সুধার ধারা - ঠাকুর শ্রী সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ দেব।

Описание к видео সুধার ধারা - ঠাকুর শ্রী সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ দেব।

সুধার ধারা গ্রন্থের প্রস্তাবনায় ঠাকুর লিখেছেন--
।।শ্রী শ্রী গুরুবে নমঃ।।

প্রস্তাবনা

সে অনেক দিনের কথা। কোন এক সময় উৎসব অফিসে যাইয়া শ্রীনামামৃতলহরীর অংশবিশেষ দয়াল মহারাজকে শুনাইলে পর তিনি বলেন ‘তোমাকে উপলক্ষ করে নাম মহিমা কত রূপে প্রকাশ হচ্ছে কথাটি বড় ভালো লাগিয়াছিল ।’ তারপর এ যন্ত্রটাকে আশ্রয় করত শ্রীনাম যে কতভাবে লীলা করিয়াছে তাহা বলা যায় না। গত ১৩৫৩ সালের ৯ই চৈত্র তারিখে এই ‘সুধার ধারা’ লেখা আরম্ভ হয়, ১৩৫৪ সালের ৯ই বৈশাখ শেষ হয়। এরপর মুদ্রিত করিবার চেষ্টা হইলেও সে চেষ্টা তখন ফলবতী হয় নাই।
সমুদ্র মন্থন করত যে সুধা উত্থিত হয় তাহা পান করিয়া দেবগণ জরা মরন শূন্য হইয়াছেন বটে কিন্তু জ্বালা-যন্ত্রণার হাত হইতে নিস্তার পান নাই; কিন্তু নাম-সুধাপানকারী মানবগণের সকল যন্ত্রনা চিরদিনের জন্য দূরীভূত হইয়া যায়।
এই নাম সুধা সতত যে নর-নারীগণ পান করেন, তাহাদের সুখ দুঃখ জ্বালা অভাবও সুধাময় হইয়া যায়। তাহারা জীবনে মরণে পরমানন্দে অবস্থান করিয়া থাকেন। নাম সুধাই মানুষকে প্রকৃত অমরত্ব অমৃতত্ব প্রদান করেন। নাম সুধা অনুক্ষণ পানকারীগণ জীবন্মুক্ত । রোগী শোকী পাপীতাপী সকলেই এ সুধাপানের অধিকারী। এ সুধাপানের স্থান-কাল শৌচ অশৌচ বিচার নাই হেলায় শ্রদ্ধায় কেবল পান করিলেই মানবমাত্রেই কৃতার্থ হন।
জয় নাম জয় নাম জয় নাম ।
শ্রীমান অনাদিনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রীমান প্রাণকৃষ্ণ চক্রবর্তী সুধার ধারা সকলকে পান করাইবার জন্য ইচ্ছুক হয় । অনাদির অর্থব্যয়ে, প্রাণকৃষ্ণের চেষ্টায় সুধার ধারা প্রকাশিত হইল। ইহা পাঠে নাম প্রেমিকগণ সহ শ্রীমানদ্বয় ভগবদ্ভক্তি লাভে ধন্য হউক।
ইতি শ্রী সীতারামদাস
ওঙ্কারনাথ
আনন্দমঠ, গণপুর,
পূর্ণিমা, ১৩৫৫ বঙ্গাব্দ।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке