জুমার দিন গোসল করা কি ওয়াজিব ❔💦

Описание к видео জুমার দিন গোসল করা কি ওয়াজিব ❔💦

জুমার দিন গোসল করা কি ওয়াজিব? এই প্রশ্নের উত্তরে আলেম-ওলামাগণ এর মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে কেউ এটিকে মুস্তাহাব বলেছেন কেউ বলেছেন সুন্নতে মুয়াক্কাদা কেউ বলেছেন ওয়াজিব।

আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যাক্তি জুমু’আর সালাতে আসবে সে যেন গোসল করে।” সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) অধ্যায় ১১ পরিচ্ছেদ ৫৬৭ হাদিস নাম্বার ৮৫০।

আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য জুম্মার দিন গোসল করা কর্তব্য। সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) অধ্যায় ১১ পরিচ্ছেদ ৫৬৭ হাদিস নাম্বার ৮৫১।
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমু’আর দিনে গোসল করা প্রত্যেক সাবালক ব্যাক্তির উপর ওয়াজিব। সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) অধ্যায় ৮ হাদিস নম্বর ১৮৩০।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষে। কিন্তু কিয়ামতের দিন মর্যাদার দিক দিয়ে সবার আগে। তবে তাদের কিতাব প্রদান করা হয়েছে আমাদের আগে এবং আমাদের তা দেয়া হয়েছে তাদের পরে। তারপর এই দিন (শুক্রবার নির্ধারণ) সম্বন্ধে তাদের মধ্যে মতানৈক্য হয়েছে। আল্লাহ আমাদের এ শুক্রবার সম্পর্কে হিদায়াত দান করেছেন। পরের দিন (শনিবার) ইয়াহুদীদের এবং তারপরের দিন (রোববার) নাসারাদের।

এরপর কিছুক্ষন নীরব থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর হক রয়েছে যে, প্রতি সাত দিনের এক দিন সে গোসল করবে, তার মাথা ও শরীর ধৌত করবে। আবান ইবনু সালিহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর আল্লাহর হক রয়েছে যে, প্রতি সাত দিনের এক দিন সে যেন গোসল করে। সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) অধ্যায় ১১ পরিচ্ছেদ ৫৬৭ হাদিস নাম্বার ৮৫২।

এই হাদিসগুলো থেকে এটি সুস্পষ্ট যে জুমার দিনে অবশ্যই গোসল করার কথা বলা হয়েছে। তবে জুমার দিনে গোসলের এই বিধানটি সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানতে পারি এই হাদিসটি থেকে।

আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা .... আমর থেকে ইকরামা (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইরাকের একটি প্রতিনিধি দল এসে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন, হে ইবনু আব্বাস! আপনার মতে কি জুমুআর দিন গোসল করা ওয়াজিব? তিনি বলেন- না, কিন্তু গোসল করা খুবই উত্তম ও পবিত্রতম কাজ- যে ব্যক্তি তা করে এবং যে ব্যক্তি তা করে না- তার জন্য এটা ওয়াজিব নয়। আমি তোমাদেরকে গোসলের ইতিবৃত্ত বলব। অতঃপর তিনি বলেন- ইসলামের প্রথম যুগে মুসলিমরা মোটা কাপড় পরিধান করে দৈহিক পরিশ্রম- এমন কি বোঝা বহনের কাজও করত। তাদের মসজিদ ছিলাম অত্যান্ত সংকীর্ণএবং নীচু ছাদ বিশিষ্ট। একদা গরমের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে গিয়ে দেখতে পান যে, অত্যধিক গরমের ফলে মুসল্লীদের শরীরের ঘাম কাপড়ে লেগে তা হতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং এ কারণে সকলেই কষ্ট অনুভব করছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এই দুর্গন্ধ অনুভব করে বললেনঃ “হে লোকসকল! যখন এই (জুমুআর) দিন আসবে তোমরা গোসল করে সাধ্যানুযায়ী তৈল ও সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করবে”।

অতঃপর ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, পরবর্তীকালে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন যখন মুসলিমদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন, তখন তারা মেটা কাপড় পরিধান ত্যাগ করে উত্তম পোশাক পরিধান করতে থাকে, নিজেদের কাজ অন্যদের দ্বারা করাতে থাকে এবং তাদের মসজিদও প্রশস্ত হয় এর ফলশ্রুতিতে ইতিপূর্বে তারা ঘর্মাক্ত হওয়ায় যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হত তা দূরীভুত হয়। সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) অধ্যায় ১ পরিচ্ছেদ ১৩০ হাদিস নং ৩৫৩।

এখন জুমার দিনে গোসল কি ওয়াজিব এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর ও পূর্ববর্তী হাদিস গুলোর ব্যাখ্যা আমরা যে হাদিস থেকে পাই তাহলো।

আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ...... সামুরা ইবনু জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জুমআর দিন যে ব্যক্তি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করল, সে কতইনা ভাল ও সুন্দর কাজ করল। আর যদি সে গোসল করে, তবে তা তার জন্য আফযল ও অতি উত্তম।
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, আয়িশা ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ সামূূরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান। কাতাদা (রহঃ)-এর কতক শাগরিদ এই হাদীসটি কাতাদ ... হাসান সূত্রে সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা জুমুআর দিন গোসল করা পছন্দনীয় বলে বিধান দিয়েছেন। তবে তারা জুম্মার দিন গোসলের স্থলে উযূ যথেষ্ট বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেনঃ জুমুআর দিন গোসল করা সম্পর্কিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশটি ওয়াজিব বা অবশ্য করণীয় নয়, বরং তা পছন্দনীয় বলে গণ্য। এর প্রমাণ হ’ল উমর রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর এই হাদীসটি। তিনি উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলেছিলেনঃ কেবল উযূ করে এসেছেন? অথচ আপনি জানেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামজুমুআর দিন গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশটি কেবল পছন্দনীয় হিসাবেই নয়, বরং অত্যাবশ্যকীয়, এই কথা যদি তারা জানতেন তবে অবশ্যই উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু . উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে এইভাবে ছেড়ে দিতেন না, বরং তাঁকে ফিরিয়ে দিতেন এবং বলতেনঃ ফিরে যান এবং গোসল করে আসুন। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছেও বিষয়টি গোপন থাকত না, বরং এই হাদীসটি প্রমাণ করে যে, জুম্মার দিন গোসল করা ওয়াজিব নয়, তবে তা ফযীলতের বিষয়। সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) অধ্যায় ৪ পরিচ্ছেদঃ জুমার দিনে ওযু করা, হাদিস নং ৪৯৭।

#islamicquestion #islamicanswer #islamicanswers

পরবর্তী ভিডিও নোটিফিকেশন পেতে অবশ্যই ‪@endtimeislam‬ চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং পাশে থাকা বেল আইকনটি প্রেস করে আমাদের সাথেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке