বাজরিগার পাখি কেনার আগে কি কি দেখবেন | সুস্থ পাখি চেনার উপায় | HEALTHY BUDGIE BIRDS SIGN In Bangla

Описание к видео বাজরিগার পাখি কেনার আগে কি কি দেখবেন | সুস্থ পাখি চেনার উপায় | HEALTHY BUDGIE BIRDS SIGN In Bangla

বাজরিগার পাখি কেনার আগে কি কি দেখবেন | সুস্থ পাখি চেনার উপায় | HEALTHY BUDGIE BIRDS SIGN In Bangla
আপনি যদি একজোড়া নতুন পাখি কিনতে চান তবে কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন কিভাবে চিনবেন আপনার পাখিটা সুস্থ নাকি অসুস্থ এর বিস্তারিত জানতে হবে। আমি আপনাদের ক্লিয়ার করব কিভাবে আপনি কেনার আগে সুস্থ পাখিটা চিনতে পারবেন।

দেখুন পাখির অসুস্থতা স্বাভাবিকভাবে এক দুই মিনিটের মধ্যে দেখে আপনি বুঝতে পারবেন না এজন্য আপনাকে সময় নিয়ে পাখিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কি কি জিনিস দেখবেন আর কিভাবে একটা সুস্থ সবল পাখি চিনতে পারবেন তার বিস্তারিত তুলে ধরছি একে একে।

তো আসুন শুরু করা যাক.....

১, পাখির চোখ
প্রথমে আপনাকে খেয়াল করতে হবে আপনার পাখিটার চোখ ঠিক আছে কিনা চোখের আশপাশে যদি পানি থাকে কিংবা চোখের আশপাশের লোমগুলো যদি ওঠা থাকে তবে সেটা একটা অসুস্থ পাখি এটা আপনাকে বুঝতে হবে। মূলত বাজরিগার পাখির চোখের বেশ কিছু ইনফেকশন রয়েছে যেগুলোতে আক্রান্ত হলে পাখি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে আর এরকম ইনফেকশনের প্রধান লক্ষণ হলো চোখের আশপাশে লোম পড়ে যাওয়া কিংবা চোখ দিয়ে পানি পড়া। তাছাড়া চোখের রিং দেখে আপনি কিন্তু পাখির বয়সও নির্ধারণ করতে পারেন। যদি আপনাকে বলা হয় পাখিটা প্রাপ্তবয়স্ক তবে অবশ্যই পাখির চোখে রিং আসবে। এক্ষেত্রে পাখির চোখের দিনগুলো কতটা গাড় হয়েছে এটার উপর নির্ভর করবে তাদের বয়স কেমন। তাই প্রথমেই খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করুন পাখির চোখ গুলো ঠিকঠাক আছে নাকি এতে কোন রোগ রয়েছে যদি রোগ থাকে তবে পাখিটা কেনা থেকে বিরত থাকুন।

২, পাখির স্বভাব

এরপর যে কাজটি আপনি করবেন তাহলে আপনি যে পাখিটাকে কিনতে চাচ্ছেন সেটাকে দূর থেকে বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করুন পাখিটা কোনরকম অস্বাভাবিক আচরণ করছে কিনা সেকি অতিরিক্ত পরিমাণে হাঁপাচ্ছে কিনা নাক দিয়ে কোন রকমের শব্দ করছে কিনা কিংবা বসে বসে জিম পাড়ছে কিনা এ বিষয়গুলো আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো বিকেলের টাইমটাতে পাখি কেনা কারণ দুপুরের সময় অনেক ক্ষেত্রেই পাখি গরমের একটু ঘুমিয়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করে। তবে সকালের এবং বিকেলের টাইমটাতে এরা বেশ চটপটে স্বভাবের থাকে।

