সূরা ৫৬।আল ওয়াকিয়াহ আয়াত ৬৮-৭৪।আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা দরকার

Описание к видео সূরা ৫৬।আল ওয়াকিয়াহ আয়াত ৬৮-৭৪।আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা দরকার

সূরা ৫৬।আল ওয়াকিয়াহ আয়াত ৬৮-৭৪।
আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা দরকার
اَفَرَءَیۡتُمُ الۡمَآءَ الَّذِیۡ تَشۡرَبُوۡنَ ﴿ؕ۶۸﴾
৬৩-৭৪ নম্বর আয়াতের তাফসীর : এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কয়েকটি নেয়ামতকে চিন্তার দৃষ্টিতে অবলোকন করার জন্য মানব জাতিকে দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন। এগুলোতে মানুষের কোন হাত আছে নাকি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই করে থাকেন। যেমন যে বীজ কৃষক জমিনে বপন করে তা থেকে এমনিই ফসল হয়ে যায়? কৃষক শুধু ক্ষেতে বীজ বপনের উপযোগী করে বীজ বপন করে সে বীজ বিদীর্ণ করে, মাটি ভেদ করে অঙ্কুরিত করে, ফসল ফলান কে? তিনি হলেন একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে বীজের অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে ফসল সবুজ শ্যামল করে বড় করে তোলার পর পাকার উপক্রম হলেও শুকিয়ে খড়কুটোয় পরিণত করে দিতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা বান্দার প্রতি অনুগ্রহশীল। حُطَامًا অর্থ খড়কুটো, আগাছা। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : তোমাদের কেউ যেন না বলে ‘যারা’আতু’ বা আমি রোপণ করেছি বরং বলবে ‘হারাসতু’ বা চাষ করেছি। কেননা আল্লাহ তা‘আলা হলেন ‘যারে’ বা রোপণকারী। (সিলসিলা সহীহাহ হা. ২৮০১) তারপর আল্লাহ তা‘আলা আকাশ হতে যে সুপেয় পানি বর্ষণ করেন তা নিয়ে চিন্তা করতে বলছেন, তিনি ইচ্ছা করলে তা লবণাক্ত করে দিতে পারেন। الْمُزْنِ অর্থ মেঘমালা। أُجَاجًا অর্থ লবণাক্ত। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আগুন সম্পর্কে চিন্তা করার কথা বলছেন, যে আগুন মানুষ জ্বালায়। আগুন সৃষ্টি হয় যে বৃক্ষ থেকে তা তো আল্লাহ তা‘আলাই সৃষ্টি করেছেন। বলা হয় আরবে দুটি গাছ আছে মার্খ ও আফার। এ দু’টি গাছের ডাল নিয়ে যদি পরস্পরের সাথে ঘষা দেয়া হয় তবে তা থেকে আগুনের ফুলকি বের হয়। (نَحْنُ جَعَلْنٰهَا تَذْكِرَةً) অর্থাৎ দুনিয়ার আগুনকে আমি জাহান্নামের আগুনের স্মারক করে দিয়েছি। যেমন হাদীসে এসেছে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : আদম সন্তান যে আগুন জালিয়ে থাকে তা জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের এক ভাগ। (সহীহ বুখারী হা. ৩২৬৫, সহীহ মুসলিম হা. ২৮৪৩) এবং আগুন মুসাফিরদের উপকারী করে দিয়েছেন। আগুন মুকিমদের জন্যও তো উপকারী, তাহলে এখানে বিশেষভাবে মুসাফিরের কথা উল্লেখ করার কারণ কী? উত্তর : সাধারণ অবস্থায় মুসাফিরদের আগুন বেশি কাজে লাগে এবং জরুরী। আর এটাও হতে পারে দুনিয়ার জীবনটাই তো সফরের জীবন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের মুসাফির হিসেবেই বসবাস। তাই আগুন দুনিয়া নামক মুসাফির জীবনের জন্য উপকারী করেছেন আর পরকালের আগুনের স্মারক করেছেন। অতত্রব যে মহান আল্লাহ আমাদেরকে ফসল পানি ও আগুনসহ অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন সে মহান প্রতিপালকের নামে তাসবীহ পাঠ, শুকরিয়া আদায় করা উচিত। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় : ১. আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করলে আল্লাহ তা‘আলাকে চেনা যায়। ২. আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা দরকার। ৩. আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке