জিজ্ঞেস করবে, "কোন জিনিস তোমাদেরকে 'সাকার' নামক জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা নামাজ পড়তাম না।" (সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত: ৪২-৪৩) হাদিসে বেনামাজির মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ করার শাস্তির কথাও উল্লেখ আছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১৪৩)
ইসলামী স্কলাররা বলেন, নামাজ হলো মুমিন এবং কাফিরের মধ্যে পার্থক্যকারী। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য।
Some Keyword
নামাজ না পড়ার ক্ষতি,
নামাজ না পড়লে কি হয়,
নামাজ না পড়ার পরিণতি,
নামাজ না পড়লে আখিরাতে শাস্তি,
নামাজ না পড়ার ভয়াবহ ফল,
নামাজ অবহেলার ক্ষতি,
নামাজ না পড়ার শাস্তি,
নামাজের গুরুত্ব,
নামাজ না পড়লে দুনিয়াতে ক্ষতি,
নামাজ না পড়লে জীবনের ক্ষতি,
ইসলামিক ভিডিও,
ইসলামিক ওয়াজ,
ইসলামিক রিমাইন্ডার,
Islamic feature
Информация по комментариям в разработке