অবাক হবেন ৬০০ বছর পুরানো দিঘীর ইতিহাস জানলে | নান্দাইল দিঘী জয়পুরহাট | Joypurhat tourist spot

Описание к видео অবাক হবেন ৬০০ বছর পুরানো দিঘীর ইতিহাস জানলে | নান্দাইল দিঘী জয়পুরহাট | Joypurhat tourist spot

সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে জুড়ে অসংখ্য নাম জানা-না জানা পুকুর-দিঘী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সব দিঘীই আবার সকলের কাছে সমানভাবে পরিচিত বা জনপ্রিয় নয়। সাধারনতঃ বিনোদন, বনভোজন আর বৈকালিক ভ্রমণের সুবিধা-সম্বলিত অল্প কিছু দিঘীই এই তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের ‘নান্দাইল দিঘী’র যেমন রয়েছে ঐতিহ্যময় ইতিহাস তেমনি রয়েছে এর অপরিসীম প্রত্ন-মূল্য।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
Disclaimer:
Don't Download & Copy Anything From This Channel. Its a Cyber Crime. All Videos of this Channel is Copyrighted by Md. Shahriar

__________________________________________________
For Invitation & sponsorship contact

📞01724-311030 (what's app/IMO)
📧 [email protected]

Get connected with me 🙂

Facebook
  / shahriar.sajon.9  

Instagram
  / sajonshahriar  

FB page
  / shahriartraveler  

Travel Group
  / 190986061246044  


✅ Make Sure you subscribe to my channel & press the bell icon to get the notifications of my New videos 🔥
___________________________________________________________

কিভাবে যাবেন
জয়পুরহাট শহর থেকে স্থানীয় পরিবহণ ব্যবস্থায় ১৯ কিলােমিটার পূর্বে কালাই থানার নান্দাইল গ্রামে অবস্থিত নান্দাইল
দিঘি দেখতে যেতে পারবেন।
ঢাকা থেকে জয়পুরহাট: ঢাকার বিভিন্ন স্থান (গাবতলি, মহাখালী, আব্দুল্লাহপুর, শ্যামলী এবং কল্যাণপুর) হতে শাহ্
ফতেহ আলী পরিবহণ, সেইন্টমার্টিন ট্রাভেলস, শ্যামলী পরিবহন এন আর, এস আর ট্রাভেলস, হানিফ ইত্যাদি বাস
জয়পুরহাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এসি/ নন-এসি বাসের জনপ্রতি টিকেট মূল্য ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে। এছাড়া ঢাকার কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে নীলসাগর, একতা এবং দ্রুতযান এক্সপ্রেসে
জয়পুরহাট যাওয়া যায়।




৬১০ খ্রীঃ রাজা নন্দলাল দিঘীটি খনন করান বলে স্থানীয়রা জানালেন। কে ছিলেন এই রাজা নন্দলাল … মৌর্য্য সাম্রাজ্যের (৩২২ -১৮৫ খ্রীঃপূঃ) প্রথম নৃপতি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য, নন্দ রাজবংশকে হটিয়ে ৩২২ খ্রীঃপূঃ মগধ (বর্তমানে ভারতের বিহার)’র পাটলীপুত্র’কে রাজধানী করে বিশাল এক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। শুধুমাত্র নন্দ রাজবংশের ‘নন্দ’ আর দিঘী খননকর্তা নন্দলালের নামের মিল দেখে অনেকেই সম্ভবতঃ মনে করেন যে, নন্দ বা মৌর্য্য বংশের নন্দলাল(?) দিঘীটি খনন করেছেন। আদতে নন্দলাল নামে বাঙলায় বিখ্যাত কোনো নৃপতির নাম এ যাবৎ আাবিষ্কৃত হয়নি। ধারনা করি কোন স্থানীয় সামন্ত ছিলেন এই নন্দলাল।

