মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
২৫ আগস্ট ২০২৪ রবিবার, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের মালিকানাধীন গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স-২ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঢাকার দোকান পার্ট/অফিস বিক্রয় করিয়া ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ।
মোঃ মান্নান মিয়া, পিতা: আলফু বাবুর্চী (মৃত) মাতা- মেহেরুন বেগম (মৃত), সাং-হযরতপুরচর আলীরচর, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা, জেলা-ঢাকা। গত ২২ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকগণ ও গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স-২ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঢাকার অধিনে ১০ তলার স্পেস নং-৯/২১-২৫ এর ১৫১৫ বর্গফুট আয়তনের পজিশন মোট ২১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা সালামীর মাধ্যমে ক্রয় করে।
দোকানটি ক্রয় করার পর দোকান সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করে দেখতে পাই মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নামে বরাদ্দকৃত ০.৬১৪ একর জমির উপর ২০ তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য বিগত ২৫/০৩/২০০১ তারিখ ডিড নং ৮৮৯ মূলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স এর মধ্যে মুক্তি সম্পাদিত হয়। মুক্তিপত্রে ৩৭নং আর্টিকেলে ভবন নির্মাণসহ ভবন নির্মাণের পর অফিস, দোকান বিক্রিসহ হস্তান্তর এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব "দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স" কে দেয়া হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে প্রতি মাসে সালামী হিসেবে ১,৮৪,০৯,৮০০/- টাকা প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হয় ভবনটির নির্মাণ আয়তন প্রায় ৩,৮৮,৮০৩ স্কয়ার বর্গফুট। মজার ব্যাপার বিশাল আকারের ভবনটি নির্মাণের জন্য কোন প্রকার ডাউন পেমেন্ট ছাড়া ৫ লক্ষ টাকা ফেরত প্রদান সাপেক্ষে চুক্তি সম্পাদিত হয়। যাহা আর্টিকেল ৬৬ এ ধারায় উল্লেখ আছে।
৩.৮৮,৮০৩ স্কয়ার বর্গফুট বিশাল আকারের ভবনটি নির্মানের জন্য কোন প্রকার ডাউন পেমেন্ট ছাড়া ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ফেরত প্রদান সাপেক্ষে চুক্তি সম্পাদিত হয়। যাহা আটিকেল ৬৬ এ ধারায় উল্লেখ আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনা উক্ত মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের সভাপতি এবং আ.খ.ম মোজাম্মেল হক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, শাহজাহান খান (মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান), খন্দকার ফজলুল হক, মহা ব্যবস্থাপক
শিল্প ও বানিজ্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্ট, এস.এম মাহবুব রহমান (৫৫), পিতা: হবি সিকদার, এম.ডি,
মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট, মোবাইল: ০১৬৮১২৫০০১৯, মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম (৩০), পিতাঃ মোঃ মুনসুর আলী, প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট, এ.এস.এম আলাউদ্দিন, দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিঃ লিঃ, সাইফুল ইসলাম অপু, পিতা: আবদুল হেকিম, মাতা: মিনারা বেগম, ৪২ হামিদ সেন্টার কাজী নজরুল ইসলাম এভিঃ তেজগাঁও, ঢাকা গণরা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের যাবতীয় বিষয়াদি/সম্পদ রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকাকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়মের মাধ্যমে উক্ত বিবাদীগণ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পদ নষ্ট করার লক্ষ্যে উক্ত জমিতে ২০ তলা ভবন নির্মান সহ ব্যাপক দূর্নীতির মাধ্যমে ভবনের নির্মিতব্য দোকান/অফিস কম মূল্যে বিক্রয় করার জন্য "দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স" এর মালিক বিবাদী এ.এস.এম আলাউদ্দিন, পিতা: মৃত মহিউদ্দিন ভুইয়া এর সহিত চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের ৫০% হারে শেয়ার হলেও ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিবাদী ১. শেখ হাসিনার নির্দেশে বিবাদী ২. শেখ রেহানা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন ৩. সজীব ওয়াজেদ জয়, ৪. হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান ৫. আখম মোজাম্মেল হক ৬. শাহজাহান খান ৭. খন্দকার ফজলুল হক ৮.এ.এস.এম আলাউদ্দিন ৯. এস. এম মাহবুব রহমান, এম.ডি. মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ১০. মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ১১. সাইফুল ইসলাম অপু গণরা পরস্পর যোগসাজস করিয়া ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে "মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের" সম্পত্তিতে উক্ত ভবন নির্মান করা সহ ভবনে নির্মানকৃত দোকান/অফিস বিক্রয় করার জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে দি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে ডিড করে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি করে এবং পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত টাকা তার বোন শেখ রেহানা ও পুত্র সাবেক ওঈঞ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ও ডিবি হারুনের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন এবং সাইফুল ইসলাম অপু ও ডিবি হারুনের মাধ্যমে গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্সে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। পরবর্তীতে সকল বিবাদীগণ বিবাদী এ.এস.এম আলাউদ্দিন এর সহায়তায় ডিডে উল্লেখিত মূল্যের অধিক মূল্যে দোকান পাট/অফিস বিক্রয় করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সাথে প্রতারনা করে প্রায় ১,০০০ (এক হাজার কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে। সকল আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের সদস্যদের বঞ্চিত করে প্রায় ১,০০০ (এক হাজার কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ তদন্ত পূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
Информация по комментариям в разработке