বন ধনের উপকারিতা | বন ধনে বা বন ধনিয়া, মিছরিদানা, চিনিগুড়া, চিনিপাতা

Описание к видео বন ধনের উপকারিতা | বন ধনে বা বন ধনিয়া, মিছরিদানা, চিনিগুড়া, চিনিপাতা

গাছ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশের নাম। কিন্তু আমরা কি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানি? আমাদের এক প্রকৃত বন্ধু হলো গাছ। সৃষ্টির শুরু থেকে আমাদের নানা উপকারের অন্যতম মাধ্যম হলো গাছ। কি না দেয় এই গাছ?
আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করা থেকে শুরু করে, দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের যোগান, জৈবিক চাহিদা পূরণ, ঘর সাজসজ্জা কাজে, বিরল রোগ থেকে উদ্ধারে পরিপূর্ণরূপে ভূমিকা পালন করে থাকে গাছ। এক কথায় গাছের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। গাছ যে আমাদের নানা ধরণের রোগ মোকাবেলায় ভূমিকা পালন করে তা কি আপনারা জানেন?
এমন বহু গাছ রয়েছে যারা আমাদের নানা ধরনের রোগ থেকে উদ্ধার করতে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু, আমরা কয়জন সেই সকল ঔষধি গাছ পরিচিতি জানি? তাই, আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ঔষধি গাছের গুণাগুণ তুলে ধরতে চেষ্টা করছি প্রতি মুহূর্তে , আজ আপনাদের জানাবো বন ধনে সম্পর্কে
একটি বনজ ফুল হিসেবে খ্যাত, পাতা দেখতে অনেকটা বড় ধনে পাতার মতো এবং ঝোড়ো জংগলে জন্ম হওয়ায় একে বন ধনে বলা হয়ে থাকে । এই গাছ নানান ধরণের রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী,
এর বৈজ্ঞানিক নাম সুইট ব্রোম ।এই বনধনে গাছকে আরো অনেক নামে জানা যায় যেমন, ফুরফুরি, বনধুনি, বন ধনীয়া, বন্দনী, মিডালি, ইত্যাদি।

গুরুত্ব বা ব্যবহারঃ
★ এটি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।
★ এর রস রক্ত আমাশয়ে ভালো কাজ দেয়। তবে বয়স যত কম হবে রস তত পাতলা করে নিতে হবে। রসের পরিমাণ এক চা চামচ পরপর তিনদিন।
★ মুখে ঘা হলে পাতা চিবুলে ঘা ভালো হয়।

★ মারমা উপজাতিরা শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছে এমন শিশুদের বা ক্ষুধামন্দা দূর করার জন্য এর পাতা, ফল ও শিকড় খেতে দেয়।
★ খাসিয়া উপজাতিরা ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হলে বাচ্চাদের গাছের রস দুই ফোটা খেতে দেয়।
★ গ্যাস্ট্রিক, আলসার রোগের চিকিৎসায় পাতার রস ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় ।
★ চোখে রক্তজমাট বাধলে এর চিকিৎসায় পাতার রস দিনে দুইবার ব্যবহার করা হয়।
★ জ্বর, গনোরিয়া, মাথাব্যাথা, জন্ডিস, ডায়াবেটিস, আমশায়, কানব্যাথায় এর ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় ।
★ টাঙ্গাইল জেলায় আমাশয় রোগে গুঁড়ের সাথে মিশিয়ে পাতার রস খাওয়া হয়।
★মুরং উপজাতিরা জ্বর, রক্ত-আমাশয় ও ম্যালেরিয়া জ্বরে পাতার রস দুই চা চামচ করে সকাল- বিকাল ০৭ দিন বা উপসম হওয়া পর্যন্ত খায়।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке