Скачать или смотреть স্ত্রী কি স্বামীকে তালাক দিতে পারে? | তালাক-ই-তাফويض ও খোলার বিধান আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রঃ)

বিবাহ বিচ্ছেদ (তালাক): জেনে নিন বৈধ ও সঠিক প্রক্রিয়া
কুমিল্লা কাজী অফিস থেকে আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি তথ্য!
বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন হলেও, কখনও কখনও জীবন এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে আসে যখন বিচ্ছেদই একমাত্র সমাধান হয়ে ওঠে। তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আবেগের বশে ভুল করলে আপনি আপনার আইনি অধিকার হারাতে পারেন। তাই, সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা আবশ্যক।
স্বামী কর্তৃক তালাক দেওয়ার বৈধ নিয়ম:
অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে, মুখে তিনবার 'তালাক' বললেই তা কার্যকর হয়ে যায়। ইসলাম ধর্ম মতে ব্যাপারটা সত্য হলেও, আমাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটি আইনসম্মত নয়।
১. লিখিত নোটিশ প্রদান: মুখে তালাক বলার পর, স্বামী-স্ত্রী যেই হোন না কেন, অবশ্যই একটি লিখিত নোটিশ পাঠাতে হবে: * যাকে তালাক দেওয়া হচ্ছে (স্বামী বা স্ত্রী)। * তালাক গ্রহীতার এলাকার চেয়ারম্যান (ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/প্রশাসক) বরাবরে। ২. সালিশি কাউন্সিল: চেয়ারম্যান নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পুনর্মিলনের চেষ্টা করার জন্য সালিশি কাউন্সিল গঠন করবেন। ৩. কার্যকর হওয়ার সময়সীমা: পুনর্মিলন সম্ভব না হলে, নোটিশ প্রদানের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তালাক কার্যকর হবে। এই ৯০ দিন পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীর ভরণপোষণ বহন করবেন। ৪. তালাক নিবন্ধন: তালাক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক! নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) দ্বারা যথাসময়ে নিবন্ধন করান। নিবন্ধন না করালে ভবিষ্যতে অনেক আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: স্ত্রী গর্ভবতী হলে, সন্তানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।
________________________________________
স্ত্রী কর্তৃক তালাকের নিয়ম:
স্ত্রী সরাসরি তালাক দিতে পারেন, যদি কাবিননামার ১৮ নং কলামে তাঁকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা ('তালাক-ই-তাফويض') দেওয়া থাকে।
যদি কাবিননামায় ক্ষমতা দেওয়া না থাকে, তবে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন- ১৯৩৯ অনুযায়ী নিম্নলিখিত এক বা একাধিক যুক্তিসঙ্গত কারণে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) জন্য আবেদন করতে পারবেন:
• চার বছর পর্যন্ত স্বামীর কোনো খোঁজখবর না পাওয়া।
• দুই বছর যাবত স্বামী কর্তৃক অবহেলিত ও ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হওয়া।
• স্বামী কর্তৃক নিষ্ঠুর আচরণ (শারীরিক নির্যাতন, অনৈতিক কাজে বাধ্য করা, সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি)।
• স্বামীর অন্য স্ত্রী গ্রহণ (যদি ১৯৬১ সালের পারিবারিক আইন লঙ্ঘন হয়)।
• স্বামী ৭ বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলে।
• স্বামীর দীর্ঘকাল পুরুষত্বহীনতা, অপ্রকৃতিস্থতা বা সংক্রামক যৌন ব্যাধিতে ভোগা।
• ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে হলে এবং ১৯ বছর বয়সের আগেই সেই বিয়ে প্রত্যাখ্যান করলে। (উপরে দেওয়া যেকোনো একটি কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে হলে স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে যেতে হবে।)
________________________________________
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
• মোহরানা: তালাক স্বামী বা স্ত্রী যেই দিক না কেন, স্ত্রী যেকোনো সময় তার প্রাপ্য মোহরানা দাবি করতে পারবেন।
• তালাক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক: অবহেলা বা অজ্ঞতার কারণে তালাক নিবন্ধন না করালে আপনি আপনার আইনগত অধিকার (যেমন- দেনমোহর) থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
আইনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে, আপনার বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ এবং নিবন্ধনের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগের ঠিকানা: কাজী নজরুল ইসলাম
01407174138

#তালাক #বিবাহবিচ্ছেদ #মুসলিমআইন #আইনিপরামর্শ #দেনমোহর #কুমিল্লাকাজীঅফিস #KaziOffice #কুমিল্লা