Скачать или смотреть পঞ্চগড়ে প্রতিমা ভাঙচুরে সংখ্যালঘুদের মাঝে চরম আতঙ্ক। দুর্গা পুজার আগেই মন্দিরে হামলা!

দুর্গা পুজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এর মধ্যেই পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের আয়মা ঝলই মহারানী বাঁধ এলাকার কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে দেখতে পান প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তিকে আটক করে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তি নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন বা ‘পাগল’। পুলিশের এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়। তাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিটি ঘটনায় একই কৌশলে দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়।
তথাকথিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর ভয়ংকর ভাবে নির্যাতন হলেও যারা দেশের সংখ্যালঘুদের মন্দির হামলা ও ধর্ম কে নিয়ে কটুক্তি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কখনোই পদক্ষেপ নেয় না।
সংখ্যালঘু প্রতিনিধিরা জানান, “প্রতিবারই ঘটনা ঘটার পর একজনকে ধরে ‘পাগল’ ঘোষণা করা হয়। অথচ পরিকল্পিতভাবে প্রতিমা ভাঙচুর ও ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে।”
গত কিছুদিন আগে গাইনবান্ধা জেলাতেও রাতের আধারে দূর্গা মায়ের প্রতিমা জালিয়ে দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।
প্রতিনিয়ত মন্দির ভাংচুর ও দেশের সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতন এর পর আসন্ন দুর্গা পুজা ঘিরে দেশের সংখ্যালঘু সনাতনীদের মাঝে চরম আতংক ও ভয় বিরাজ করছে।
তারা অনতিবিলম্বে- এই সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।
বকুল চন্দ্র বর্মন, ভয়েস অফ মাইনোরিটিস।