পিয়াজের বীজ উৎপাদন | পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন পদ্ধতি | Onion seed production method

Описание к видео পিয়াজের বীজ উৎপাদন | পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন পদ্ধতি | Onion seed production method

পিয়াজের বীজ উৎপাদন | পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন পদ্ধতি | Onion seed production method
www.desihaatfpo.com
  / desihaatfpo  

Join Whatsapp Group : https://chat.whatsapp.com/JDIP2JzhNRY...
Join Facebook Group : https://www.facebook.com/share/g/7mWi...
#fpc #farming #agriculture #fpo #training #technology #farming #farmingvideos #farminglife #new #technolagyfarming #education #viralvideo #viralshorts #kolai #mugdal #dhan #chassi #plants #planing #chasabad
আরও জানতে আমাদের অফিস এ কল করুন : tel:8001007864

Farmers Produce Company (কৃষক উৎপাদক সংস্থা )
গঠন করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় ?
১. ন্যায্য় মূল্যে সরকারী ধান ক্রয় কেন্দ্র ।
২. অনলাইন এর মাধ্যমে কৃষি জাত পণ্য ক্রয় বিক্রয়
৩. চুক্তি চাষ
৪. বীজ বিক্রয় কেন্দ্র
৫. সার বিক্রয় কেন্দ্র
৬. chc কেন্দ্র
৭. csc কেন্দ্র
৮. Export Import
৯. কীটনাশক বিক্রয় কেন্দ্র
১০. মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র
১১. গবেষণা কেন্দ্র
১২. কৃষি শিক্ষা কেন্দ্র
১৩. Agri-Infra Fund থেকে দু কোটি টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন
১৪. মাছ ও পশু পালন এর কাজের জন্য লোন
১৫. Agri মার্কেট linkage

আরও জানতে আমাদের অফিস এ কল করুন : tel:8001007864
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি কাজ, কারণ ভালো মানের বীজ পেঁয়াজ চাষে সফলতার মূল চাবিকাঠি। উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য সঠিক পরিচর্যা, সঠিক জাতের নির্বাচন, এবং আবহাওয়া অনুযায়ী পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বীজ উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে করতে হয় এবং এতে কিছু বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। নিচে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. জাত নির্বাচন
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের প্রথম ধাপ হলো ভালো মানের জাত নির্বাচন করা। বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া অনুযায়ী উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী এবং দীর্ঘস্থায়ী জাত নির্বাচন করা জরুরি। বাংলাদেশে সাধারণত নিচের কিছু জাত বীজ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়:

বারি পেঁয়াজ-১, বারি পেঁয়াজ-২: এগুলো উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী জাত।
তাহেরপুরী ও ফুলি: এগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত।
২. জমি প্রস্তুতি
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য উঁচু এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করতে হবে। পেঁয়াজের জন্য দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি উত্তম। জমির পিএইচ মান ৬-৬.৫-এর মধ্যে থাকা উচিত।

মাটি চাষ:
জমি ভালোভাবে ৩-৪ বার চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে।
মাটি প্রস্তুতির সময় প্রয়োজন অনুযায়ী জৈবসার (কম্পোস্ট বা গোবর) প্রয়োগ করা উচিত। এতে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিটি বিঘায় ১০-১২ টন গোবর এবং ২৫০-৩০০ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হবে।
৩. পেঁয়াজের মাদার বাল্ব চাষ
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য প্রথমে মাদার বাল্ব চাষ করতে হবে। মাদার বাল্ব থেকে পেঁয়াজের ফুল এবং বীজ উৎপাদিত হয়।

বীজ বপনের সময়:
সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে পেঁয়াজের বীজ বপন করা হয়। বপনের আগে বীজ শোধন করা উচিত, যাতে রোগের প্রকোপ কমানো যায়।
বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে এবং নিয়মিত পানি ও পরিচর্যা করতে হবে, যাতে চারাগুলো ভালোভাবে গজায়।
চারা উৎপাদন:
৪০-৫০ দিনের মধ্যে চারা প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়। তখন চারাগুলো জমিতে রোপণ করতে হবে।
৪. বাল্ব (মাদার) রোপণ
রোপণের সময়:
জানুয়ারি মাসে মাদার বাল্ব জমিতে রোপণ করা হয়।
রোপণের পদ্ধতি:
৩০-৪৫ গ্রাম ওজনের মাদার বাল্ব বীজ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। মাদার বাল্ব ১৫-২০ সেমি দূরত্বে এবং ২০-২৫ সেমি সারির দূরত্বে রোপণ করতে হবে।
বাল্বের অর্ধেক অংশ মাটির ভেতরে এবং অর্ধেক অংশ মাটির উপরে থাকবে, যাতে বাল্ব ঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে।
৫. পরিচর্যা
সেচ:
মাদার বাল্ব রোপণের পরপরই সেচ দিতে হবে এবং মাটির আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে অতিরিক্ত সেচ থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ অতিরিক্ত সেচ মাদার বাল্ব পচে যেতে পারে। ফুল আসার সময়ও সেচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সার প্রয়োগ:
জমিতে মাদার বাল্ব রোপণের পর ২০-২৫ দিন পর প্রথমবার ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। ৫০-৬০ কেজি ইউরিয়া, ৩০ কেজি টিএসপি, এবং ২০ কেজি পটাশ সার প্রতি বিঘা জমিতে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
আগাছা পরিষ্কার:
জমিতে আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে, কারণ আগাছা পেঁয়াজ গাছের পুষ্টি শোষণ করে নেয় এবং ফলন কমিয়ে দেয়।

রোগবালাই দমন:
পেঁয়াজ গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন ডাউনি মিলডিউ, পার্পল ব্লচ, এবং থ্রিপসের আক্রমণ হতে পারে। এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে সময়মতো ছত্রাকনাশক এবং কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

৬. ফুল ধরা ও বীজ সংগ্রহ
ফুল ধরা:
পেঁয়াজ গাছে সাধারণত মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে ফুল ধরে। পেঁয়াজ গাছের ফুলে বীজ তৈরি হয়, যা কালো রঙের এবং ছোট আকৃতির হয়। ফুলের পরিপক্কতা আসলে বীজ সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

বীজ সংগ্রহের পদ্ধতি:
ফুলগুলো শুকিয়ে গেলে তা হাত দিয়ে মাড়িয়ে বা কাঠি দিয়ে পেটিয়ে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
এরপর বীজগুলো রোদে শুকিয়ে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. বীজ সংরক্ষণ

৮. পেঁয়াজ বীজের অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা
বীজ বপনের আগে এর অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা পরীক্ষা করা উচিত। ৮০-৯০% অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা সম্পন্ন বীজ ভালো ফলন নিশ্চিত করতে সক্ষম।

উপসংহার
পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সুচিন্তিত পদ্ধতিতে করা প্রয়োজন। সঠিক জাত নির্বাচন, জমি প্রস্তুতি, মাদার বাল্বের পরিচর্যা, এবং ফুল থেকে বীজ সংগ্রহের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে উচ্চমানের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। বীজ উৎপাদনে সফলতা পেলে পেঁয়াজ চাষের ফলনও ভালো হবে এবং কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке