রাসূল সা: কি নিরক্ষর নবী ছিলেন ? বুখারী-মুসলিমের সব হাদীস কি গ্রহনযোগ্য ?
রাসূল সা: কি নিরক্ষর নবী ছিলেন ?
উত্তর: অবশ্যই রাসূল সা: নিরক্ষর (উম্মী) নবী ছিলেন। কুরআনের এটা গুরুত্বপূর্ন মুজেজা যে একজন নিরক্ষর (উম্মী) নবীর উপর কুরআন নাযিল হয়েছে যাতে কেহ প্রশ্ন করতে না পারে যে এটা নবী নিজ হাতে লিখেছে।
আর তুমি তো এর পূর্বে কোন কিতাব তিলাওয়াত করনি এবং তোমার নিজের হাতে তা লিখনি যে, বাতিলপন্থীরা এতে সন্দেহ পোষণ করবে। --আনকাবুত-৪৮
যারা অনুসরণ করে রাসূলের, যে উম্মী নবী; যার গুণাবলী তারা নিজদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ দেয় ও বারণ করে অসৎ কাজ থেকে এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে।–আরাফ-১৫৭
তারা বলে, ‘এটি প্রাচীনকালের উপকথা যা সে লিখিয়ে নিয়েছে; এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তার কাছে পাঠ করা হয়। --ফুরকান-৫
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুটি পদবী ‘রাসূল’ ও ‘নবী’ এবং এর সাথে সাথে তৃতীয় একটি বৈশিষ্ট্য ‘উম্মী’-এরও উল্লেখ করা হয়েছে। ইবন আব্বাস বলেন, أمّي ‘উম্মী’ শব্দের অর্থ হল নিরক্ষর। যে লেখা-পড়া কোনটাই জানে না। [বাগভী] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও বলেছেন, “আমরা নিরক্ষর জাতি। লিখা জানি না, হিসাব জানি না।” [বুখারী: ১০৮০]
ফেরেশতা তাঁর কাছে এসে বললেন, পড়ুন। রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি পড়তে পারিনা।---বুখারী হা/৪৫৯৪ ওহীর সূচনা অধ্যায় সূরা-আলাক-১-৫
তাখরীজ: ( বুখারীঃ তা.পা ৩, ৩৩৯২, ৪৯৫৩, ৪৯৫৫, ৪৯৫৬, ৪৯৫৭, ৬৯৮২; মুসলিম ১/৭৩ হাঃ ১৬০, আহমদ ২৬০১৮ ( আ.প্রঃ ৩, ইঃফাঃ ৩)।
জমহূর মুহাদ্দিছীনে কেরামের মতে,أصح الْكتب بعد كتاب الله الصحيح البخارى- ‘আল্লাহর কিতাব কুরআনুল কারীমের পর সর্বাধিক বিশুদ্ধ কিতাব হ’ল ছহীহুল বুখারী’।
বুখারী-মুসলিমের সব হাদীস কি গ্রহনযোগ্য ?
উত্তর: এই উম্মতের ইজমা বুখারী-মুসলিমের সকল হাদীস সহীহ।
২. হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী ইমাম নববী সহ অসংখ্য মুসলিম মনীষী বলেছেন,اتفق العلماء رحمهم الله على أن أصح الكتب بعد القرآن العزيز الصحيحان البخاري ومسلم وتلقتهما الأمة بالقبول وكتاب البخاري أصحهما وأكثرهما فوائد ومعارف ظاهرة وغامضة- ‘জমহূর ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, কুরআনুল কারীমের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ হ’ল ‘ছহীহায়ন’ তথা ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিম। আর ছহীহ বুখারী হ’ল উভয় কিতাবের মধ্যে সবচেয়ে বিশুদ্ধতম, অধিক উপকারী, সুপরিচিত ও সূক্ষ্ম’।
৩. হাফেয মূসা ইবনে হারূণ বলেন,لو أن أهل الاسلام اجتمعوا على أن ينصبوا آخر مثل محمد بن إسماعيل ما قدروا عليه- ‘যদি সকল মুসলমান একত্রিত হয়ে মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারী (রহঃ) কর্তৃক সংকলিত ছহীহ আল-বুখারীর মতো উঁচু মানের ও বিশুদ্ধ কিতাব সংকলন করতে চেষ্টা করে, তবুও তারা তা করতে সক্ষম হবে না’।
৪. হাফেয আবু ইয়ালা আল-খলীলী স্বীয় ‘ইরশাদ’ গ্রন্থে লিখেছেন,رحم الله مُحَمَّد بن إِسْمَاعِيل فَإِنَّهُ ألف الْأُصُول يَعْنِي أصُول الْأَحْكَام من الْأَحَادِيث وَبَين للنَّاس وكل من عمل بعده فَإِنَّمَا أَخذه من كِتَابه كمسلم بن الْحجَّاج ‘আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রহঃ)-এর প্রতি রহম করুন। কেননা তিনি ইলমে হাদীছের হুকুম-আহকাম তথা মূলনীতি প্রণয়ন করেছেন ও তাঁর পরে যারা একাজ করবে তাদের প্রত্যেকের জন্য সুস্পষ্ট বর্ণনা করেছেন। বস্ত্তত তাঁর সংকলিত ছহীহ বুখারী থেকে অন্যান্য মুহাদ্দিছ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। যেমন ইমাম মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (রহঃ)।
৫. ইমাম নাসাঈ (রহঃ) বলেন, ما فى هذه الكتب كلها أجود من كتاب البخارى- অর্থাৎ ‘হাদীছের এসব কিতাবের মধ্যে ছহীহ আল-বুখারী অপেক্ষা অধিক উত্তম আর কোন কিতাব নেই’।
৬. আবূ জা‘ফর মাহমূদ ইবনে আমর আল-আকীলী বলেন, لما ألف البُخَارِيُّ كتاب الصَّحِيْح عرضه على أَحْمد بن حَنْبَل وَيحيى بن معِين وعَلى بن الْمَدِينِيّ وَغَيرهم فاستحسنوه وشهدوا لَهُ بِالصِّحَّةِ الا فِي أَرْبَعَة أَحَادِيث- অর্থাৎ ইমাম বুখারী (রহঃ) ছহীহ আল-বুখারীর পান্ডুলিপি আলী ইবনুল মাদীনী, ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন, আহমাদ ইবনে হাম্বল প্রমুখ সমকালীন জগদ্বিখ্যাত মনীষীগণের নিকট পেশ করেন। তাঁরা একে উত্তম বলে অভিহিত করেন এবং মাত্র চারটি হাদীছ ব্যতীত সকল হাদীছের বিশুদ্ধতার স্বীকৃতি প্রদান করেন। অবশ্য ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর শর্তে ঐ চারটি হাদীছও ছহীহ’।
৭. আবু যায়েদ আল-মারওয়াযী বলেন,كنت نَائِما بَين الرُّكْن وَالْمقَام فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ لي يَا أَبَا زيد إِلَى مَتى تدرس كتاب الشَّافِعِي وَلاَ تدرس كتابي، فَقلت يَا رَسُول الله وَمَا كتابك قَالَ جَامع مُحَمَّد بن إِسْمَاعِيل- অর্থাৎ আমি রুকনে ইয়ামানী ও মাকামে ইবরাহীমের মাঝামাঝি স্থানে ঘুমন্ত ছিলাম। এ সময় আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে বলছেন, হে আবু যায়েদ! শাফেঈর কিতাবের দারস আর কতদিন দিবে, আমার কিতাবের দারস দিবে না? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনার কিতাব কোনটি? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারীর জামি‘ তথা ছহীহ বুখারী।
#হাদিসঅস্বীকারকারীরা #কুফরি #কুরআনওহাদিস #রাসূলেরআনুগত্য #ইসলামিকশিক্ষা #OnthewaytoQuranandKaaba#সুন্নাহ #মুসলিমপরিচয় #IslamicReminder #হাদিসেরগুরুত্ব#নবী_মুহাম্মদ#সর্বশেষ_নবী#হজরত_মুহাম্মদ#রাসুলুল্লাহ#মুহাম্মদ_সাঃ#কুরআন#আহলেহাদিস#AzhariSpeech#কোরআনথেকেজানতেচাই#Islam#ahnaftv4545#Durdrisso#KDJaman#DawahWiseBangla#BrRahulHossainRuhulAmin#MizanurRahmanAzhari# / @mahbubhossain8793
#ভ্রান্তধারণা #falsebeliefs #exposinglies
#মোল্লাদেরসত্য #MullahExposed #religiouscorruption
#ধর্মওযুক্তি #ReligionAndLogic #DebateOnFaith
#islamicresearch #LogicalIslam #ThinkBeforeYouBelieve
#কোরআনহাদিসসংঘর্ষ #QuranVsHadith
#spiritualawakening #awakenyourmind
Информация по комментариям в разработке