বায়তুল মুকাদ্দাস কেন মুসলমানদের দখলে আসে না_____Mufti Abul Fazol Habiganji
Why Baitul Muqaddas is not occupied by Muslims
🟢বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিন মুসলমানদের কাছে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
____________________________________________________________________
🟢#বায়তুল_মুকাদ্দাস_ও_ইসরাইলি_রাষ্ট্রের_ইতিহাস
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) কর্তৃক কাবাঘর নির্মাণের চল্লিশ বছর পর তাঁর ছেলে হজরত ইসহাক (আ.)-এর সন্তান হজরত ইয়াকুব (আ.) ফিলিস্তিনের জেরুজালেম নামক স্থানে ‘আল-আকসা’ মসজিদটি নির্মাণ করেন। অতঃপর তাঁর ছেলে হজরত ইউসুফ (আ.)-এর বংশধর হজরত দাউদ (আ.)-এর সন্তান হজরত সুলাইমান (আ.) তা পুনঃনির্মাণ করেন। বায়তুল মুকাদ্দস আসলে হাজার হাজার বছর ধরে মুসলমানদের অধীনেই ছিল।
কিন্তু ইংরেজেদের সহায়তায় ইহুদীরা ষড়যন্ত্র করে মুসলমানদের কাছ থেকে জোর করে এই পবিত্র মসজিদটি দখল করে নিয়েছে। এখনও ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাগুলো। বর্তমান জেরুজালেমের পূর্ব নাম ছিল আল-কুদস যেখানে বায়তুল মুকাদ্দস মসজিদটি অবস্থিত। বায়তুল মুকাদ্দস মসজিদটির আর এক নাম হলো মাসজিদুল আকসা অর্থাত দূরবর্তী মসজিদ।
🟢#মুসলমানের_প্রথম_কেবলা
বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ হলো মুসলমানের প্রথম কেবলা যার দিকে মুখ করে মুসলমানগণ নামাজ আদায় করতো। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ওহি লাভ ও নবুয়ত প্রকাশের সময় ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ই কিবলা ছিল। নবীজি (সা.) মদিনায় হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এই কিবলা পরিবর্তন হয়ে পুনরায় ‘কাবা’ কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। মদিনা শরিফে দুই কিবলার মসজিদও রয়েছে। ঐতিহাসিক এই ঘটনাকে ‘তাহবিলে কিবলা’ বা কিবলা পরিবর্তন বলা হয়। এই থেকেই ইসলামের দ্বিতীয় কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের প্রথম কিবলা হিসেবে পরিচিত হয়।
🟢#কুরআন_হাদিসে_বায়তুল_মুকাদ্দাস_ও_ফিলিস্তিন
বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিন যে বরকতময় এলাকা তা কুরআন-হাদিসের অনেক জায়গায় আলোচনায় এসেছে। পবিত্র কুরআনে বায়তুল আকসা মসজিদটির নাম সরাসরি এসেছে। পবিত্র কুরআনে কয়েক জায়গায় বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনের আলোচনা স্থান পেয়েছে। যেমন:
🟢#ইসরা_ও_মিরাজের_ভূমি
আল্লাহ তায়ালা বলেন, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (সূরা বনী ইসরাইল:১)। জেরুজালেম হলো ইসরা বা রসুলুল্লাহর (সা.) রাত্রিকালীন ভ্রমণের সর্বশেষ জমিন। এখানে তিনি সকল নবীর নামাজের ইমামতি করেন। তার পর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা যেন প্রমান করেন, বিশ্ব ধর্মীয় নেতৃত্ব ইহুদীদের কাছ থেকে নতুন রসুল, নতুন কিতাব ও নতুন উম্মতের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এখানে যদি ফিলিস্তিনিদের গুরুত্ব না থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবীকে মক্কা থেকেই সরাসরি ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করাতেন।
