কোরআন সংকলনে হজরত ওসমান (রা.)-এর কৃতিত্ব
waz bangla,waz, waz mizanur rahman azhari, zakir naik, zakir naik bangla, সত্য জানুন, কোরআন হাদিসের আলোকে, hazrat khizir (a.s), water protector, islam, muslim, lecture, questions, answers, quran, hadith, speech, sunnah, shia, bukhari sharif, theology, knowledgeable, opinion, prophet, muslim, sharif, imam hanafi, shafi ,hambali ,bidaat, bidat, bedat, bedaat mukto ,,hazrat, tafseer, new, mazar, kahini, almighty, beliver, hidden, hd, masalah, mahfil, hadis, allah, tirmizi, waz mahfil, waz 2020,
হজরত আবু বকর (রা.) সংকলিত কোরআনের বৈশিষ্ট্য হলো- সে সংকলনের উদ্দেশ্য ছিল লিখিতভাবে কোরআন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। আর সে সংকলনের প্রেক্ষাপট ছিল তৎকালীন হাফেজে কোরআনদের একের পর এক মৃত্যুবরণ করার কারণে কোরআনের কিছু অংশ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। রাসুল (সা.)-এর যুগ থেকে বিভিন্ন সাহাবির কাছে কোরআনের সম্পূর্ণ অথবা অসম্পূর্ণ যেসব কপি বা পাণ্ডুলিপি নিজ নিজ সংগ্রহে ছিল, সেসব কপির মধ্যে সমন্বয় সাধন কিংবা চূড়ান্ত বিচার-মীমাংসা করে অভিন্ন পঠন পদ্ধতি প্রণয়ন সে সংকলনের উদ্দেশ্য ছিল না; এমনকি সেখানে সর্বসাধারণের সুবিধার্থে সাত কেরাত বা সাতভাবে কোরআন পাঠের অবকাশ রাখা হয়েছে। ফলে 'মাসহাফে আবি বকর'-এর পাশাপাশি আরো বহু 'মাসহাফ' তৈরি হতে থাকল এবং একেক শহরে একেক 'কারি'কে অনুসরণ করে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে মানুষ কোরআন পড়তে লাগল। সিরিয়ার অধিবাসীরা হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.)-এর কেরাত অনুসারে, ইরাকের অধিবাসীরা হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কেরাত অনুসারে, অন্যরা হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.)-এর কেরাত অনুসারে তেলাওয়াত করতে লাগল। এতে পবিত্র কোরআনের শাব্দিক উচ্চারণ ও পঠনরীতি নিয়ে কিছুটা বিরোধ দেখা দিল। (সূত্র : জম্উল কোরআনি হিফজান ওয়া কিতাবাতান, ড. আলী বিন সুলায়মান, পৃ. ৫৩-৫৪)
এদিকে হজরত ওসমান (আ.)-এর যুগে ইসলাম বিজয়ী বেশে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর যুগে আরবের সীমানা পেরিয়ে ইসলাম খুব দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। আরব-অনারব নির্বিশেষে অগণিত লোক ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করতে থাকে। ফলে সেসব এলাকার নব মুসলিমরা খেলাফতের পক্ষ থেকে প্রেরিত বিভিন্ন 'মুয়াল্লিম' থেকে এবং কোথাও কোথাও মুজাহিদিনে ইসলাম থেকে কিংবা আরবের মুসলিম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোরআন শিখতে শুরু করে। এতে বিপত্তিও বাড়তে থাকে। হজরত হুজাইফা বিন ইয়ামান (রা.) আরমেনিয়া, আজারবাইজান সীমান্তে জিহাদে মশগুল থাকা অবস্থায় দেখলেন, সেখানে মানুষের মধ্যে কোরআনের পঠনরীতি নিয়ে মতবিরোধ চলছে। এমনকি এক দল আরেক দলকে কাফের পর্যন্ত বলছে। তিনি জিহাদ থেকে ফিরে ওসমান (রা.)-কে এক রীতিতে কোরআন পড়ার প্রথা চালু করতে পরামর্শ দেন। ওসমান (রা.) অবিলম্বে এ নিয়ে নেতৃস্থানীয় সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সাহাবায়ে কেরামের ইজমার ভিত্তিতে সে পরামর্শে তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এক. 