৩, ধরে পরীক্ষা করুন

এরপর আপনাকে যে কাজটা করতে হবে তা হলো বাজরিগার পাখিটাকে ধরে পরীক্ষা করে নিন তার কোন সমস্যা আছে কিনা। প্রথমে চেক করবেন বাকি শরীরে কোথাও কোন পালক ওঠানো আছে কিনা। এক্ষেত্রে পাখিটাকে উল্টো করে তার বডির পালক গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। যদি পায়ে অথবা পেটের দিকে দুই একটা পালক ভেঙে গিয়ে থাকে তবে কোন সমস্যা নেই কিন্তু ডানার মেইন পালকগুলো অক্ষত আছে কিনা এটা দেখতে হবে। কখনো কখনো দেখা যায় পাখির শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব থাকে তবে বাচ্চা বাকি শরীর থেকে মা ও বাবা পাখির অনেক সময় লোম তুলে ফেলে। এমন ক্ষেত্রে ঐ পাখিগুলোর ভবিষ্যতে গিয়ে আর কখনো লোম হয় না। তাছাড়া ক্যালসিয়াম ডেফিসিয়েন্সির কারণে অনেক সময় কিছু কিছু টেন সাইজ পাখির ক্ষেত্রে পাখির শরীরের পালকগুলো থেবড়ে ভাবে মানে উল্টাপাল্টা সাইজের হয়। বাইরে থেকে দেখে আপনার কাছে হয়তো মনে হবে বাচ্চাটা ঠিক আছে কিন্তু ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণে এদের কিছু পালক বড় হয় আর কিছু পালক বড় হয় না। এমন পাখিগুলো দিয়ে আপনি কিন্তু বাচ্চা প্রজনন করাতে পারবেন না আর এরা সুস্থ-সবল ভাবে বড় হতে পারবেনা তাই খুব সচেতন থাকবেন পাখির প্রতিটা পালক ঠিকঠাক আছে কিনা এটা দেখার ব্যাপারে। আর একটা জিনিস সবসময় মনে রাখবেন বাচ্চা পাখির পালকগুলো একই সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে এক পাখার পালক বড় এক পাখার পালক ছোট এমন হবে না এমন হলে ওই পাখিগুলো কিনবেন না।

৪, পাখির নাকের গোড়া ভালো করে চেক করুন
পাখির নাকের আশপাশে যদি কোন ধরনের ইনসেক্ট বা পরজীবী লেগে থাকে কিংবা যদি দেখে আপনার কাছে অসুস্থ বলে মনে হয় তবে সে পাখিগুলো নেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাকে খেয়াল করতে হবে না নাকে কোন পরজীবী আছে কিনা‌ । তাছাড়া যদি পাখি ঠান্ডা লাগে তখন নাক দিয়ে শশুর শব্দ করে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হয় কখনো নাক দিয়ে পানি পড়তে দেখা যায়। যদিও ঠান্ডায় কি নিরাময় যোগ্য অসুখ। ঠিকভাবে চিকিৎসা করালে এটা এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি আপনি পাখি পালনে নতুন হন তবে আপনার পক্ষে একটা অসুস্থ পাখিকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে না ‌ ।


৫, পাখির পায়খানা খেয়াল করুন

পাখি কেনার আগে পাখির মল গুলো পরীক্ষা করে নিন। এক্ষেত্রে বল একটু পাতলা বা একটু শক্ত এগুলো কোন সমস্যা নয় তবে যদি সবুজ পায়খানা করে কিংবা পাখির মলদ্বারের আশপাশে যদি মাল লেগে থাকে তবে ঝুঁকি আছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় ককাটেল/ লাভবার্ড/ বাজরিগার/ ঘুঘু পাখির মলের মধ্যে কৃমি থাকে। এই ক্রিম এগুলো একটা পাখি থেকে অন্য পাখিতে খুব সহজে সংক্রামিত হতে পারে। তাই পাখি কেনার আগে খেয়াল করুন পাখির পোপস বা মল গুলোর মধ্যে কোন কৃমির অস্তিত্ব রয়েছে কিনা

৬, উকুন বা পরজীবী লেগে আছে কিনা

এরপর যে জিনিসটা ভালোভাবে দেখবেন সেটা হল পাখির পাখাগুলোকে আপনার ছড়িয়ে নিয়ে দেখতে হবে। কারণ অনেকের পাখির পালকের মধ্যে পরজীবী বা উকুন থাকে। এক্ষেত্রে পাখির পালকগুলো ছড়িয়ে দেখলে পালকের গোড়ার দিকে আপনি দেখতে পাবেন এক ধরনের সাদা সাদা পরজীবী।

৭, পাখির তলপেটে বা ভেন্ট চেক করুন

পাখির তলপেট বা ভেন্ট ভালোভাবে চেক করে নিন। অনেক সময় পাখি এগ বাইন্ডিং জাতীয় সমস্যায় ভোগে। আর এই ধরনের পাখি গুলো কখনো ডিম বাচ্চা করতে পারে না ‌ । পাখি বিক্রির সময় বিক্রেতা হয়তো আপনাকে বলছে পাখিটা আগামী সাত দিনের মধ্যে ডিম দেবে বা ওমুক ডেটে ডিম দিবে। কিন্তু অনেক ডিম পাড়া পাখি আছে যেগুলোর এক বাইন্ডিং বা ডিম আটকে যাওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে আর এই সমস্ত পাখিগুলো কখনোই কিন্তু পরবর্তীতে আর ডিম পাড়তে পারে না। সাথেই আপনার পাখির জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভালো মানের খাবার সংগ্রহ করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ফেসবুক পেইজ Grow Life official অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ 01915970801

Комментарии

Информация по комментариям в разработке