খালেদা জিয়া কি হাসিনাকে ক্ষমা করেছেন? | শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দুর্লভ ভিডিও | Khaleda Zia Crying
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় ১০ বছর ধরে নিরন্তর শোচনীয় ঘটনার শিকার হয়েছেন যেমন: বাসা থেকে উচ্ছেদ, বিতর্কিত বিচার, কারাকালীন দুর্ভোগ। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর খালেদা কোথাও তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেনি, যদিও খালেদা জিয়া কে শেখ হাসিনা অনেক অপদস্থ করেছেন এমনকি কারাভোগ পর্যন্ত করিয়েছিলেন যেখানে খালেদা জিয়া প্রায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। অথচ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া ১৫ বছর আগে তাদের মধ্যে সু-সম্পক বজায় ছিল। "বাংলাদেশের রাজনীতি মানেই যেন তীব্র বিরোধিতা, কাঁদা ছোড়াছুড়ি। কিন্তু শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে একসময় ছিল বন্ধুত্ব, ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। আজও কিছু ক্ষেত্রে সেই মানবিকতার উদাহরণ পাওয়া যায়।
"শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক পতনের পর, অবাক করার মতো বিষয় হলো, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাদের নেতা-কর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—হিংসার পথ নয়, শান্তির পথে হাঁটতে। এমনকি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য পর্যন্ত করেননি তারা। এই ভদ্রতা এবং সহনশীলতা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল উদাহরণ।"একসময় শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও ব্যক্তিগতভাবে বেশ ভালো বন্ধু ছিলেন ।
তারা একে অপরের সঙ্গে হাসিমুখে সময় কাটিয়েছেন, এমনকি অনেক বিষয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় রাজনৈতিক ঘটনার কারণে এই সম্পর্ক দূরত্বে পরিণত হয়।"শেখ হাসিনার পতনের পর, বিএনপি পারতো ধ্বংসাত্মক কথাবার্তা বা কর্মকাণ্ড করতে। কিন্তু তারা দেখিয়েছে ভদ্রতার এক নতুন মানদণ্ড। খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বারবার বলেছেন, প্রতিশোধ নয়, শান্তি চাই। বিএনপির এই দৃষ্টিভঙ্গি রাজনীতিতে এক ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা জাগায়।"শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া—বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চের দুই প্রধান চরিত্র।
এক সময় তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ভদ্রতা রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য নজির। যদি এই উদাহরণ থেকে সব দল শিখতে পারে, তবে বাংলাদেশ পাবে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ।"২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠাননির্ভর একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সমাজ, খেলাধুলা—সবকিছুই তখন আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। রাজনীতির মাঠ থেকে খেলাধুলার অঙ্গন—সর্বত্রই আওয়ামী লীগের একচেটিয়া দাপট ছিল। রাজনীতির মাঠে বিরোধী মতের জন্য জায়গা বেশ সংকুচিত হয়ে গেছে। বিরোধী পক্ষ মানে বিএনপির প্রতিটি সভা-সমাবেশের আগে ধরপাকড় এখন নিয়মিত ঘটনা। ধরপাকড়ের চিত্রটি কমবেশি একই ধরনের। বিএনপি মহাসমাবেশ বা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেই বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হানা দিতে শুরু করেন গোয়েন্দারা। রাতবিরাতে আটক করে ধরে আনা হয়। বিরোধী দলকে মাঠে দাঁড়াতেই দিচ্ছে না। গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। কাউকে পাত্তা না দিয়ে নিজেদের মতো করেই দুটি নির্বাচন করে ফেলেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে একচেটিয়াভাবে জিতে এসে সরকার গঠন করেছিল। দু-দুটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করার পরও আওয়ামী লীগের অবস্থান কেউ টলাতে পারেনি তখন। আজকের ভিডিও এ পর্যন্ত। দেখা হবে পরে এমন আরো খবর নিয়ে। ধন্যবাদ।
Keyword:
খালেদা জিয়া,খালেদা জিয়া হাসিনাকে ক্ষমা করলেন,খালেদা হাসিনাকে ক্ষমা করেছেন,খালেদা হাসিনাকে ক্ষমা,হাসিনাকে ক্ষমা করেছেন,বেগম খালেদা জিয়া,শেখ হাসিনাকে নিয়ে যা বললেন খালেদা জিয়া,বেগম খালেদা জিয়া কি মারা গেছেন? সত্য নাকি গুজব,খালেদাকে কে ক্ষমা করবেন?,ক্ষমা পেয়ে যাবে খালেদা জিয়া,রাষ্ট্রপতির কাছে খালেদা জিয়ার ক্ষমা,রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেলে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা,খালেদা জিয়া তারেক রহমান,শেখ হাসিনা,খালেদাকে কে ক্ষমা,ক্ষমা করেছেন
Информация по комментариям в разработке