যশোর জেলা প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ
‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
প্রণব দাস, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, দৈনিক প্রতিদিনের কথা
স্বাধীনতার সুবর্ণ জন্মশতবার্ষিকীর চলমান উৎসব উপলক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর জীবন নিয়ে ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের এ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ ‘থোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ মোড়ক উন্মোচন হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শৈল্পীক ও নান্দনিক উপস্থাপনায় গানে আবৃতিতে দেখানো হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর জীবন। গানে-কবিতায় কথায় সাজানো সেই ফিরে দেখায় কখনো ’৫২. কখনো ’৬২, কখনো বা ’৬৬, ’৬৯, ’৭১ বা ৭৫ যেমন মূর্ত হয়; তেমনি মূর্ত হয় আজকের বাংলাদেশেন বাস্তবতায় চিরআলোকদ্রষ্টা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নিত্যপ্রাসঙ্গিক হয়ে থাকার গল্প।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং যশোর পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজমের সহধর্মীনি শামশাদ আজম শাম্মী ও যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সহধর্মীনি আকলিমা খাতুন হীরা। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সববেত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শীর্ষক ‘ওই মহামানব আসে’, পৌষী পোদ্দারের কণ্ঠে ফিরে দেখা শীর্ষক- ‘আসছে শতাব্দীতে আসবো তোমার খবর নিতে’, ’৫২ থেকে ’৭০ শীর্ষক সমবেত কণ্ঠে ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা আমার প্রতিরোধের আগুন’ ও তাওহীদুল ইসলাম খানের কণ্ঠে মুজিব বাইয়া যাও রে নির্যাতিত দ্যাশের মাঝে’, ৭১ এর ৭ই মার্চ শীর্ষক নির্মলেন্দু গুনের স্বাধীনতা শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো কবিতা বৃন্দ আবৃত্তি সাধন দাস, শ্রাবণী সুর ও কামরুল হাসান রিপন। এরপর সমবেত কণ্ঠে ‘৭১ শীর্ষক ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’, দেবব্রত চক্রবর্তীর কণ্ঠে ‘ বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার খ্রিস্টান বাংলার মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি’, সমবেত কণ্ঠে বিজয় নিশান উড়ছে ওই, ’৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শীর্ষক অর্পী মন্ডলের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়, ’৭২ থেকে ’৭৫ শীর্ষক ‘ধন্য সে পুরুষ’ আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্যে সমেবত কণ্ঠে ‘ভেঙেছো দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময় তোমারই হোক জয়’, জুনিথা দাসের কণ্ঠে ‘অশ্রু নয়তো আগুন ঝরে চোখের সূর্য দিয়ে সোনার বাংলা ঘুমিয়ে পড়েছে’, বর্তমান শীর্ষক আহমেদ জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে ‘দেশটাকে ভালোবেসে মানুষের মাঝে এসে.... তাইতো বন্ধু তুমি বঙ্গবন্ধু’, ললিতা বিশ^াসের কণ্ঠে ‘তুমি কোটি মানুষের মুখে’ পরিবেশিত হয়। এরপর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রথমপর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। যন্ত্রসংগত করেনে তবলায় সুমন, গীটারে টুটুল, কীবোর্ডে অমলেন্দু এবং বাঁশিতে জিহান। মঞ্চসজ্জায় ছিলেন আতিকুজ্জামান রনি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্মারকগ্রন্থ ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ এ মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। এ সময় জানানো হয়-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের পরিকল্পনা ও পরামর্শে প্রকাশিত হয়েছে স্মারকগ্রন্থ ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’। ঊনপঞ্চাশজন শিশুর দেখায়, রেখায়, রঙ ও অবিকল চিত্রলিপির ব্যবহারের অনন্য বৈশিষ্ট্যে স্মারকগ্রন্থের অঙ্গনে বিন্যাস করা হয়েছে। এই স্মারকগ্রন্থের সম্পাদনা পর্ষদের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আহ্বায়ক শাম্মী ইসলাম, সদস্য সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সবুজ শামীম আহসান, এসএম সুলতান ফাইন আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ শামীম ইকবাল, কেশবপুর সাগরদাঁড়ী মধুসুদন একাডেমির পরিচালক কবি খসরু পারভেজ, সিনিয়র শিক্ষক ইসতিয়াক হোসেন, জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ বেতার ও বাসসের জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ গণি খান রিমন, , , যশোর, কেশবপুর কানাইয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবি মকবুল মাহফুজ, বি এফ এফ শাহীন কলেজের সহকারী শিক্ষক কীর্তিবাস হালদার, কেশবপুর পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবি উজ্জ্বল ব্যানার্জী।
Информация по комментариям в разработке