যে আমলে সহজেই আল্লাহর বন্ধু হবেন মুমিন || ইসলাম শিক্ষা প্রতিদিন

Описание к видео যে আমলে সহজেই আল্লাহর বন্ধু হবেন মুমিন || ইসলাম শিক্ষা প্রতিদিন

যে আমলে সহজেই আল্লাহর বন্ধু হবেন মুমিন || ইসলাম শিক্ষা প্রতিদিন

আসসালামু আলাইকুম। ইসলাম শিক্ষা`` ইসলামি চ্যানেলে আপনাকে 🌹অভিনন্দন🌹
আমরা চেষ্টা করছি ইসলামের পত্যেকটা বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। আমরা এই চ্যানেলের মাধ্যমে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত এবং ইসলামি সকল নিয়ম কানুন সহী শুদ্ধভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে ফরজ, সুন্নত, নফল সহ সমস্ত আমল যা মুসলমানদের উপর আরোপ করা হয়েছে সেইগুলো আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করব ইইনশাআল্লাহ।
এবং যদি ভবিষ্যৎ এ এই চ্যানেলের মাধ্যমে কোন অর্থ উপার্জন করা যায় তাহলে এর একটি অংশ এতিম ও অসহায়দের জন্য ব্যায় করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং আপনার একটি সাব্সক্রাইব, লাইক, কমেন্ট, এবং শেয়ার এতিম ও অসহায়দের সহায়তার একটি মাধ্যম হতে পারে। আশা করি আপনি আমাদের সাথেই থাকবন।
সবশেষে আপনার শারীরিক সুস্ততা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আল্লাহ আফেজ।
যে আমলে সহজেই আল্লাহর বন্ধু হবেন মুমিন এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে আল্লাহ বন্ধু হতে চায় না? আল্লাহ বন্ধু হওয়ার অর্থই হচ্ছে দুনিয়া ও পরকালে তার কোনো ভয় ও হতাশা থাকবে না। আল্লাহ তাআলা নিজেই ঘোষণা করেন


সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই আর নেই কোনো হতাশা। যারা ঈমান এনেছেন এবং যারা আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে আত্মরক্ষা করে চলেন বা তাকওয়ার পথ অনুসরণ করেন। তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে।


আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। তাহলে আল্লাহর বন্ধু হতে হলে কী করতে হবে? কোন কাজে বান্দাহ আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হবে। এ ব্যাপারে বান্দার করণীয়ই বা কী? হ্যাঁ’, আল্লাহর বন্ধু হওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা।


আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থেকে গোনাহমুক্ত জীবন-যাপন করা। নিজেকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে তৈরি করতে গোনাহমুক্ত জীবনের জন্য তাওবাহ করার বিকল্প নেই। কেননা গোনাহ থেকে ফিরে থাকার মাধ্যমেই মানুষ মহান আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হয়।


হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘তোমরা যদি গোনাহ না কর, তবে আল্লাহ তোমাদের সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের স্থলে আল্লাহ তাআলা অন্য এক জাতি সৃষ্টি করবেন, যারা গোনাহ করবে এবং



আল্লাহর কাছে তওবা করবে। আর আল্লাহও তাদের ক্ষমা করে দেবেন। এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা চান বান্দা সব সময় আল্লাহর কাছে তাদের গোনাহের জন্য তাওবাহ করুক, ক্ষমা প্রার্থনা করুক। আর তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার কারণে


আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার প্রতি খুশী হয়ে যান। ওই বান্দাকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন তাওবাহকারী ব্যক্তি মহান আল্লাহর একান্ত প্রিয়। বান্দা যখন গোনাহ বা অন্যায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তখনই আল্লাহ খুশি হয়ে বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।


আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে তাওবাহকারীদের সম্পর্কে একাধিক আয়াতে তার খুশির কথা এভাবে জানিয়েছেন-- ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তওবাহকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন তোমাদের মনে কী আছে, তা তোমাদের পালনকর্তা ভালোই জানেন।


যদি তোমরা সৎ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল। তারা তওবাকারী, ইবাদতকারী, শোকর গোজার, দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী, রুকু ও সেজদাকারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃতকারী এবং আল্লাহর দেয়া সীমাসমূহের হেফাজতকারী।


বস্তুত সুসংবাদ দাও ঈমানদারদের। কুরআনুল কারিমের এ সব আয়াত তাওবাহকারীদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ। যারা গোনাহ বা অন্যায় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে তারাই মহান আল্লাহর একান্ত প্রিয় বান্দা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবে।


আল্লাহ তাআলা সেসব বান্দা তাওবাহ কবুল করবেন বলেও এভাবে ঘোষণা দিয়েছেন-‘অতপর যে তওবাহ করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। আল্লাহর বন্ধু হতে


বিশ্বনবির নসিহত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে তাওবাহ ও তাওবাহকারী সম্পর্কে ঘোষণা করেন-‘আদম সন্তান সবাই অপরাধ করে। অপরাধীদের মধ্যে উত্তম তারাই যারা তওবাহ করে।
তাওবাহ এমন এক ইবাদত। যার মাধ্যমে


বান্দা আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হয়। আল্লাহর কাছে বান্দার সম্মান ও মর্যাদা বেড়ে যায়। তাওবাহর ফলে বান্দা গোনাহমুক্ত জীবন লাভ করে। এ কারণেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোনাহমুক্ত জীবনের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও


প্রতিদিন ৭০ বার তাওবাহ-ইসতেগফার করতেন। মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মিত তাওবাহ-ইসতেগফার অব্যাহত রাখা। গোনাহমুক্ত জীবন লাভে সচেষ্ট হওয়া। সুন্নাতের অনুসরণে প্রতিদিন ন্যূনতম ৭০ থেকে ১০০ বার তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া।


আল্লাহর নির্দেশ মেনে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। আল্লাহ তাআলা বলেন-'হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। মুমিন মুসলমানের জন্য নিয়মসহ কয়েকটি তাওবাহর বাক্য তুলে ধরা হলো ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।



#ইসলামশিক্ষাপ্রতিদিন #ইসলাম #শিক্ষা

Комментарии

Информация по комментариям в разработке