বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশ সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। শুধু তাই নয়, একজন মুজিব কীভাবে একটি ভূখণ্ডের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন, একটি জাতির সামষ্টিক আক্ঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠেন, বঙ্গবন্ধু হন, হন জাতির পিতা- সেই যাত্রার সূর্যোদয় এই বই। একজন রাজনীতিক হিসেবে তাঁর অকপট সত্য প্রকাশ, নির্মোহ বিচার, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং নিপীড়িত, শোষিত, নিষ্পেষিত জাতিকে মুক্তির পথে নিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা তাঁকে সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভরসাস্থল করে তুলেছিল। তাঁর প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা তাঁকে সাহসী করে তুলেছিল।
বইটি মূলত তাঁর জীবনের প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক সংগ্রামের দলিল। এতে তাঁর বংশ পরিচয়, জন্ম ও পারিবারিক ইতিহাস জানা যায়। তাঁর শৈশব, শিক্ষাজীবন ও ছাত্রজীবনেরi অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে। ১৯৩৮ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত সময়কালকে কেন্দ্র করে লেখা এই বই, যেখানে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে।
বইটি বঙ্গবন্ধুর চিন্তা, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শনের প্রাথমিক দলিল। পাঠক তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, রাজনৈতিক আদর্শ ও তৎকালীন সমাজ-রাজনীতির বাস্তবতা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা পান। এটি শুধু আত্মজীবনী নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯ জুন, ২০১২ সালে দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে। বইটির সম্পাদনা করেছেন শামসুজ্জামান খান এবং প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী সমর মজুমদার। মোট ৩৩০ পৃষ্ঠার বইটিতে আত্মজীবনী অংশ ২৮৮ পৃষ্ঠা। এ পর্যন্ত ১৯টি ভাষায়- ইংরেজি, জাপানি, চীনা, আরবি, ফরাসি, উর্দু, হিন্দি, তুর্কি, নেপালি, স্প্যানিশ, অসমীয়া, ইতালীয়, মালয়, কোরীয়, রুশ, মারাঠি, গ্রিক, থাই ও ত্রিপুরা- বইটি অনূদিত হয়েছে।
Информация по комментариям в разработке