Скачать или смотреть ফিলিস্তিনের আসল মালিক কারা?

#history #palestine #jews #ehudi #worldhistory
যতদূর জানা যায়, বর্তমান ফিলিস্তিনের আদি অধিবাসী ছিলেন কেনানাইট জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দের দিকে তারা এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। কেনানাইটরা ছিল হযরত নুহ (আ) এর নাতি কেনানের বংশধর। কেনানের নামানুসারেই এই স্থানটির নাম হয়েছিল কেনান।

ওদিকে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ) বেড়ে উঠেছিলেন সুমেরীয় সভ্যতা রাজধানী ক্যালেডীয় উড় নগরে।১৯৬০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে আরব মরুভূমির যাযাবরদের আক্রমনে শহরটি একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়। আর ঐ সময় ইব্রাহিম (আ) তার পরিবারের সাথে উত্তর মেসোপটেমিয়ার শেষ সীমানায় অবস্থিত হেরান নামক শহরে এসে বসতি স্থাপন করেন। তবে সেখানে তিনি বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেননি। তার একেশ্বরবাদী ধারণা তাকে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

ছোটবেলা থেকে তিনি আর সবার মতোই বহু দেব-দেবীর উপাসক ছিলেন। কিন্তু দিব্যজ্ঞান বা নবুয়ত প্রাপ্তির পর নিরাকার একেশ্বরবাদী ধারণার কারণে তাকে আত্বীয় স্বজনের বিরাগভাজন হতে হয়। এবং শেষ পর্যন্ত তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়।

স্ত্রীসহ হযরত ইব্রাহীম (আ) কেনানে গিয়ে উপস্থিত হলেন। কেনানের দক্ষিণাংশে স্ত্রীসহ বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু তার স্ত্রী সারাহ বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত কোনো সন্তান ধারণ করতে পারেননি। শেষমেষ বংশ রক্ষার জন্য তার স্ত্রী তাদের এক মিশরীয় দাসী হ্যাজার যিনি মুসলমানদের কাছে বিবি হাজেরা নামে পরিচিত, তার সাথে বিয়ে দেন। অবশেষে বিবি হাজেরার ঘর আলোকিত করে আসলেন হযরত ইব্রাহীম (আ) এর প্রথম বংশধর হযরত ইসমাইল (আ)।
অন্যদিকে আল্লাহর কুদরতে হযরত ইব্রাহীম (আ) এর প্রথম স্ত্রী সারাহর ঘরেও জন্মগ্রহণ করেন ইহুদি জাতির পিতা আইজ্যাক বা হযরত ইসহাক (আ)।
এরপর সারাহর পরামর্শে হযরত ইব্রাহীম (আ) ইসমাইল সহ বিবি হাজেরাকে নির্বাসিত করতে বাধ্য হন। ওই সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত ইব্রাহীম আ কে জানিয়ে দেয়া হয় যে, ইসমাইলের বংশধরগণ একটা মহান জাতিতে পরিণত হবে। সেই ইসমাইলের বংশধররাই পরবর্তীতে আরব জাতিতে পরিণত হয় এবং তারা শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রাপ্ত হয়।

মু ধন্যবাদসলিমরা হযরত ইব্রাহীম আ কে তাদের জাতির পিতা মনে করলেও ইহুদিরা আইজ্যাক বা ইসহাকেই তার একমাত্র বৈধ উত্তরসূরী দাবি করে। এবং তারা ইসহাকে তাদের জাতির পিতা হিসেবে মান্য করে। ইব্রাহীম আ এর পর তার স্বগোত্রের কিছু লোক পরবর্তীতে কেনানে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। একারণে ইসহাকের বিয়ে দেয়া হয়েছিল নিজ গোত্রের রমনীর সাথে। ইহুদিরা এটাকেই তাদের জাতির বিশুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে মনে করে।

কালক্রমে বংশবৃদ্ধির ফলে ইসহাক আ এর বংশধরেরা কেনানের মধ্য এবং উত্তরাঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে আসেন। আইজ্যাক বা ইসহাক আ এর পুত্র ছিলেন জ্যাকব বা ইয়াকুব আঃ। তার অন্য আরেকটি নাম ছিল ইসরাইল। আর এই ইসরাইল নামানুসারেই পরবর্তী সময়ে ইহুদি রাষ্ট্রের নামকরণ করা হয় ইসরাইল। জ্যাকবের বারোজন পুত্র বারোটি গোত্রে বিভক্ত হয়ে সমগ্র কেনানে ছড়িয়ে পড়ে।

ইহুদিরা বর্তমান ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের উপর তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের ধর্ম গ্রন্থের একটি উক্তি দ্বারা প্রভাবিত।
তাদের ধর্ম গ্রন্থে বলা আছে যে, সৃষ্টিকর্তা সয়ং আত্বপ্রকাশ করে আব্রাহামকে দিব্যজ্ঞানে জ্ঞানান্বিত করেছিলেন। সাথে এও বলেছিলেন যে, তার বংশধরেরা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়ে সব জাতির উপর আধিপত্য বিস্তার করবে। এবং সৃষ্টিকর্তাই সয়ং পথ দেখিয়ে আব্রাহামকে কেনানে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

একই কথা ইসলাম ধর্মেও বলা হয়েছে। তবে ইহুদিদের আধিপত্য বিস্তার শব্দগুলোর জায়গায় ইসলাম ধর্মে সম্মানিত করা শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ অন্যান্য জাতির কাছে ইব্রাহীমের বংশধরেরা সম্মানিত হবেন।

তবে ইহুদিরা সৃষ্টিকর্তার বাণীকে বিশ্বাস করলেও সৃষ্টিকর্তার সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি। এজন্য তারা হযরত ইব্রাহীম আঃ এর প্রথম পুত্র ইসমাইল আঃ কে তার বংশধর মনে করেনা। আর তাদের সেই গোমরাহের কারণে কিয়ামতের পূর্বেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পৃথিবী থেকে ইহুদি দাবি করা মানুষগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে।
‪@Histrography360‬