দোয়াটি জীবনে ১বার পড়লেই আপনি জান্নাতি | আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী | Mustakunnabi Kasemi

Описание к видео দোয়াটি জীবনে ১বার পড়লেই আপনি জান্নাতি | আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী | Mustakunnabi Kasemi

দোয়াটি জীবনে ১বার পড়লেই আপনি জান্নাতি। ​আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi waz new waz 2025

কালেমা তাইয়্যেবার ফজিলত
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬

কালেমা তাওহিদ বা কালেমা তায়্যেবা হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল। এ কালিমার বক্তব্য অন্তরে বিশ্বাস করা ও মুখে স্বীকার করার মাধ্যমে মানুষ ঈমানের মহাসৌভাগ্যের অধিকারী হয়।

যারা কালেমা তায়্যেবার মর্ম উপলব্ধি করে অন্তরে বিশ্বাস নিয়ে কালেমা তায়্যেবা পাঠ করে, তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে ঈমানের ওপর দৃঢ় রাখেন। দুনিয়াতে যখন তাদের অন্তরে কোন সন্দেহ আসে, আল্লাহর পক্ষ থেকে সে সন্দেহ দূর করে দৃঢ় বিশ্বাসের দিকে হেদায়াত দেন। প্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ যখন দিশেহারা হয়ে যায়, তখনও আল্লাহর সাহায্যে সে খারাপ কাজ থেকে বেঁচে যায়। মৃত্যুর আগে শয়তানের ধোঁকা থেকে হেফাজত করে তাকে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণের ব্যাপারেও সাহায্য করা হয়, কবরেও সে আল্লাহর সাহায্যে ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

یُثَبِّتُ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِالۡقَوۡلِ الثَّابِتِ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ فِی الۡاٰخِرَۃِ

যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত বাণীর অবলম্বনে দুনিয়ার জীবনে ও আখেরাতে প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। (সুরা ইবরাহিম: ২৭)

বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

মুসলমান ব্যক্তিকে যখন কবরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তখন সে এ সাক্ষ্য দেয়, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসুল। এ হচ্ছে আল্লাহর এ বাণীর অর্থ যে ‘যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত বাণীর অবলম্বনে দুনিয়ার জীবনে ও আখেরাতে প্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’ (সহিহ বুখারি)

কালেমায়ে তাওহিদ যে পাঠ করে, কালেমায়ে তাওহিদের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, আল্লাহর কাছে তার প্রতিদান হলো জান্নাত। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

যে কোন ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দিয়ে মারা গেলো, ‘আল্লাহ ব কোন ইলাহ নাই এবং আমি আল্লাহর রাসুল’, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। (সুনানে ইবনে মাজা)

ইতবান ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

فإن الله حرَّم على النار مَنْ قال لا إله إلا الله يَبْتَغِي بذلك وجهَ الله

আল্লাহ তা’আলা এমন ব্যক্তির উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে। (সহিহ বুখারি)

জান্নাত লাভের সহজ আমল

১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া

নিয়মিত নামাজ আদায়ের পুরস্কার জান্নাত।
যে ব্যক্তি এই নামাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে এবং অবহেলাবশত তাতে কোনো ত্রুটি করবে না, তার সঙ্গে আল্লাহ তাআলার চুক্তি হয়েছে যে তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪০১)

২. আয়াতুল কুরসি পাঠ করা

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার পথে তার কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতে যাবে। (নাসায়ী, হাদিস : ৯৮৪৮; তাবারানি, হাদিস : ৭৫৩২ )

৩. সায়্যিদুল ইস্তেগফার পাঠ

ক্ষমা প্রার্থনার অনেক বাক্য আছে। তার মধ্যে সায়্যিদুল ইস্তেগফার শ্রেষ্ঠ। সকাল-সন্ধ্যা পাঠের ফজিলত জান্নাত। শাদ্দাদ ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলা সায়্যিদুল ইস্তেগফার পাঠ করবে, সন্ধ্যা হওয়ার আগেই সে মারা গেলে জান্নাতি হবে। আর যে ব্যক্তি রাতের বেলা পাঠ করবে, সকাল হওয়ার আগেই মারা গেলে সে জান্নাতি হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)

৪. কালেমা শাহাদাত পাঠ করা

অজু শেষে আকাশ বা ওপরের দিকে তাকিয়ে কালেমা শাহাদাত পাঠকারীর জন্য জান্নাত। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কামিল বা পূর্ণরূপ অজু করে পাঠ করবে—‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম, হাদিস : ৪৪৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪৪৬)

৫. আজানের জবাব দেওয়া

আজান শুনে জবাব দেওয়া সুন্নত। এর প্রতিদান জান্নাত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আজানের জবাব যদি কেউ মন থেকে (গুরুত্বের সঙ্গে) বলে, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৫; আবু দাউদ, হাদিস : ৫২৭)

৭. দুই জিনিসের হেফাজত করা

মুখ ও যৌবন হেফাজত করার প্রতিদান জান্নাত। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জিহ্বা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেব। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৪)


#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেম
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#Mustakunnabi_Kasemi_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#mufti_mustakun_nobi_2021
#মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ_2021
#মুশতাকুন_নবি_কাসেমী_২০২২
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২২
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#Mustakunnabi_Qasemi_Waz_2022
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২৩
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023
#২০২৪
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#allama_mufti_mustakunnabi_kasemi2024
#২০২৫
#Waz 2025
#new waz 2025
#mustakunnabi2025
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2025

Комментарии

Информация по комментариям в разработке