Скачать или смотреть রাম গোপালপুর জমিদার বাড়ি. Ustad Mohammad Ali Khan/Ustad Dabir Khan play tabla at this House❤️❤️

It’s True Story..
(Ram Gopalpur Zomidar Bari)
Many people,Including the famous tabla saint of India Tan-Sen and his late descendant Ustad Mohammad Ali Khan/Ustad Masid Khan and Ustad Dabir Khan of Delhi,were invited guests to play tabla on various occasions at this Zamindar house and frequented this Zamindar House.Tonatuni's Prison Salute for Them.
🌹🌻🍀❤️🍀🌻🌹🍀
রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।রাম গোপালপুরের জমিদার বাড়ির বিকল্প নাম ছিলো চৌধুরী বাড়ি।
এই বাড়িতে ছিল বসবাসের জন্য ভবন/রঙ্গমন্চ/বাঈজীখানা/চিড়িয়াখানা/উপসনালয়/মন্দির/বাগানবাড়ি/সাগরদীঘি এবং কারু কার্যময় সানবাধাঁনো পুকুরঘাট সহ ভেতর বাড়ির প্রবেশপথে তিন তলা বিশিষ্ট প্রবেশদ্বার।আর সেই রাজকীয় সিংহ দুয়ারে ছিলো মহামূল্যবান পাথর যাহা সূর্যের আলো এবং চাদের জোছনার আলোতে পুরো এলাকাটি ঝলমল করতো।
প্রায় ১৮৫০ শতকের দিকে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত করেন রাম কৃষ্ণ চৌধুরী। তবে এইটি ধারনার কথা।এই জমিদার বংশের মূল প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন তা ইতিহাস থেকে জানা যায়নি?? তবে এই জমিদার বংশের বেশ কয়েকজন বিখ্যাত জমিদারের নাম ইতিহাসের পাতায় উল্লেখ রয়েছে।
কাশী কিশোর রায় চৌধুরী রায় ছিলেন এই জমিদার বংশের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি।তার জমিদারী আমলে এই জমিদার বাড়ি অনেক উন্নয়ন হয় ও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যগুলো অনেক বেশি বৃদ্ধিপায়।তার ছেলে যোগেন্দ্র কিশোরা রায় চৌধুরীও একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন।ময়মনসিংহের গৌরীপুর এলাকার জমিদারদের ইতিহাস “বরেন্দ্র বাহ্মণ জমিদার” গ্রন্থটি রচনা করে তিনি অনেক খ্যাতি অর্জন করেন।এছাড়া তিনি ব্রিটিশদের কাছ থেকে "রাজা" উপাধি ও "অর্ডিনারী ম্যাজিস্ট্রেট" পদ লাভ করেন।তিনি তার জমিদারীর সময়ে কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের জন্য তার বাবা জমিদার কাশী রায় চৌধুরীর নামে- "কাশী কিশোর কারিগরি বিদ্যালয়" প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি চার সন্তানের জনক ছিলেন।তারপরে চার সন্তানের মধ্যে জমিদারীর দায়িত্ব পান তৃতীয়জন।তার নাম ছিলো শৌরিন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী।ইতিহাস থেকে জানা যায় যে এই জমিদার বংশের অধিকাংশ লোকেরা সঙ্গীতের এবং নারীদের প্রতি অনেক দুর্বল ছিলেন।তাহারা সঙ্গীতকে খুবই ভালোবাসতেন।তাদের যেকোনো অনুষ্ঠানে সঙ্গীতচর্চা অনেক গুরুত্ব পেত।এই জমিদার বংশের একজন জমিদার হরেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন তবলা সাধক।তিনি তবলা বাজানোতে খুবই পারদর্শী ছিলেন।তিনি ঐ সময়ে সংগীত নিয়ে ইংরেজি ভাষায় একটি গ্রন্থ "দ্য মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়া" লিখেন।ঐসময়ে বেশ সাড়া জাগিয়েছিল বইটি।এছাড়া তিনি তবলা বিষয়ে উপর সেসময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ লিখতেন।তার আমলেই তৎকালীন ভারতবর্ষের বিখ্যাত তবলা সাধক তান-সেন এবং তার শেষ বংশধর ওস্তাদ মোহাম্মদ আলী খাঁ/দিল্লীর ওস্তাদ মসিদ খাঁ ও ওস্তাদ দবির খাঁ সহ অনেকেই এই জমিদার বাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তবলা বাজানোর জন্য আমন্ত্রিত অতিথি হতেন এবং এই জমিদার বাড়িতে সব সময় যাতায়াত করতেন।
ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর ১৯৫৭ সালের জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির মধ্য দিয়েই এই জমিদার বাড়ির জমিদারী'র সমাপ্তি ঘটে।এরপরে এই জমিদার বংশধরেরা ভারতে চলে যান,আরও ফিরে আসেননি।
🌹🌻🍀❤️🍀🌻🌹🍀
সবাই থাকি শান্তি সুখে আর দুধে ভাতে।দুঃখ গুলো মুছে যাক সবার খুব সহজেই।আল্লাহ সর্বদয়াময় তিনি মেহেরবান তিনিই আমাদের রিজিকের হেফাজত কারি।
🍀টোনাটুনি (পান্থ + শায়লা)🍀