Скачать или смотреть ভাষা আন্দোলন ও ৫২'র চেতনা। একান্ত সাক্ষাতকারে ভাষা শহীদ রফিক-এর ছোট ভাই | ISCA BD | HD

ভাষা আন্দোলন ও ৫২'র চেতনা। একান্ত সাক্ষাতকারে ভাষা শহীদ রফিক-এর ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম।

৮ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ খ্রীস্টাব্দে রৌদ্রস্নাত এক দুপুরে ঢাকার আমতলায় ভাষার অধিকার আদায়ের জন্য ১৪৪ধারা ভঙ্গ করা বাংলার অকুতোভয় দামাল ছেলেদের বুকে বিদ্ধ হয়েছিল স্বৈরাচারি পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে।

সেদিন শাহাদাত বরণ করেছিলেন আব্দুস সালাম, আব্দুল জাব্বার, আবুল বরকত ও রফিক উদ্দিন আহমদ সহ নাম না জানা অনেকেই। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁদের স্মরণ করছি।

বাংলাদেশের জনগণের মাঝে বাংলা ভাষার চর্চা বৃদ্ধি করে ভাষার বিকৃতি রোধে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নানাবিধ কর্মসূচি পালন করছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা।

নতুন প্রজন্মকে বিশুদ্ধ বাংলা ভাষার কথোপকথনে অভ্যস্ত করতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজন করেছে বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা উচ্চারণ এর কর্মশালা।

ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সাংগঠনিক প্রতিটি শাখায় আয়োজন করা হয় খতমে কুরআন ও দোআ মাহফিল।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর পক্ষ থেকে ভাষা শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে তাদের সম্মাননা দেয়া হয়।

ভাষা আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন রফিক উদ্দিন আহমাদ।

রফিকউদ্দিন ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার পারিল বলধারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল লতিফ ও মাতার নাম রাফিজা খাতুন। এই দম্পতির পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে রফিক ছিলেন বড় সন্তান। রফিকের দাদার নাম মো: মকিম।

১৯৪৯ সালে রফিক স্থানীয় বায়রা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করে মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। তবে পড়ালেখে শেষ না করে তিনি ঢাকায় এসে পিতার মুদ্রণশিল্প ব্যবসায় যুক্ত হন। ঢাকায় তিনি পুনরায় তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।

রফিক ভাষা আন্দোলনের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন এবং সক্রিয় একজন আন্দোলনকারী হিসেবে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গনে আসলে পুলিশ গুলি চালায়, এতে রফিকউদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে তার লাশ পড়ে ছিল। ছয় সাত জন আন্দোলনকর্মী তার লাশ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন। পরে পুলিশ তার মৃতদেহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় এবং রাত ৩টায় সামরিক বাহিনীর প্রহরায় ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমাদ-এর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে তাঁর ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