এলাকাবাসীর পানীয় জলের কষ্ট নিবারন ও কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য দিঘীটি খনন করা হয়। রাজা নন্দলাল যখন দিঘী খনন করান তখন এর আয়তন ছিল ৯০০ একর আর জলকরের আয়তন ছিল প্রায় ৩০০ একর। ‘বাংলাদেশ জাতীয় বাতায়ন’ অনুযায়ী দিঘীর বর্তমান আয়তন ৫৯.৪০ একর। ৫,০০০ শ্রমিক দ্বারা আয়তকার দিঘীটি এক রাতে খনন করা হয় বলে জনশ্রূতি আছে। দিঘীটি এতটাই লম্বা যে, এক পাড় থেকে আরেক পাড় প্রায় দেখাই যায় না। উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ দিঘীর পূর্ব-পশ্চিম পাড়দ্বয়ের দূরত্বও যে কোনো বড় দিঘীর দৈর্ঘ্যের তুলনায় কম নয়। পাড়সহ উত্তর-দক্ষিণে ১.২৫ – ১.৩৯ কিলোমিটার ও পূর্ব-পশ্চিমে ৪৫০ – ৫৫০ মিটার। গভীরতা আনুমানিক ১৫ মিটার। দিঘীতে নিশ্চই ঘাট ছিল কিন্তু আজ তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

দিঘীর পাড় পাহাড় সমান উঁচু ছিল কিন্তু কাল পরিক্রমায় তা আজ ভূমি সমান্তরাল। বাংলাদেশের দিঘীসমূহের মধ্যে সম্ভবতঃ এই দিঘীর পাড়ই সব থেকে চওড়া ও উঁচু। দূর থেকে দেখলে পরিত্যাক্ত কোন ঢিবি বলে ভুল হওয়া অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, আজ চারিদিকের পাড়গুলোর ভীষণ করূণদশা – ৪০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক প্রত্ন-নিদর্শনটির গৌরব এই পাড়গুলো আজ হুমকির সম্মুখীন। প্রথমে উত্তর ও দক্ষিণ পাড় দখল হয়ে বসতি গড়ে তোলা হয় আর তারপর সুপরিকল্পিতভাবে পাড়ের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলে বিরানভূমিতে পরিনত করা হয়েছে। পাড়ের মাটি কাটার ফলে কোনো কোনো জায়গায় বিশাল খাদের সৃষ্টি হয়েছে। পাড়ের মাটি ও পাড় ব্যবহার করেই তৈরী করা হয়েছে চলাচলের জন্য রাস্তা। দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে ‘নান্দাইল দিঘী মহাবিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে – আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র মহাশয় আজ বেঁচে থাকলে বাঙালীর বিদ্যানুরাগের এহেন উৎসাহে নিশ্চই ভিমরী খেতেন!!

মাত্র ৮০-৯০ বছর আগেও স্থানটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। জঙ্গলের কোনো চিহ্ন আজ আর কোথাও নেই, চারিদিকে শুধু চাষের জমি। নান্দাইল দিঘীকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান আমল (১৯৪৭-১৯৭১ খ্রীঃ) থেকেই সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও আজও তা আলোর মূখ দেখেনি। স্থানীয় উদ্যোগে দিঘীতে নৌকা-ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে এবং তা বেশ জনপ্রিয়। ইদানিং ভ্রমণকারীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে দ্রূতই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

জানা যায়, ১৯৭৬ খ্রীঃ দিঘীটির একবার সংস্কার করা হয়েছিল। সংস্কারকালে বেশ কয়েকটি পানির পাম্প লাগানো হয়েছিল কিন্তু দিঘীর সব পানি উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি – কেননা পানির পরিমান অনেক বেশী ছিল। এখন এখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হয়। এক সময় শীতকালে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটতো। হয়ত সেই দিন আর বেশী দুরে নয় যেদিন শীতের পরিযাযী পাখিদের মতো এই দিঘীটিও সব হারিয়ে কেবল নাম-সর্বস্ব অবস্থায় সরকারি কাগজে-কলমে টিকে থাকবে।

#Naindaildighi #নান্দাইলদিঘী #জয়পুরহাটেরদর্শনীয়স্থান #জয়পুরহাটেরদর্শনীয়স্থান #travelvideo #touristspotbangladesh #bdvlogs #budgettour #চিনিকল #সুগারমিল #সুগারমিলজয়পুরহাট

Комментарии

Информация по комментариям в разработке