🟢#নবুয়াত_ও_বরকতময়_অঞ্চল
কুরআনের কয়েকটি স্থানে মহান আল্লাহ তায়ালা ফিলিস্তিনকে বরকতময়, পূণ্যময় ভূখন্ড বলেছেন।
(সূরা বনী ইসরাইল:১)( সুরা আম্বিয়া:৭১)(সূরা আ’রাফ: ১৩৭)(সুরা আম্বিয়া:৮১)(সূরা সাবা:১৮)
🟢#তৃতীয়_সম্মানিত_শহর
হাদিসের আলোকে প্রমানিত যে, তিনটি শহর সম্মানিত; মক্কা, মদিনা ও ফিলিস্তিন বা বায়তুল মুকাদ্দাস। সহিহ বুখারিও মুসলিমে হজরত আবু সাইদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত রসুল (সা.) বলেন, তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো (জায়গা ইবাদাতের) উদ্দেশ্যে ভ্রমণে বের হওয়া যাবে না- মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা এবং আমার এই মসজিদ। অন্য হাদিসে এসেছে, মসজিদুল আকসায় ১ রাকাত নামাজ আদায় অন্যান্য মসজিদের তুলনায় ৫০০ গুণ, মসজিদুল হারাম এবং মসজিদুন নববী ব্যতীত (বুখারি, মুসলিম)। আর এক হাদিসের বর্ণনায় এসেছে, ‘কাবা শরিফ তথা মাসজিদুল হারামে নামাজে এক লাখ গুণ সওয়াব, মদিনা শরিফে মসজিদে নববিতে নামাজে পঞ্চাশ হাজার গুণ সওয়াব, বায়তুল মুকাদ্দাসে নামাজে পঁচিশ হাজার গুণ সওয়াব।
🟢#অসংখ্য_নবীর_মাজার_যেখানে
বাযতুল মোকাদ্দাসের পবিত্র চত্তরে ঘুমিয়ে আছেন অসংখ্য নবী-রসুল (আ.)। ইতহাস থেকে জানা যায়, নবী ইব্রাহিম (আ.), মুসা (আ.), দাউদ (আ.), সুলাইমান (আ.), জাকারিয়া (আ.) সহ শতশত নবীর কবর মোবারক রয়েছে এই বায়তুল মোকাদ্দাসের আশেপাশে। পূর্বের বড় বড় সকল নবীই নাকি অছিয়ত করে গিয়েছিলেন তাদের কবরকে বায়তুল মোকাদ্দাসের পবিত্র অঙ্গনে করার জন্য। বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদ এবং তার আশপাশের এলাকা বহু নবীর স্মৃতিবিজড়িত স্থান। এ পবিত্র নাম শুধু একটি স্থানের সঙ্গে জড়িত নয় বরং এ নাম সব মুসলমানের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মুসলিমদের সব দল, উপদল, মাজহাব এ ব্যাপারে একমত যে, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, মসজিদে আকসা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক উচ্চ। এর সংরক্ষণ, পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়; বরং সব মুসলিমের ওপর দায়িত্ব। ঐতিহাসিকভাবেই এটি মুসলমানদের পবিত্র স্থান। মুসলমানরা তাদের পবিত্র ভূমি, প্রথম কিবলা পবিত্রতম মসজিদ দ্রুত ফিরে পাক- এটাই আমাদের কামনা। Latest world AH
#আল_আকসা_মসজিদ_ফিলিস্তিন
#Latest_world_AH
#আমরা_কি_কি_আপসোস_করি
#বায়তুল_মুকাদ্দাস_কেন_মুসলমানদের_দখলে_আসে_না
#Palestine
#Mufti_Abul_Fazol_Habiganji
#ফিলিস্তিন
#প্যালেস্টাইন
#masjid_aqsa_history_in_Bangla
#আল_আকসা_মসজিদ
#আল_আকসা_মসজিদ_ফিলিস্তিন
#Why_Baitul_Muqaddas_is_not_occupied_by_Muslims
#আল_আকসা_মসজিদ_এর_ইতিহাস
#আল_আকসা_মসজিদ_নিয়ে_হাদিস
Latest world AH
_______________________________________________________________
Latest world AH please subscribe my youtube & follow FB page
Информация по комментариям в разработке