Скачать или смотреть ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান সময়ের দাবী | আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ | ভাষা সৈনিক | SB News Tv

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ ;
ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান সময়ের দাবী

৫২’র একুশের ফেব্রæয়ারি ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনা অভিমত প্রকাশ করে আলোচকবৃন্দ বলেন, একুশ আমাদের অহংকার, আমাদের প্রেরনা। এই অহঙ্কারকে বিতর্কিত করার সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। যারা একুশে ও স্বাধীনতা পদককে বিতর্কিত করতে চায় তারা দেশ ও জাতির শত্রু। বিতর্কিতদের হাতে যারা এ পদক তুলে দিচ্ছেন তাদেরও প্রতিরোধ করতে হবে।

তারা ভাষা আন্দোলনের অহংকারের সাথে জড়িত সকল ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রণয়ন ও সবাইকে একুশে পদক প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রনয়ন ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান সময়ের দাবী।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ৮৫ নয়াপল্টনের মিলনায়তনে ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ও ভাষা সংগ্রামী শিল্পী আবদুল লতিফের মৃত্যুবার্ষিকী এবং ভাষা সংগ্রামী কবি মাহাবুব আলম চৌধুরী, শিল্পী আলতাফ মাহমুদ ও কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ও স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক স্মরণসভায় আলোচকবৃন্দ এসব কথা বলেন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম.এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী সোসাইটির সভাপতি শেখ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ জাসদ নেতা মো. হুমায়ূন কবির, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, সনক মজুমদার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে যে স্বাধীনতা সেই স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ভাষা সৈনিকদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা হয়নি। যা জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জা দেয়। ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান আজ সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে ইতিহাস রচনার চেষ্টা চলছে তা হলো সন্তান জন্মের ভ্রুন সৃষ্টির কথা নাই, নাই পিতা-মাতার কথা। শুধু সন্তান জন্মের পরের কথা দিয়ে ইতিহাস নির্মান চলছে। যা কখনো টিকে থাকতে পারে না। আর বিকৃত ইতিহাস নির্মানের কাজ করছেন এক ধরনের পাঁচাটা বুদ্ধিজীবীরা যারা দলীয় সুবিধাভোগি শ্রেনী।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মত করে ভাষা সৈনিকদের মর্যাদা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আজকাল ২১শে ফেব্রæয়ারি ছাড়া রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানেও তাদের কোন খবর নেয় হয় না, যা অত্যন্ত দু:খজনক।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মহান নেতা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কাজী গোলাম মাহবুব, আবদুল মতিন, অলি আহাদ, গাজীউল হক-সহ সকল ভাষা বীরদের রাাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা জাতি হিসাবে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। জাতি আশা করি আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্টীয়ভাবে সকল ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনে সরকার সক্ষম হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এম এ জলিল বলেন, ১৯৫২ সালে যারা বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রকাশের জন্য বর্তমান সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করে যথাযথ ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। ভাষা সৈনিকদের বিষয়টিও সরকার বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা রাখি।

তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় থাকা আসামীদের ৫০বছরেও রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয় নাই, যা অত্যান্ত লজ্জাজনক। অথচ সরকার এমন ব্যাক্তিদের স্বাধীনতা পদক দিচ্ছেন যারা বিতর্কিত ও অস্তিত্বহীন। সরকারের প্রতি আহ্বান অবিলম্বে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তালিকাভুক্তদের স্বাধীনতা পদক প্রদান করুন।