জয় মা পদ্মাবতী | জয় মা বিষহরী | জয় মা মনসা

Описание к видео জয় মা পদ্মাবতী | জয় মা বিষহরী | জয় মা মনসা

"শ্রী শ্রী মনসা পূজা ও বলি সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর "

১.সর্বপ্রথম মা মনসার পূজা কে করেছিলেন?

উত্তরঃ এর উত্তরে শাস্ত্র বলছে....

প্রথমে পূজিতা সা চ কৃষ্ণেন পরমাত্মনা ।দ্বিতীয়ে শঙ্করেণৈব কশ্যপেণ সুরেণ চ ।।
মুনিনা মনুনা চৈব নাগেন মানবাদিভিঃ ।
বভূব পূজিতা সা চ ত্রিষু লোকেষু সুব্রতা ।।
(দেবীভাগবত: নবমস্কন্ধ, ৪৮.১৯-২৩)

"পরমাত্মা শ্রীকৃষ্ণ, প্রথমে মা মনসার পূজা করলেন। এরপর মহাদেব ও কশ্যপ মুনি মা মনসার পূজা করলেন । ক্রমে ক্রমে মুনি, মনু, নাগ এবং মানব প্রভৃতি ত্রিলোকবাসী লোকজন সেই দেবীর নিষ্ঠার সাথে পূজা করতে লাগলেন ।"

২.প্রথম বলি দিয়ে মা মনসার পূজা কে করেছিলেন?
উত্তরঃ যতদূর জানা যায় দেবরাজ ইন্দ্র প্রথম নানাপ্রকার বলি দিয়ে মায়ের পূজা করেছিলেন।শাস্ত্র উত্তর দিচ্ছে...

নত্বা ষোড়শোপচারং বলিঞ্চ তৎপ্রিয়ং তদা।
প্রদদৌ পরিতুষ্টশ্চ ব্রহ্মাবিষ্ণুশিবাজ্ঞয়া।।
(দেবীভাগবত: নবমস্কন্ধ, ৪৮.১১৪)

"দেবরাজ ইন্দ্র ভক্তিযুক্ত শুদ্ধ হৃদয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিবের আজ্ঞায় পশুবলি সহ ষোড়শ উপচারে মনসাদেবীর পূজা করলেন।"

৩.মা মনসার পূজায় বলি প্রদান করলে কি হয়?

উত্তরঃ
পঞ্চম্যাং মনসাখ্যায়াং দেব্যৈ দদ্যাচ্চ যো বলিম্।
ধনবান্ পুত্রবাংশ্চৈব কীর্তিমান্ স ভবেদ্ ধ্রুবম্।।
(ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ : প্রকৃতি খণ্ড,৪৬.৯)

"পঞ্চমী তিথিতে দেবী মনসাকে যে ব্যক্তি বলি প্রদান করে, সে ধনবান, কীর্তিমান এবং পুত্রবান হয়।"

৪.কোন ধরণের ছাগল বলি দেওয়া যায়..?
উত্তরঃ শাস্ত্রে লাল এবং কালো উভয় ছাগলকেই বলির জন্য শ্রেষ্ঠ বলে নির্দেশ দিয়েছে।
শাস্ত্র বাক্য বলছে....

“যুবানং ব্যাধিহীনঞ্চ সুশ্রীকং লক্ষণান্বিতং । সর্বায়ব সম্পন্নং বলিং দদ্যাৎ সুশোভনং। তরুণং সুন্দরং কৃষ্ণং ক্ষতাদিদোষ বর্জিতঃ ।।”

অর্থাৎ—যুবা, ব্যাধিহীন, সুশ্রী, সুলক্ষণান্বিত সর্ব অবয়ব সম্পন্ন, সুশোভন ও কৃষ্ণবর্ণ, ক্ষতাদিদোষরহিত বলি প্রদান করিবেন।

৫.বলি কোন মুখী হয়ে করতে হয়?
উত্তরঃ
"ছেত্তা পূর্বমুখো ভূত্বাবলিমুত্তরবক্তৃতঃ।”

অর্থাৎ– ছেত্তা(যিনি বলি করবেন তিনি) পূর্বমুখ হইয়া বলি(পশু বা অন্য দ্রব্য) উত্তরমুখে রাখিয়া ছেদন করিবেন।

৬-বলি উৎসর্গ করতে কতক্ষণ সময়ের প্রয়োজন হয়?