'মাসহাফে আবি বকর'-এর পরিবর্তে অভিন্ন পঠনরীতিতে কোরআন সংকলন করা হবে। দুই. প্রতিটি শহরে এর একেকটি কপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তিন. বিভ্রান্তি নিরসনকল্পে অবশিষ্ট কোরআনের কপি বাজেয়াপ্ত করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজরত ওসমান (রা.) ২৫ হিজরির শুরুর দিকে চারজন বিশিষ্ট সাহাবির সমন্বয়ে একটি কোরআন সংকলন বোর্ড গঠন করেন। এ চারজন সাহাবি হলেন- হজরত জায়েদ ইবনে সাবেত, আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, সাইদ ইবনুল আস এবং আবদুর রহমান ইবনে হারিস ইবনে হিশাম (রা.)। তাঁদের মধ্যে হজরত জায়েদ (রা.) ছিলেন আনসারি সাহাবি আর বাকি তিনজনই ছিলেন কুরাইশি। প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত এ চারজনের বাইরে হজরত উবাই ইবনে কাব, কাসির ইবনে আফলাহ, মালেক ইবনে আবি আমের, আনাস ইবনে মালেক ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) প্রমুখসহ মোট ১২ জন এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। (ফতহুল বারি, খ. ৯, পৃ. ১৩-১৫; কিতাবুল মাসাহিফ, ইবনে আবি দাউদ, পৃ. ২৫)
উল্লেখ্য, কেউ কেউ হজরত ওসমান (রা.)-এর আমলে কোরআন সংকলনের প্রধান তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এক. কোরআনের পঠনরীতি নিয়ে সদ্য বিজিত দেশগুলোতে মতবিরোধ। দুই. বিভিন্ন কেরাত নিয়ে কোরআনের মুয়াল্লিমদের বিরোধ। তিন. এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের বিরোধ। (সূত্র : রসমুল মাসহাফি ওয়া জবতুহু.., ড. শা'বান মুহাম্মদ ইসমাইল, খ. ১, পৃ. ১৬-১৭)
সংকলন কমিটির কর্মপন্থা
হজরত ওসমান (রা.)-এর আমলে কোরআন সংকলন কমিটি সংকলনের ক্ষেত্রে প্রথমে কর্মপন্থা ও নীতিমালা নির্ধারণ করে। সেসব কর্মপন্থার অন্যতম নীতি ছিল এই যে : এক. হজরত আবু বকর (রা.) সংকলিত কোরআনকে মূল ভিত্তি হিসেবে ধরে নতুন সংকলনে অগ্রসর হওয়া। তাই হজরত ওসমান (রা.) হজরত হাফসা (রা.)-এর কাছে এ মর্মে বার্তা পাঠালেন যে 'হজরত আবু বকর (রা.) সংকলিত কোরআনের কপি আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হোক, আমরা তার থেকে আরো কপি করে আপনাকে তা ফেরত দিয়ে দেব।' দুই. হজরত ওসমান (রা.)-এর সার্বক্ষণিক পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে সে সংকলনটি প্রস্তুত করা হয়। (কিতাবুল মাসাহিফ, ইবনে আবি দাউদ, পৃ. ২৫)
তিন. কোরআনের প্রমিত উচ্চারণসহ সার্বিক বিষয়ে তাঁরা নেতৃস্থানীয় সাহাবায়ে কেরামের পরামর্শ নিতেন। চার. বৈধ থাকা সত্ত্বেও একই শব্দের একাধিক লিখন পদ্ধতির পরিবর্তে প্রমিত ও অভিন্ন রীতি প্রচলন। পাঁচ. শব্দের লিখনরীতি নিয়ে মতবিরোধ হলে কোরাইশ ভাষার প্রাধান্য। হজরত ওসমান (রা.) বলেছেন যে 'তোমরা ও জায়েদ কোনো বিষয়ে একমত না হলে কোরাইশ ভাষায় তা লিখে দেবে। কেননা কোরআন কোরাইশ ভাষায় নাজিল হয়েছে।(বুখারি ৬/৯৯) (সূত্র : জম্উল কোরআনি হিফজান ওয়া কিতাবাতা
তাফসিরুল কোরআন,তারেক জামিল,ডঃ ইমাম,ব্রাদার রাহুল, তারেক মুনাওয়ার, আব্দুল রাজ্জাক বিন ইউসুফ, বাংলা ওয়াজ, বাংলা ওয়াজ ২০২০, বাংলা ওয়াজ মাহফিল ২০২০, বাংলা ওয়াজ মাহফিল,
Информация по комментариям в разработке