Скачать или смотреть কলম্বিয়া কি গ্যংস্টারদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ || বিচিত্র দেশ বিদেশ

একটি দেশ মূলত পরিচিত হয় তার ভৌগোলিক অবস্থান, বা তার গৌরবময় ইতিহাস দিয়ে। কিন্তু আজ আমরা যে দেশটি নিয়ে আলোচনা করব তার নাম শুনলেই সবাই একটু নড়েচড়ে বসে! এখন চলুন একটি উত্তর খুঁজি “কলম্বিয়া কি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর গ্যাংস্টারদের দেশ?” বিচিত্র দেশ বিদেশ এর আজকের পর্বে আমরা কলম্বিয়া নিয়েই আলোচনা করব।
রক্তাক্ত রাস্তা, মাদক কার্টেলের সম্রাট, আর একটি সময়ের ভয়ংকর অপরাধের ইতিহাস। যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৭৬ জন খুন হতো, যেখানে একজন মাদক সম্রাট এতটাই ক্ষমতাবান ছিল যে সে নিজস্ব সেনাবাহিনী বানিয়ে ফেলেছিল! যেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোকেন সরবরাহকারী হয়ে উঠেছিল, এবং যার মাফিয়ারা শুধু কলম্বিয়াকেই নয়—পুরো বিশ্বকে আতঙ্কিত করেছিল!*
কলম্বিয়ার অপরাধের শেকড় বহু পুরনো। তবে এটি ভয়ংকর রূপ নিতে শুরু করে ১৯৭০-এর দশকে, যখন দেশটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাদক উৎপাদন ও পাচারকারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এই কলম্বিয়াতে ছিল বড় বড় মাদক কার্টেল—মেদেলিন কার্টেল ও ক্যালি কার্টেল পুরো দেশকে নিয়ন্ত্রণ করল। তারা শুধু মাদক ব্যবসা করত না, বরং নিজস্ব গেং গড়ে তুলেছিল। "এবং এই সাম্রাজ্যের রাজা ছিলেন পাবলো এস্কোবার। তিনি শুধু মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না—তিনি ছিলেন একজন সম্রাট। পাবলো এস্কোবার ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। একসময় তিনি বিশ্বের ৭০% কোকেন নিয়ন্ত্রণ করতেন তার সম্পদ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার, নিজস্ব চিড়িয়াখানা, বিমানবন্দর, এমনকি নিজের সেনাবাহিনী! তার শাসনামলে কলম্বিয়া হয়ে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর দেশ।
কলম্বিয়ার মাদক শুধু দেশের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল না। এটি ছড়িয়ে পড়ল সারা বিশ্বে। ভৌগলিক কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর সাথে কালম্বিয়ার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এ কারনেই কলম্বিয়ার মাদকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ডলারের কোকেন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করা হতো। এর ফলে মার্কিন সমাজে গুরুতর প্রভাব পরে। যা কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার সিদ্ধান্ত নেয় আর চুপ করে না থাকার।"
এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে:
✅ ১৯৯৯ সালে ‘প্ল্যান কলম্বিয়া’ নামে একটি প্রোগ্রাম শুরু হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার সরকারকে সাহায্য ও সামরিক সহায়তা দেয়।
✅ ২০০০-এর পর থেকে ড্রাগ বিরোধী অভিযান আরও কঠোর হয়।
🎙 "কিন্তু এতে কি অপরাধ কমেছিল? না! বরং নতুন নতুন মাফিয়া গ্যাং তৈরি হয়, এবং সহিংসতা আরও বেড়ে যায়।"
কিন্তু এখন? কলম্বিয়া কি আগের মতোই ভয়ংকর? নাকি তারা নতুন এক অধ্যায় শুরু করেছে? আজ জানবো কলম্বিয়ার অপরাধ, মাদক সাম্রাজ্য, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং বর্তমান বাস্তবতা!"
অপরাধের অন্ধকার এর অনেক নেতিবাচক চেহারা থাকার পরও, বর্তমানে কলম্বিয়ার এক নতুন চেহারা ধরা দিয়েছে। আর সেটা হল “পর্যটন”
একটি রক্তাক্ত অতীতের দেশ কীভাবে এখন দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠছে/
কলম্বিয়ার রয়েছে ক্যারিবিয়ান উপকূলের চোখ ধাঁধানো সমুদ্রসৈকত, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
সেই সাথে আন্দিজ পর্বতমালা ও অ্যামাজন জঙ্গলের বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য অ্যাডভেঞ্চার ও নেচার ট্রেকিং।
এছারা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ভাবে কলম্বিয়া অনেক কাল আগে থেকেই কানায় কানায় পরিপূর্ন। কখনো যদি কার্তাহেনা শহর এবং কলম্বিয়ার ঐতিহাসিক স্থাপনা ভ্রমন করেন, তবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন হবে বলাই যায়।
আর তাদের সালসা আর কুম্বিয়া নাচের শহর হিসেবে পরিচিত কলম্বিয়া! যা মিউজিক ও ড্যান্স এর ক্ষেত্রে কলম্বিয়াকে আলাদা করেছে।
🎙 "বিশ্বের বহু পর্যটক বলছেন, কলম্বিয়া এখন আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ এবং এখানে এসে এক অনন্য সংস্কৃতির স্বাদ পাওয়া যায়!"
তারপরও কলম্বিয়া ভ্রমনে আপনাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে: যেমন
✅ রাতের বেলা নির্জন জায়গায় যাওয়া থেকে বিরত থাকা ।
✅ সেই সাথে ভ্রমণের সময় লোকাল গাইড নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
✅ অপরিচিত নির্জন জায়গা এড়িয়ে, জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর দিকেই নজর দেওয়া ভালো।

In this documentary, we are trying to tell the story about the diversity of people, communities documention and cultures, as well as describe the beautiful and mysterious places, history and civilization, and many more.
So, if you want to know new things via a documentary. Don't forget to subscribe to us.

Our FACEBOOK page:   / bichitrodeshbidesh  


Disclaimer:
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner, but the contents used here fall under the “Fair Use”
Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational, or personal use tips the balance in favor of fair use.