#barrage #farakkabarrage #tista_bridge #ডম্বুর #গাজলডোবা #river #india #bangladesh #narendramodi #modi #dryounus #drmuhammadyunus #বাঁধ #ব্যারেজ #ফারাক্কা #ভারত #ইন্ডিয়া #বাংলাদেশ #তিস্তা #পদ্মা #নদী #bangladeshnewsupdate #banglanewslive #newsbangla #bdnews #banglanews #bdlivenews
ভারতের বাঁধের সামনে বাংলাদেশ বাঁধ নির্মাণ করলে কেমন হবে ?| কতটা যৌক্তিক | Barrage | India-Bangladesh
ভারতের ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে দেশের অন্তত ১০ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় বিপর্যস্ত এসব জনপদের ৩৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বানের পানিতে রাস্তা ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সড়ক যোগাযোগ। বিদ্যুৎ না থাকায় অচল হয়ে পড়েছে ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। যথাযথ প্রস্তুতির অভাবে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেননি। বেশিরভাগ মানুষের ঘরে শুকনো খাবারও নেই। যাদের ঘর ডুবে গেছে, তাদের উদ্ধার করতেও বেগ পেতে হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল-নিনো, জেট স্ট্রিম, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি লঘু চাপসহ বেশকিছু প্রাকৃতিক কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর ওপর একই সময়ে সক্রিয়ভাবে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে উঁচু এলাকাগুলো থেকে নেমে আসা ঢলই আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করেছে।
তবে বন্যা দেখা দেওয়ার শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে যে, ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডম্বরু স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার ফলেই বাংলাদেশে এমন বিস্তীর্ণ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। স্লুইস গেট খোলার প্রতিবাদে বিভিন্ন শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলও হয়েছে। যদিও এটি বাংলাদেশের বন্যার একক কারণ নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকৃতপক্ষে অতিবৃষ্টির কারণেই ফেনীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, আর সেই বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে ডম্বুর গেট খুলে দেওয়ার পর। তবে ভারত স্লুইস গেট খোলার আগে বাংলাদেশকে আগাম সতর্ক করতে পারতো, এমন আলোচনাও উঠে এসেছে। সর্বোপরি বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় কেবল ভারতের 'বাঁধ খুলে দেওয়ার' বিষয়টিকে কটাক্ষ করে নেটিজেনরা বলছেন, 'বাঁধের বিপরীতে বাঁধ বানাতে কত টাকা লাগে? জনগণ টাকা দেবে, দরকার হলে জনগণ বিনা পয়সায় বাঁধের কাজ করবে, তবুও এই ট্র্যাজেডি আর দেখতে চাই না।' অর্থাৎ তারা ভারতের বাঁধগুলোর কাছাকাছি দূরত্বে আরও উঁচু বাঁধ তৈরি করে পানির প্রবাহ ঠেকানোর কথা বলছেন। এমন পোস্ট এখন ফেসবুকে ট্রেন্ডিং। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বানও জানাচ্ছেন নেটিজেনদের একটি বড় অংশ।
তবে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বা পক্ষান্তরে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া ঠেকাতে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ কোনো কাজে আসবে কিনা, সে বিষয়ে বিশ্লেষণী আলোচনাও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। স্রেফ আবেগের বশবর্তী হয়ে মন্তব্য না করে যুক্তি দিয়ে ভাবার পক্ষে জোর দেওয়া হয়েছে এতে। যেমন, মো. তানভীরুল ইসলাম অমিয় নামের এক প্রকৌশলী লিখেছেন, 'বাঁধের সামনে আরেকটা বাঁধ নির্মাণ কি সত্যিই কোন বাস্তবসম্মত সমাধান, নাকি মানুষের সরল মনের ফ্যান্টাসি, সেটা আগে বুঝতে হবে।'
ভারতের বাঁধের সন্নিকটে বাংলাদেশও বাঁধ নির্মাণ করতে পারে কিনা, এ ব্যাপারে বিস্তারিত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রকৌশলী মো. তানভীরুল ইসলাম অমিয়। তিনি গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি) পূরকৌশলে পড়াশোনা করেছেন। ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্পেশালাইজেশন রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এবং গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেছেন, 'পরিকল্পনা ছাড়া ভারতের সব ট্রান্সবাউন্ডারি রিভারের বাঁধের সামনে আরেকটা বাঁধ নির্মাণ শুরু করলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে।' উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, "তিস্তা নদীর উপর ভারত যে বাঁধ নির্মাণ করেছে সেটার নাম 'গাজলদোবা বাঁধ'। তার একটু ডাউনস্ট্রিমেই বাংলাদেশে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর উপরেই রয়েছে 'তিস্তা বাঁধ'। এই তিস্তা বাঁধ উত্তরাঞ্চলে 'মঙ্গা' মোকাবেলায় খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও এত অল্প দূরত্বে দুইটি বাঁধ নদীর ডাউনস্ট্রিমকে একদম ধূ ধূ বালুতে পরিণত করেছে।" অমিয়র স্ট্যাটাসটি অনেক প্রকৌশলী, গবেষক, পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিরা শেয়ার করেছেন।
বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া আরও একটি স্ট্যাটাস এমন যে, 'সময় হয়েছে, ফারাক্কার ৪০ কিলোমিটার দুরে ৭৫০০ ফিট উচ্চতার দ্বিতীয় ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। মাঝরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত পৈচাশিক আনন্দ পাচ্ছে৷ এরপর তারা বর্ষায় বাঁধ খুলে দিলে পানি এই ৪০ কিলোমিটারের মধ্যেই থাকবে, আর যদি এর চেয়ে বেশি পানি ছাড়ে, তাহলে সেই পানি তাদের দেশেই ফেরত যাবে, কারণ তাদের বাঁধের উচ্চতা থাকবে আমাদের চেয়ে কম, ৭৩৫০ ফিট!'
এ ধরনের দাবির ব্যাপারে তরুণ প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম অমিয় বলেছেন, 'ভারত বাঁধ খুলে দিলে আমরা আমাদের বাঁধ বন্ধ করে দিব, বন্যার পানি আবার ভারতে চলে যাবে, এটা শুনতে খুব মজার মনে হলেও ব্যাপারটা এত সহজ না। নদীর ধর্ম হচ্ছে আপস্ট্রিম থেকে ডাউনস্ট্রিমে যাওয়া। তাই আপনি বাংলাদেশ অংশে একটা বাঁধ নির্মাণ করে দিলেই নদী রিভার্স দিকে প্রবাহিত হওয়া শুরু করবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম। এক্ষেত্রে দুটো জিনিস হতে পারে— নদী ব্যারেজের আশেপাশে আরেকটা বিকল্প রুট তৈরি করে সেদিক দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করবে, অথবা নদীর পানি বাঁধের একদম আপস্ট্রিমেই জমা হতে হতে এক সময় বাঁধ ভেঙে ফেলবে বা ওভারটপ করবে। দুই সিনারিওতেই কিন্তু পরিণতি একই— বাংলাদেশে আরও ভয়ানক ফ্ল্যাশ ফ্লাড এবং তীব্র নদী ভাঙন।'
Thanks for watching
Plz do Subscribe,like,comment and share
Any inqueries: [email protected]
Voice Of Shakib
#voiceofshakib
@VoiceofShakib1
Информация по комментариям в разработке