আল্লাহ বলেন, আদমের নিমিত্তে সিজদা কর সুরা আরাফ ৭ঃ১১/ সুরা বাকারা ২ঃ৩৪ /সুরা হিজর ১৫ঃ২৯/ সুরা বনি ইসরাইল ১৭ঃ৬১/সুরা কাহাফ ১৮ঃ৫০/সুরা ত্বোহা ২০১১৬ /সুরা সাদ ৩৮ঃ৭২। অনেকেই মনে করেন এই সকল আয়াতে আদম সত্তাকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে ফেরেস্তারা ব্যক্তি আদমকে সিজদা দিয়েছে। এই বুঝটা ঠিক নয়। কারণ সিজদা একমাত্র আল্লাহর হক সুরা হামিম সিজদা ৪১ঃ৩৭। আল্লাহ ছাড়া সিজদা হারাম। অর্থাৎ সকল সিজদা একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে সুরা জিন ৭২ঃ১৮। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি আদম সিজদা পাওয়ার অধিকারী এমন বিশ্বাস করলে আদমের নিমিত্তে সিজদার আয়াতগুলোর সাথে সুরা জিন ৭২ঃ১৮ আয়াত পরস্পর বিরোধী বলে গণ্য হয়, কিন্তু না এই কুরআনের কোনো আয়াত অন্য কোনো আয়াতের সাথে পরস্পর বিরোধী নয়, অর্থাৎ এই কুরআনের এক আয়াত আরেক আয়াতের পরিপন্থি নয় বরং এক আয়াত আরেক আয়াতের পরিপূরক এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেকেই মনে করন যে, আদম হয়ত ফেরেস্তাদের থেকে উত্তম ছিল, তাই ফেরেস্তারা ব্যক্তি আদমকে সিজদা দিয়ে শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আদমকে। কিন্তু কথাটা ঠিক নয়, কারণ যদি আয়াতে বলা হত, ওয়াসজুদুলি ইনসানা তাহলে ফেরেশতা ও জিন থেকে ইনসান শ্রেষ্ঠ আর তাই ইনসানকে সিজদা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু না, কিন্তু এখানে এমন আয়াত নেই বিধায় শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আদমকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ঐ সিজদার হুকুম ছিল না এটা নিশ্চিত। আদম ফেরেস্তার দলভুক্ত হওয়ার আশায় ইবলিসের ধোঁকায় পড়ে নিষিদ্ধ বৃক্ষ থেকে ভক্ষণ করেছিল সুরাআরাফ ৭ঃ২০ আয়াত। এতে বুঝা যায় যে, আদম নিজেকে ফেরেস্তা থেকে উত্তম মনে করে না। তা ছাড়া ইবলিস নিজেকে আদম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ দাবী করেছে সুরা আরাফ ৭ঃ১২। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব তারাই, যারা ইমান আনে এবং সৎকর্ম করে সুরা বাইনিয়াহ ৯৮ঃ৭। পক্ষান্তরে নিকৃষ্ট জীব তারাই, যারা কাফির, অতঃপর ইমান আনে না সুরা আনফাল ৮ঃ৫৫ আয়াত। কাজেই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট এটা জন্মগত বা সৃষ্টিগত ব্যাপার নয়, এটা কর্মফলের ব্যাপার। কাজেই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট বুঝাবার লক্ষ্য আদমের নিমিত্তে সিজদার হুকুম হয় নি এটা নিশ্চিত। বরং আদম সিজদার অন্য কারণ আছে, সেটা হচ্ছে এই যে, আদমের মধ্যে দুইটি স্বত্তার অস্তিত্ব স্থাপন করা হয়েছে। (১) ব্যক্তি আদম সত্তা, যেটাকে নফ্স নামে অভিহিত করা হয়েছে। আদমের মধ্যে যখন নফ্স সত্তা স্থাপন করা হয়েছিল তখন সিজদার হুকুম হয় নি, কারণ প্রত্যেক নফসের মৃত্যু আছে সুরা আনকাবুত ২৯ঃ৫৭। ২য়টি হচ্ছে সৃষ্টার নিজস্ব সত্তা যেটাকে রুহু নামে অভিহিত করা হয়। আসলে রুহু প্রভু স্বত্তা, সুরা বনি ইসরাইল, ১৭ঃ৮৫। আদমের মধ্যে যখন আল্লাহর নিজ রুহু তথা প্রভু সত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল তখনই সেখানে সিজদার হুকুম হয়েছিল সুরা হিজর ১৫ঃ২৯ এবং সুরা সাদ ৩৮ঃ৭২। তাহলে দেখা গেল, ফেরেস্তারা আদমকে কেবলা করে ব্যক্তি আদম সত্তাকে বিলীন করে বরং আল্লাকেই সিজদা দিয়েছে, বিধায় আদমের নিমিত্তে সে সকল সিজদার হুকুম ছিল সেটা ছিল আল্লাহর উদ্দেশ্যেই সিজদা, তাই এই সকল সিজদাও দ্বীনি সিজদা। কারণ সিজদার ব্যবহার বা প্রয়োগ কখনো দুনিয়াবি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, বরং সিজদার ব্যবহার বা প্রয়োগ সবসময়ই হবে দ্বীনের ক্ষেত্রে। যেহেতু দ্বীনের সকল বিষয় একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য সুরা যুমার ৩৯ঃ৩ । সেহেতু আদমের নিমিত্তে যে সিজদা ছিল, সেটাও নিশ্চয়ই আল্লাহর উদ্দেশ্যে। তবে এখানে আর একটি বিষয় পরিস্কার ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন, যে তিনটি কারণে আল্লাহ আদমের নিমিত্তে সিজদা দিতে বলেছিলেন তা নিম্নরূপঃ- আল্লাহর নিজ রুহু আদমের মধ্যে ফুৎকার করা হয়েছিল সুরা হিজর,১৫ঃ ২৯ এবং সুরা সাদ, ৩৮ঃ৭২। এই ভিডিওতে এই ভিডিওতে আপনারা আরো জানতে পারবেন খারাপ জ্বীন থেকে কিভাবে বাঁচতে হয় পশু পাখির থেকে কিভাবে আলাদা করা যায় জিনের জগৎ সম্পর্কে, জিন কত প্রকার ও কি কি? এবং আরো জানতে পারবেন কোরআন ও হাদিস এ সম্পর্কে কি বলে আপনারা জানতে পারবেন এই আলোচনাটি তে জিন আল্লাহ তাআলার একটি সৃষ্টি। যেমন তিনি ফেরেশ্তা, মানুষ সৃষ্টি করেছেন তেমনি সৃষ্টি করেছেন জিন। তাদের বিবেক, বুদ্ধি, অনুভূতি শক্তি রয়েছে। তাদের আছে ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা। তাদের মধ্যে আছে ভাল জিন ও মন্দ জিন। আল কুরআনে জিনদের বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে: ইবলিস অভিশপ্ত শয়তানের নাম । এই ইবলিস শব্দটি পবিত্র কোরআনের ৯ টি সূরায় মোট ১১ নার উল্লেখিত হয়েছে ।
                         
                    
Информация по комментариям в разработке