সোনাঝুরি হাট শান্তিনিকেতন || শনিবারের হাট || খোয়াই এর হাট || Sonajhuri Haat || Santiniketan

Описание к видео সোনাঝুরি হাট শান্তিনিকেতন || শনিবারের হাট || খোয়াই এর হাট || Sonajhuri Haat || Santiniketan

লালমাটির দেশ বীরভূম। ছোটনাগপুরের মালভূমির সম্প্রসারিত অংশ এই বীরভূম। যা সৃষ্টি হয়েছিল কয়েকশো কোটি বছরের পুরনো আর্কিয়ান যুগে। অত্যন্ত শক্ত পাথুরে এই মাটি পরবর্তীকালে বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষয়ে সুন্দর এক প্রাকৃতিক ভাস্কর্যের রূপ নিয়েছে। ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্টি বলেই হয়তো চলতি ভাষায় এই ভূমিরূপকে 'খোয়াই' বলা হয়। একটা সময় শান্তিনিকেতনের প্রায় গোটা এলাকা এই খোয়াই দ্বারা আবৃত ছিল। সময়ের সাথে সাথে সেসব অবলুপ্ত হয়ে জনবসতি গড়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন প্রথম শান্তিনিকেতনে এসছিলেন তিনিও এই খোয়াইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন, যার উল্লেখ তাঁর 'জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে পাওয়া যায়। যাইহোক এবারের শান্তিনিকেতন আসার উদ্দ্যেশ্যটা ছিল অন্যকারনে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ শনিবারের খোয়াইয়ের হাট বা সোনাঝুরির হাট। অনেকদিন ধরেই শান্তিনিকেতনের বিখ্যাত সেই খোয়াইয়ের হাট দেখার ইচ্ছেটাও ঠিক পূরণ হচ্ছিলনা। তাই এক শনিবার সকালে বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্যে।এখানকার স্থানীয় আদিবাসী-পল্লীবাসীদের হাতের তৈরি শিল্পসামগ্রী কেনার জন্য বহু মানুষ এখানে আসেন। আসেন অনেক বিদেশি পর্যটকও। শুধু কেনা কাটা নয় স্থানীয় আদিবাসী মানুষের মাদলের তালে তালে নৃত্যের ছন্দে যেন ভরে ওঠে চতুর্দিক। ধিতাং ধিতাং শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে এখানকার আকাশ-বাতাস। ধামসা বাজে, মাদল বাজে। আধুনিকতার সঙ্গে যেন আদিমতার মেলবন্ধন ঘটে শান্তিনিকেতনের এই খোয়াইএর হাটে। কিভাবে শুরু হলো এই হাট জানা যায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী শ্যামলী খাস্তগীরের উদ্যোগে সোনাঝুরি ইউক্যালিপটাসের জঙ্গলে রাস্তার পাশে খোয়াইয়ে প্রথম হাট বসে। স্থানীয় আদিবাসীদের বাড়ীতে অবসর সময়ে তৈরি নানান জিনিসপত্র এই হাটে বিক্রি করা এবং বাংলার শিল্প সৌন্দর্যকে পর্যটকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই মেলা শুরু হয়। তখন হাট বসত সপ্তাহশেষের বিকেলে। মূল উদ্দেশ্য, ছিল পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের তৈরি নানা হস্তশিল্প, খাবার বিক্রি। আস্তে আস্তে তার পরিধি বাড়তে থাকে।গাছের নিচে তৈরি হয় মাচা। বাড়তে থাকে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। ধীরে ধীরে এই খোয়াইয়ের হাট যেন বহু মানুষের কর্মতীর্থে পরিনত হয়েছে। বিশাল এই হাটে প্রায় হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী চারিদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে বসেন। তবে সবই যে তাদের নিজেদের হাতে বানানো তা নয়। অনেকেই জিনিস কিনে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে এই হাটে এসে বসেন। ‘খোয়াইয়ের হাট’ ক্রমে মেলায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ভাষাভাষি, ধর্ম, বর্ণ ও নানা দেশের মানুষের মিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই হাট। বন্ধুরা , যদি ভিডিও ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট, সেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে চ্যানলের সঙ্গে থাকবেন এই আশা রাখি ।

#TapaTini #belashuru #shantiniketansonajhuri #tapatinidance #adibasivideo #tapatinisong

Divik Soulful Stay তে থাকার জন্য ও বিস্তারিত জানার জন্য 9147008597 এই নম্বরে যোগাযোগ করুন।

ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিচের মেইল আইডি তে মেইল করুন। [email protected]

Stay Connected with me on Social Network :
Twitter :   / manasbangla  
Facebook :   / manasbangla  
Instagram :  / manasbangla  

Комментарии

Информация по комментариям в разработке