সূরা আল বাইয়্যিনাহ (আরবি: سورة البينة) পবিত্র কুরআনের ৯৮ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮ টি এবং এর রূকু ১টি। আল বাইয়্যিনাহ সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সূরার প্রথম আয়াতে রসূলুল্লাহ্-এর আবির্ভাবের পূর্বে দুনিয়াতে কুফর, শিরক, ও মূর্খতার ঘোর অন্ধকারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, এহেন সর্বগ্রাসী অন্ধকার দূর করার জন্যে একজন পারদর্শী সংস্কারক প্রেরণ করা ছিল অপরিহার্য। রসূলুল্লাহ্ -এর জন্ম ও আবির্ভাবের পূর্বে আহ্লে-কিতাবরা সবাই তার নবুওয়তের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করত। কেননা, তাদের ঐশীগ্রন্থ তৌরাত ও ইঞ্জীলে রসূলুল্লাহ্ -এর নবুওয়ত, তার বিশেষ গুণাবলী ও তার প্রতি কোরআন অবতরন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা ছিল। তাই ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের মধ্যে এ ব্যাপারে কোন বিরোধ ছিল না যে, শেষ যমানার নবী ও রসূল হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা আগমন করবেন, তার প্রতি কোরআন নাযিল হবে এবং তার অনুসরণ সবার জন্যে অপরিহার্য হবে। কোরআনেও তাদের এই ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ
“ আহ্লে কিতাবরা রসূলুল্লাহ্ -এর আবির্ভাবের পূর্বে তাঁর আগমনের অপেক্ষায় ছিল এবং যখন মুশরেকদের সাথে তাদের মোকাবেলা হত, তখনই তাঁর মধ্যস্থতায় আল্লাহ্ তাআলার কাছে বিজয় কামনা করে দোয়া করত যে, শেষ নবীর বরকতে আমাদের দান করা হোক। ”
অথবা তারা মুশরিকদেরকে বলতঃ
“ তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে শক্তি পরীক্ষা করছ বটে, কিন্তু সত্বরই একজন রসূল আসবেন, যিনি তোমাদেরকে পদানত করবেন। আমরা তাঁর সাথে থাকব, ফলে আমদেরই বিজয় হবে। ”
রসূলুল্লাহ্ -এর আগমনের পূর্বে আহ্লে-কিতাবরা সবাই তার নবুওয়ত সম্পর্কে অভিন্ন মত পোষণ করত, কিন্তু যখন তিনি আগমন করলেন, তখন তারা অস্বীকার করতে লাগল। কোরআনেরও অন্য এক আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
“ তাদের কাছে যখন পরিচিত রসূল, সত্যধর্ম অথবা কোরআন আগমন করল, তখন তারা কুফর করতে লাগল। ”
আলোচ্য আয়াতে এ বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, আশ্চর্যের বিষয়, রসূলের আগমন ও তাকে দেখার পূর্বে তো তাদের মধ্যে তার সম্পর্কে কোন মতবিরোধ ছিল না; সবাই তার নবুওয়ত সম্পর্কে একমত ছিল, কিন্তু যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ অর্থাৎ শেষনবী আগমন করলেন, তখন তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়ে গেল। কেউ কেউ বিশ্বাস স্থাপন করে মুমিন হল এবং অনেকেই কাফের হয়ে গেল।
সবশেষে পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছে, যেসব আহ্লি কিতাব ও মুশরিক এই রসূলকে মেনে নিতে অস্বীকার করবে তারা নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। তাদের শাস্তি চিরস্তন জাহান্নাম। আর যারা ঈমান এনে সৎ কর্মের পথ অবলম্বন করবে এবং দুনিয়ায় আল্লাহ্কে ভয় করে জীবন যাপন করবে তারা সর্বোত্তম সৃষ্টি। তারা চিরকাল জান্নাতে থাকবে। এই তাদের পুরস্কার।[সূত্র উইকিপিডিয়া বাংলা]
***
ইসলাম সম্পর্কে নিয়মিত জানতে, ইসলামকে স্মরণে রাখতে সাবস্ক্রাইব করুন। ইনশাআল্লাহ প্রতিদিন একটি করে ভিডিও প্রকাশ করা হবে।
***
সূরা বাইয়্যিনাহ,
সূরা বাইয়্যিনাহ,
সূরা বাইয়্যিনাহ বাংলা উচ্চারণ,
সূরা বাইয়্যিনাহ শানে নুযুল,
সূরা বাইয়্যিনাহ আয়াত ৭,
সূরা বাইয়্যিনাহ অর্থ,
সূরা বাইয়্যিনাহ আয়াত ৬,
সূরা বাইয়্যিনাহ আয়াত ৫,
সূরা বাইয়্যিনাহ এর তাফসীর,
সূরা বাইয়্যিনাহ আয়াত ৮,
সূরা বাইয়্যিনাহ বাংলা অনুবাদ,
সূরা বাইয়্যিনাহ ৫,
সূরা বাইয়্যিনাহ বাংলা অর্থ,
সূরা আল বাইয়্যিনাহ,
সূরা আল বাইয়্যিনাহ বাংলা উচ্চারণ,
surah a bayyinah,
surah al bayyinah,
surah al bayyinah translation in english,
surah al bayyinah in hindi,
surah al bayyinah in english,
surah al bayyinah in english text,
সূরা বায়্যিনাহ বাংলা উচ্চারণ,
সূরা বায়্যিনাহ,
সূরা বাইয়্যিনাহ তাফসীর,
সূরা বাইয়্যিনাহ ফজিলত,
জিন সূরা,
surah bayyinah dr israr,
সূরা বাইয়্যিনাহ তেলাওয়াত,
surah bayyinah to nas,
সূরা বাইয়েনাহ,
surah bayyinah 1-8,
surah bayyinah 100 times,
surah bayyinah 10 times,
surah bayyinah 1-5,
surah bayyinah 1-3,
surah bayyinah 100,
surah al bayyinah 1-5,
surah al-bayyinah - 1-8 - quran.com,
surah al bayyinah 1-8 dan artinya,
surah al bayyinah 1-4,
surah bayyinah ayat 2,
surah bayyinah 411,
surah bayyinah ayat 4,
surah bayyinah verse 4,
Информация по комментариям в разработке