উত্তরঃপ্রতিটি বলি উৎসর্গ কমপক্ষে ৮-১০ মিনিট করে সময়ের প্রয়োজন হবে।এক্ষেত্রে পশুর পূজা,পশুর অঙ্গপূজা, পশুর সঙ্কল্প ইত্যাদি ধাপ গুলো সঠিকভাবে অতিক্রম করার পর প্রতিটি পশু বলি করা যায়।যদি সঠিক বিধান অনুযায়ী এসব না করা হয় তাহলে পশু উৎসর্গ হবেনা।

৭-বলিকৃত পশুর মাথা কোন পাশে দেওয়া হবে?
উত্তরঃ
“ছাগস্তু বামতো দদ্যাৎ মহিষজ্ঞ ভবেৎ পুরঃ।
দক্ষিণে বামতো দদ্যাদগ্রতো দেহশেণিতং৷।
—কলিকাপুরাণম্।

অর্থাৎ—দেবীর বামদিকে ছাগ ও সম্মুখে মহিষের ছিন্ন শির প্রদান করিবেন। দক্ষিণ, বাম বা অগ্রে দেহশোণিত (রক্ত)দান করিতে হয়। এবং মাথার উপর মন্ত্রোচ্চারণ করে দীপ দিতে হবে।

৮-কোন ধরনের পাত্রে পশুর রুধির দান করা যাবে?
উত্তরঃ সুবর্ণপাত্র, তাম্রপাত্র অথবা কাংস্যপাত্রে রুধির স্থাপন করিয়া মন্ত্রপাঠ পূর্বক দেবতাকে দান করিবেন। অভাবে মৃৎপাত্রে দিবেন। এক্ষেত্রে রুধির দানের যে বিধান তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

৯-বলি দানে শুভ বা অশুভ লক্ষ্মণ গুলো কি?
উত্তরঃশাস্ত্রে বলিদানের পর শুভাশুভ লক্ষণ বলা আছে যে,

ক.যদি ছিন্ন পশুর মুখ হইতে দন্তঘর্ষণ জনিত “কটকট” শব্দ হয়, তবে কর্তার অকাল বা অপঘাত জনিত মৃত্য হয়ে থাকে।
খ. চক্ষু হইতে যদি জল পড়ে তবে কর্তার হানি হইয়া থাকে।
গ.ছিন্ন শির যদি পূর্বোত্তরভাগে পতিত হয়, তবে সর্বসম্পৎ লাভ হয়, এবং ঈশান ও অগ্নিকোণের মধ্যে পতিত হইলে—সর্বসিদ্ধি লাভ এবং বায়ু বা নৈঋত কোণে পতিত হইলে কর্তার হানি হইয়া থাকে।

১০.বলি বিঘ্ন বা এ আঘাতে বলি ছিন্ন না হলে কি হবে?
উত্তরঃএক্ষেত্রে এক আঘাতে যে পশুর শির ছিন্ন হয়নি তার রুধির দেবীকে অর্পন করা যাবে না।এর প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে....
"ঐ পশুর মাংস দিয়ে সহস্র হোম,স্বর্ণদান, চারহাজার মনসা বীজমন্ত্র এবং চার হাজার দূর্গা বীজমন্ত্র জপ করতে হবে"।

বলিকৃত পশুনিয়ে যা যা করা যাবেনা-

১-শুধুমাত্র মাংস খাওয়ার লোভে পশুবলি দেওয়া যাবেনা।
২-পশু বলির সময় টানা -হিচঁড়া,পশুকে আঘাত করা যাবেনা।
৩-পশুর শরীরে পা দিয়ে স্পর্শ করা যাবেনা বা তাঁর শরীরে উপর উঠা যাবেনা।
৪-সমস্ত বিধি যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।

আমরা যে বলি প্রদান করি তা যদি শাস্ত্রীয় ভাবে করা না হয়,তবে সেই দেবউদ্দেশ্যে পৌছায় না।তাই হাজার হাজার টাকায় পশু কিনে তা যথাবিধি বলি উৎসর্গ না হলে তা শুধু মাংস খাওয়ার জন্যই করা হবে।।🙏💟

#সংগৃহীত

Комментарии

Информация по комментариям в разработке